রক্তশূন্যতায় নখ ও নখের নিচের ত্বক ফ্যাকাশে বা সাদাটে হয়ে যায়। লৌহ ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতায় অনেক সময় নখ অবতল হয়ে পড়ে। নখের রং অস্বাভাবিক সাদা হয়ে যেতে পারে যকৃতের সমস্যায়ও।
নখ অতিরিক্ত লাল দেখানোও ভালো নয়। হৃদ্যন্ত্রের কিছু সমস্যায় নখের নিচ রক্তাভ লাল দেখায়।
হলদে নখ নানা কারণে হতে পারে। যেমন ফুসফুসের সমস্যায়। ধূমপায়ীদের নখে হলদেটে কালো ছোপ পড়ে। ছত্রাক সংক্রমণে নখ হলদে, মোটা ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।
অপুষ্টির কারণে বিশেষ করে আমিষের ঘাটতিতে নখ ফ্যাকাশে ও ভঙ্গুর এবং পাতলা হয়ে যায়। কিডনির সমস্যায় অনেক সময় নখ অর্ধেক সাদা, অর্ধেক গোলাপি হয়।
নখের অগ্রভাগ ফুলে ড্রামস্টিকের মতো হয়ে যাওয়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয় ক্লাবিং। নানা মারাত্মক রোগে এই ক্লাবিং হতে পারে। যেমন জন্মগত হৃদ্রোগে, ফুসফুসের নানা সমস্যায়, এমনকি ক্যানসারেও।
১. নখ সব সময় পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখুন। দাঁত দিয়ে নখ কাটা বা নখ দিয়ে কঠিন কোনো কাজ করা ঠিক নয়। এতে নখ ভঙ্গুর হয়ে যায়।
২. নিয়মিত নখ কাটুন। নখ কাটার সময় কাঁচি বা ক্লিপার ব্যবহার করুন, ব্লেড নয়। নখের কোণটি বেশি গভীর করে কাটবেন না। সমান করে কাটুন, প্রয়োজনে সামান্য একটু বৃত্তাকার করে নিতে পারেন।
৩. নখের নিচ বা ত্বক পরিষ্কার করতে খোঁচাখুঁচি করা ঠিক নয়। এতে সংক্রমণ হতে পারে।
৪. নখে নিয়মিত প্রতিদিন ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগান। ইউরিয়া, ল্যাকটিক অ্যাসিড বা ফসফোলিপিডযুক্ত ক্রিম নখের জন্য ভালো।
৫. যাঁরা পারলারে গিয়ে ম্যানিকিউর করেন, তাঁদের নিজস্ব ম্যানিকিউর সেট নিয়ে যাওয়াই ভালো। যেসব নেইলপলিশ রিমুভারে অ্যাসিটোন ও ফরমালডিহাইড আছে, সেগুলো বেশি ব্যবহার না করাই ভালো। অনেকে কৃত্রিম নখ ব্যবহার করেন, বেশি দিন রাখলে তার নিচে আসল নখে সংক্রমণ হতে পারে। আসল নখের রং অনেক সময় সবুজাভ দেখায়।
৬. নখের সুস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর, আমিষ ও ভিটামিন খনিজসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।
৭. অনেক সময় নখের কোণ ভেতরের দিকে মাংসে ঢুকে যায়, একে বলে নেইল ইনগ্রোয়িং। এ ক্ষেত্রে নিজে নিজে না খুঁচিয়ে চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
সূত্র: ওয়েবমেড |
0 comments:
Post a Comment