Md. Afrooz Zaman Khan

Afrooz
Md. Afrooz Zaman Khan. Powered by Blogger.
RSS

মা আমায় ভীষণ .......



ও মা, তুমি নেই তাও বেশ আছি আমি ...
নতুন মা আমায় ভীষণ ........
ভালো খেতে দেয়.......
বাসি ভাত, পচা তরকারি আর নষ্ট
ডালে আমার খুব ভালই পেট ভরে যায়।
মা ও মা!.............
জানো ?........... আমি এখন শার্ট ধুতে পারি
তাই প্রতিদিন বাড়ি শুদ্ধু লোকের কাপর ধুই আমি।
জানো মা..............

পড়তে এখন আমার আর ভালো লাগেনা
আমার এখন আর কোন বই নেই,
আমার এখন কোন খাতা নেই,
কলম নেই, নেই কোন স্কুল ব্যাগ।
জানো মা.........
আমার নতুন ছোট ভাই ও আমায় প্রায় লাথি দেয়
আমায় ভীষণ ভালবাসে কিনা?
ওকে আমি প্রতিদিন
জুতো মোজা পরিয়ে দেই
মাঝে মাঝে ওর বন্ধুদের ও পরাই
এতে আমার আনন্দ হয় মা।
তোমার দেয়া বিছানাটায় এখন ভাই সোয়
ওর খুব পছন্দের ওটা..........
আমার কথা ভাবছো ?
আমি সিঁড়ির নিচে মাদুর পেতে শুই
আমার একটুও কষ্ট হয়না মা
জানো ? ...............

ঈদ এলে আমি পুরনো কাপড় পাই।
সে কাপড়ে তোমার ছেলেকে রাজকুমার দেখায় মা।
যে কিনা এক রাজ্যহীন রাজকুমার...............
মা জানো?
বৃষ্টি হলে আমি আজও ভয় পাই
তোমার শেষ পরনে যে কাপড় ছিল
ওটা ঘর থেকে লুকিয়ে এনেছি গো মা
ওটা জুড়ে যে তোমার গন্ধ................
ও গন্ধে আমার আর ভয় হয় না
মা আমার একটা কথা রাখবে ?
আমায় কয়েকদিনের ছুটির ব্যবস্থা করে দেবে?
তোমার কাছে গিয়ে থাকব দু দিন
একটু শান্তিতে ঘুমাব তোমার বুকে ..............




  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

If husband and wife has same blood group what is the problem?



If husband and wife has same blood group what is the problem?

 The problem may not be your blood group but your RH factor. Meaning are one of you positive and the other negative? There can be complications from that.

No, enjoy your life together. A big plus is you can count on each other if for some reason one of you need blood.



If Husband And Wife Have Same Blood Group, Any Problem To Have Babies.what Is The Blood Group Of Their Childrens?

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

তুই আমার হৃদ্স্পন্দন


অলংকরণ: মাসুক হেলাল

আমার হৃদ্স্পন্দন 
হ্যাঁ তাই তো, তুই আমার হৃদ্স্পন্দন। আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসের সঙ্গেই যেন তোকে আমি অনুভব করছি। একটা মুহূর্ত কি তোকে ছাড়া এখন আর ভাবা যায়? কত আগ্রহ আর ভালোবাসার ফসল তুই! তোকে নিয়ে হাজারো ভাবনা, কত কী পরিকল্পনা—কী খেলে তুই সঠিক পুষ্টি পাবি, কতক্ষণ ঘুমালে তোর শরীর সুস্থ থাকবে, কোন বাহনে চড়লে তোর ক্ষতি হবে না। জানিস, দোতলা থেকে ওঠানামা করতে গিয়ে তোর ক্ষতি হতে পারে ভেবে, তোর বাবা আমাকে নানুর বাসায় নিয়ে এসেছে। পত্রিকায় নবজাতক শিশুকে নিয়ে কোনো লেখা থাকলেই তা কেটে নিয়ে রেখে দিই চুপিচুপি, কাজে লাগবে ভেবে। দোকানে ছোট শিশুর কিছু দেখলেই কিনে নিয়ে আসতে ইচ্ছে করে।
কিন্তু সত্যিই কি পারব তেমন পরিবেশ তৈরি করতে? তুই এমনই এক দেশে জন্মাবি, যেখানে হাজারো সমস্যায় মানুষ প্রতিনিয়ত ধুঁকছে। তোর ছোট্ট শরীরটার সঠিক বেড়ে ওঠার জন্য ফল খেতে বলে সবাই, কিন্তু তাতে বিষাক্ত দ্রব্য মেশানো। মাছ খাব, তাতে ফরমালিন দেওয়া; মুরগি খাব, তাতেও নাকি ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান পাওয়া যাচ্ছে। শুনছি বাজারে ডিমেও নাকি কী ভেজাল হচ্ছে। সবকিছু বেছে খেয়ে নাহয় তোকে পৃথিবীতে নিয়েই আসব, তারপর তোকেও একই রকম করে বেছে বেছে খাইয়ে আদর-মমতায় বড় করে তুলব। তুই টুকটুক করে বড় হয়ে ব্যাগ কাঁধে নিয়ে স্কুলে যাবি।
দেশে এখন কচি কচি মাথাগুলোকে শুরুতেই নাকি মহাজ্ঞানী হয়ে উঠতে হবে। আর তাই আনন্দের শৈশব বাদ দিয়ে তোকে সারা দিন এই বই ওই বই নিয়ে বসে থাকতে হবে। 
ছোট্ট প্রাণ আমার, তুই কি মায়ের এমন চিঠিতে ভয় পাচ্ছিস? ভাবছিস, এত মন্দের মাঝে কেন আমাকে নিয়ে আসছ? ভয় পাস না জান আমার। মাঝে মাঝেই ভয় হচ্ছে, মন খারাপ হচ্ছে। এতসব ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে তোকে কীভাবে টিকিয়ে রাখব? পরক্ষণেই নতুন দিনের অপেক্ষায় থাকি। আমাদের ভালোবাসা, যত্ন আর সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে নিশ্চয় আমরা সুস্থভাবে তোকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করব। কারণ, তোরাই তো ভবিষ্যতের কান্ডারি, এই দেশ যে তোদের হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াবে।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা




এ বছরের ২৮ জুলাই পালিত হলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শতবর্ষ। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের মতো এ যুদ্ধের উত্তাপ ঢাকাকেও আলোড়িত করেছিল। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে গঠিত একমাত্র বেঙ্গলি রেজিমেেন্ট কী ছিল ঢাকার ভূমিকা? 
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা১৯১৪ সালের ২৮ জুলাই। শুরু হলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। ৪ আগস্ট এ যুদ্ধে যোগ দিল ইংল্যান্ড। ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১২ লাখ সেনা সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন যুদ্ধের বিভিন্ন রণাঙ্গনে। এ ছাড়া বিভিন্নভাবে অংশ নেন আরও কয়েক লাখ ভারতীয়। তবে এ যুদ্ধে কতটা অবদান ছিল ঢাকার, বাঙালি সেনাদের?

বেঙ্গলি রেজিমেন্টের মনোগ্রাম

প্রথম মহাযুদ্ধের শুরুতে সেনাবাহিনীতে বাঙালির উপস্থিতি ছিল প্রায় শূন্যের কোঠায়। কিন্তু চমকপ্রদ তথ্য হলো, এ যুদ্ধের মাধ্যমেই বাঙালিরা নতুনভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সুযোগ পান। আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে ১৯১৬ সালের ৭ আগস্ট গভর্নর লর্ড কারমাইকেল ঢাকা শহরে বাঙালিদের জন্য একটি পদাতিক রেজিমেন্ট বা পল্টন গঠনের ঘোষণা দিলেন। এই রেজিমেন্টই পরে পরিচিতি পেল ‘৪৯তম বেঙ্গলি রেজিমেন্ট’ বা ‘বাঙালি পল্টন’ হিসেবে। নওশেরা ও করাচিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে মেসোপটেমিয়া ও কুর্দিস্তানের রণাঙ্গনে যোগ দেয় দলটি। সেটা একটু পরের ঘটনা। 
তবে বেঙ্গলি রেজিমেন্ট গঠনের সরকারি সিদ্ধান্তের আগেই কলকাতায় গড়ে ওঠে একটি বেসরকারি সংগঠন—‘বেঙ্গলি রেজিমেন্ট কমিটি’। সে সময় বর্ধমানের মহারাজা বিজয় চাঁদ মাহতাব, ডা. এস কে মল্লিকসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা যুক্ত ছিলেন এর সঙ্গে। এই কমিটির প্রধান কাজ ছিল রেজিমেন্ট গঠনে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ ও সাধারণ মানুষকে এর স্বপক্ষে এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করা। 
ঢাকায় পল্টনের জন্য সেনা সংগ্রহের প্রাথমিক দায়িত্ব দেওয়া হলো আর কে দাস ও শরৎচন্দ্র চক্রবর্তীকে। পরে বেঙ্গলি রেজিমেন্ট কমিটির ঢাকা শাখা গঠিত হলে জেলা কালেক্টর এস জি হার্ট সভাপতি, শ্রীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদক ও গৌরনিতাই শঙ্খনিধি কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। 
বেঙ্গলি রেজিমেন্টে যোগদানে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য ঢাকায় প্রথম জনসভাটি হয় ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে। ঢাকা করোনেশন পার্কে অনুষ্ঠিত এ সভায় অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত থাকলেও সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন ঢাকার নবাব খাজা হাবিবুল্লাহ। সভায় ঢাকার তরুণদের রেজিমেন্টে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন তিনি।
নবাব হাবিবুল্লাহ
বেঙ্গলি রেজিমেন্টে সেনা ভর্তির জন্য সরকারকে সহযোগিতার উদ্দেশ্যে ঢাকা শহরে দুটি বেসরকারি ভর্তি কেন্দ্রের ঘোষণাও এল সভা থেকে—একটি শ্রীশচন্দ্র চ্যাটার্জি ও অন্যটি হাকিম হাবীবুর রহমানের বাসায়। 
২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা সেনানিবাসে সরকারিভাবে শুরু হলো সেনা ভর্তির কাজ। ১৯ অক্টোবর বাঙালি পল্টনে যোগ দিতে ঢাকা থেকে কলকাতায় রওনা হলো প্রথম দলটি। কেমন ছিল সেই ক্ষণ? 
কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইংলিশম্যান-এ লেখা আছে সেই বিবরণ: সকাল সাড়ে এগারোটায় বার লাইব্রেরিতে দলটিকে দেওয়া হলো বিদায় সংবর্ধনা। তারপর বাদকদল ও মিছিলসহকারে তাদের নিয়ে যাওয়া হলো রেলস্টেশনে। চারদিকে তখন জনতার মুহুর্মুহু স্লোগান—‘আল্লাহু আকবর’, ‘বন্দে মাতারাম’। 
১৯১৭-এর ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সদরঘাটে মুসলমানদের এক সভায় নবাব হাবিবুল্লাহ দিলেন বাঙালি পল্টনে যোগদানের ঘোষণা। ২৬ এপ্রিল পল্টনে যোগদানের জন্য করাচির উদ্দেশ্যে রওনা হলেন তিনি। ওই দিন বিকেলে বার অ্যাসোসিয়েশন হলে তাঁকে জানানো হলো জাঁকজমকপূর্ণ বিদায় সম্ভাষণ।
এ সময় ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় সেনা সংগ্রহের জন্য নিয়মিত সভা হতে থাকে। প্রত্যেক সভাতেই তরুণেরা আসতে থাকেন পল্টনে যোগ দেওয়ার জন্য। তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে এ সভাগুলোতে স্থানীয় ব্যক্তিরা ছাড়াও কলকাতা থেকে আসতেন অনেকে—স্যার সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি, ব্যারিস্টার ব্যোমকেশ চক্রবর্তী, সম্পাদক পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়, ড. এস কে মল্লিক প্রমুখ। 
প্রথম দিকে ঢাকার সেনারা রেজিমেন্টে যোগ দিতেন কলকাতা হয়ে। কলকাতা মহিলা সমিতি বিদায়কালে সেনাদের কিছু উপহারসামগ্রী প্রদান করত। ১৯১৭ সালের শুরু থেকে ঢাকায় নির্বাচিত সেনারা রেজিমেন্টে যোগ দিতে সরাসরি করাচি চলে যেতে শুরু করেন। ফলে দুরূহ হয়ে পড়ে সেনাদের উপহার প্রদান। এ সমস্যা দূর করতে ঢাকা শহরের বিশিষ্ট নারীরা ইস্ট বেঙ্গল ইনস্টিটিউশনে সেনাদের সাহায্যার্থে ‘মহিলা সমিতি’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিলেন। দিনটি ছিল ১৯১৭-এর ৩ জুন।
১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর। প্রথম মহাযুদ্ধের বিবদমান দু-পক্ষ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল। ফলে ঢাকাসহ সব ডিপোতে বন্ধ হয়ে গেল সেনা ভর্তি কার্যক্রম। ২৭ নভেম্বর সারা ঢাকায় ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করা হলো বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি। ২৯ নভেম্বর ঢাকার পল্টন ময়দানে হলো আনন্দ উৎসব। এ উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ। শহরের অন্যান্য স্থানেও সে সময় আনন্দ উৎসব হয়, রাতে শহরকে সাজানো হয় বর্ণিল আলোকসজ্জায়। 
শুধু কি তাই, যুদ্ধ শেষের আনন্দে ৩০ নভেম্বর বুড়িগঙ্গার পাড়ে আয়োজন করা হয় কাঙালি ভোজ। রাতে আলোকসজ্জায় উচ্ছল হয়ে ওঠে আহসান মঞ্জিল। 
২৭ ডিসেম্বর বিকেলে নবাব হাবিবুল্লাহ রেজিমেন্ট থেকে ফিরে এলেন ঢাকায়। প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ রেলস্টেশনে উপস্থিত হয়ে পতাকা নাড়িয়ে বাজনা বাজিয়ে সেদিন বরণ করেছিলেন নবাবকে। উচ্ছ্বসিত তরুণেরা গাড়ি থেকে ঘোড়া সরিয়ে নিজেরাই নবাবের গাড়ি টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন আহসান মঞ্জিল পর্যন্ত। 
১৯২০ সালের ৩০ আগস্ট বন্ধ ঘোষণা করা হয় বেঙ্গলি রেজিমেন্ট।
ঢাকায় গৌরনিতাই শঙ্খনিধির বাড়িতে বেঙ্গলি রেজিমেন্টের সৈনিকেরা, ১৯১৭

বেঙ্গলি রেজিমেন্টের টুকিটাকি
বেঙ্গলি রেজিমেন্টে অবিভক্ত বাংলা থেকে সর্বমোট পাঁচ হাজার ৯৫২ জন যোদ্ধা ও ২৩১ জন ফলোয়ার্স যোগ দিয়েছিলেন, এর মধ্যে ঢাকা থেকে যোগ দিয়েছিলেন সবচেয়ে বেশিসংখক তরুণ। এঁদের সংখ্যা ছিল ৬৭৩ জন। 
রোগ-শোকসহ অন্যান্য কারণে বেঙ্গলি রেজিমেন্টের ৬৩ জন সেনা মেসোপটেমিয়ায় মারা যান। এঁদের মধ্যে ছিলেন ঢাকার সিপাই আবদুর রহমান, সিপাই জগদীশ চন্দ্র ব্যানার্জি, সিপাই কামাক্ষ্যা দে, সিপাই রাধিকা মোহন দে, সিপাই সত্য নারায়ণ বোস, সিপাই শ্যামলাল ভট্টাচার্য ও সিপাই সুরেশচন্দ্র বোস। 
অন্যদিকে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ ও যুদ্ধে বিভিন্নভাবে সরকারকে সহযোগিতার জন্য ঢাকার নবাব হাবিবুল্লাহ ‘দি অর্ডার অব ব্রিটিশ ইন্ডিয়া’ খেতাব লাভ করেন। ঢাকায় সেনা ভর্তিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সরকার প্রতিভা নাগ, সরসীবালা চৌধুরানী, শ্রীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, গৌরনিতাই শঙ্খনিধি, খান সাহেব মোহাম্মদ হাফিজ, সারদা প্রসাদ রায় ও রাধাচরণ পোদ্দারকে সনদ প্রদান করে।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কৌতুক....... 15



এক লোকের গরু হারিয়ে গেছে- কোথাও
সে খুজেঁ পাচ্ছেনা,
খুজঁতে খুজঁতে ক্লান্ত হয়ে পার্কের এক
কোনায় এসে বিশ্রাম করছে।
পার্কের অপর এক কোণে বসে 'কপত
কপতি আলাপ আলোচনায় বিভোর,
কপত কপতিকে বলছে - আমি তোমার
চোখে চোখ
রাখলে পুরো পৃথিবীটাকেই দেখি।
এমন সময় পাশে বসে থাকা গরু
হারানো লোকটি উঠে এসে বলে -
আমি আমার গরুটা খুঁজে পাচ্ছিনা, ভাই
দয়া করে ওনার চোখে চোখ
রেখে খুঁজে দেখে বলুন তো আমার
গরুটা কোথায় আছে।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কৌতুক....... 16+17+18


সাজু খাদেম
তারকা ব্যক্তিত্বরা তাঁদের প্রিয় কৌতুক শোনাবেন এই বিভাগে। এবারের তারকা, অভিনেতা সাজু খাদেম

বলুন তো, ভোটপ্রার্থীরা সব সময় আলাদা আলাদা প্রতীক নেন কেন?
কারণ তাঁরা কখনো একমত হতে পারেন না!

বলুন দেখি, সত্য এবং মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য কী?
সত্য বলে ফেললেই হয়। কিন্তু মিথ্যা বলার পর মনে রাখতে হয়!

প্রেমিক–প্রেমিকার মধ্যে কথা হচ্ছে।
প্রেমিক: আমি বোধ হয় তোমাকে বিয়ে করতে পারব না।
প্রেমিকা: কেন?
প্রেমিক: আমার বাসায় ব্যাপারটা মেনে নেবে না।
প্রেমিকা: কে কে আছে তোমার বাসায়?
প্রেমিক: আমার স্ত্রী আর দুই সন্তান।
এক লোক দোকানে গেছে চা খেতে। চায়ে চুমুক দিতে সে বলল, ‘এহহে, কী দিছেন এইটা? এইটার মধ্যে তো পেট্রলের গন্ধ!’
দোকানদার নির্বিকার ভঙ্গিতে বলল, ‘তাহলে এইটা চা না, কফি। কারণ আমাদের চায়ে লোকে পেট্রলের গন্ধ পায়!’
এক লোক বলছে, ‘চুল পড়ে যাচ্ছে। কী করি বলুন তো?’
আমি বললাম, ‘কী আর করবেন, চুলগুলো ঠোঙায় রেখে দিন!’

স্টেশনমাস্টারকে বলছেন এক লোক, ‘ভাই, সিলেটের ট্রেনটা কখন ছাড়বে?’
‘সাড়ে আটটায়।’
‘আর চট্টগ্রামেরটা?’
‘এগারোটায়।’
‘তাহলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেনটা যাবে কখন?’
এবার বিরক্ত হয়ে গেলেন স্টেশনমাস্টার ‘আরে এত ট্রেনের খবর নিচ্ছেন, আপনি যাবেন কোথায়?’
‘না, মানে আমি রেললাইনটা পার হয়ে ওপাশের প্ল্যাটফর্মে যাব তো...’

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

বোকা


.


২০০৯ সালের এক মঙ্গলবার। ঝাড়া দুই ঘণ্টা স্যারের লেকচার শুনে, হলে এসেই বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছি। এক ঘণ্টা পরেই ল্যাবে যেতে হবে। ক্যানটিনে খেতে যাওয়ার আগে, অভ্যাসবশত কম্পিউটার অন করলাম। উদ্দেশ্য ফেসবুক আর মেইল চেক করা। ফেসবুক ইনবক্সে একটা মেসেজ এসেছে। মেসেজটা পড়েই আমি থ। মাত্র দুই লাইনের একটা মেসেজ। লেখা:
‘তুমি কি কিছুই বোেঝা না? হে অবুঝ বালক, কাল সকাল আটটায় সুমনের টঙের দোকানে এসো, সব বুঝতে পারবে।’
মেসেজটা পাঠিয়েছে আমাদের ক্লাসের ইয়াসিমন। ওকে দেখলে তাবৎ ডিপার্টমেন্টের বুকে ধুকপুকানি শুরু হয়, আর আমি তো কোন ছার। এই মেয়ে আমার মতো একটা থার্ড ক্লাস টাইপের ছেলেকে প্রেমের প্রস্তাব পাঠিয়েছে, এমন ব্যাপারও ঘটে!
ল্যাব মাথায় উঠল। তৈরি হতে হবে। তখনই রুমমেট রনির কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার করে, হলের সেলুনে ঢুকে পড়লাম। আধ ঘণ্টার মধ্যে চুল, দাড়ি, গোঁফ আর চে গুয়েভারা হওয়ার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দেওয়া হয়ে গেল। হলের লন্ড্রি থেকে শার্ট আর প্যান্ট ইস্ত্রি করে আনলাম।
তারপর অপেক্ষা। জীবনে প্রথমবারের মতো থিওরি অব রিলেটিভিটি মাথায় ঢুকল। তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় সারা রাত কাটল। সকাল সাতটায় রেডি হয়েই চৌহাট্টা চলে গেলাম। সিলেটের সব ফুলের দোকান ওখানেই। আজকের দিনে ফুলই শ্রেষ্ঠ উপহার। সুনীলের মতো ১০৮টা নীলপদ্ম না হোক, ১০৮টা গোলাপের তোড়া নিয়ে ক্যাম্পাসে হাজির হলাম। গোলাপ খুবই সন্দেহজনক ফুল, তাই তোড়াটা ব্যাগের ভেতরে রেখেছি।
সুমনের টং মানে একটা চায়ের দোকান। আটটার আগেই পৌঁছে গেলাম। বুকটা কোনো কথাই শুনছে না। ধড়ফড় করেই যাচ্ছে। ঠিক আটটায় ইয়াসমিন হলের গেট থেকে বেরিয়ে এল। সঙ্গে আরও দুই-তিনটা মেয়ে। আমার সামনে এসে মুচকি হাসল সে। সঙ্গের মেয়েগুলোর দিকে তাকাল। ওদের মুখেও মুচকি হাসি। তারপর ইয়াসমিন আমাকে জিজ্ঞেস করল—
‘আজ কত তারিখ?’
মোবাইল বের করে দেখলাম, ১ এপ্রিল। সঙ্গে সঙ্গে পুরো ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম। আর ওদের মুচকি হাসি অট্টহাসিতে রূপ নিল। 

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

মিস ইউ দোস্ত


.

এত ব্যস্ততার মধ্যে ভুলেই গেছিলাম রে। আমি জানি না তুই এখন কেমন আছিস। টের পেয়েছিস আজ কী রকম বৃষ্টি হলো! তোর কাঁচা ঘরের ওপর দিয়ে স্রোতের মতো বয়ে যায়নি? আটতলা বিল্ডিংয়ের ভেতর থেকে আমি বুঝতে পারিনি। আমার রুমের দরজা ঠকঠক করে বাড়ি খাচ্ছিল। তোর ঘরের দরজা নিজ হাতে বন্ধ করেছি একটার পর একটা বাঁশ দিয়ে, তারপর ঝুরঝুরে মাটির ছাউনি। কী জানি হয়েছিল তোর? লিভার সিরোসিস? তখন বুঝিনি। এখন বুঝি শালার কী জিনিস এটা। হায়, অনেক আগেই চলে গেলি। 
ভাবতেও পারিনি রে দোস্ত, সত্যি সত্যি চলে যাবি। যদি জানতাম, তাহলে পুরো কলেজ তোর কেবিনের সামনে বসিয়ে দিয়ে যেতাম। চিৎকার করে বলতাম, আমাদের বন্ধুকে ছাড়া সব মজা বাতিল। বড় অসময়ে চলে গেলি, তোর আর সময়জ্ঞান হলো না।
এই দিনটাতেই তোকে আমার মনে পড়ল। ঘোড়ার ডিমের বৃষ্টি তোর কাছে যেতে দিচ্ছে না আমাকে। তবু তোকে আমি স্মরণ করি দোস্ত। আমি জানি, তুই ভালো আছিস। আমি আসব। জানিই তো তুই আগের ঠিকানাতেই আছিস। আমাদের সবগুলো বন্ধুর বুকের কোনো একটা ঘরও কিন্তু তোর জন্য সব সময় খালি আছে। মিস ইউ দোস্ত।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

ভূপাতিত ক্যামেরাম্যান


.


মাস্টার্সের শেষ পরীক্ষার আগে পাঁচ দিন ছুটি। ঠিক হলো বিদায় অনুষ্ঠান এই সময়ের মধ্যেই হবে। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিন বিভাগের সবাইকে নিয়ে। আর শেষ দিন বিদায়ী শিক্ষার্থীদের। ছবি তুলতে পারতাম ভালো। দুই দিনেরই ছবি তোলার দায়িত্ব পড়ল আমার ওপর। 
ঘটনা শেষ দিনেরই। আমাদের কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিকেলে পদ্মায় নৌকাভ্রমণ। আমরা ৩৫ জন। দুটো নৌকা। নদীতে ঘুরছি আর ছবি তুলছি। যার যেভাবে ভালো লাগছে। ক্লোজ, মিড ক্লোজ, সিঙ্গেল, ডাবল। আমার ক্যামেরা এক মুহূর্তের জন্যও থামছে না। 
ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যা। রাতে বিভাগে খাওয়ার আয়োজন ছিল। মনে করিয়ে দিল একজন। নৌকা তীরে ভেড়া শুরু করল। বন্ধু আমিনুল বসেছিল নৌকার মাঝির পাশেই। ও বলল বইঠা হাতে ছবি তুলতে চাই। ছবির বিষয়বস্তু হবে—সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে, মাঝি নৌকা তীরে ভেড়ানোর জন্য দ্রুত বইঠা বাইছে। আমি দাঁড়ালাম নৌকার মাঝখানে। একটা চিকন কাঠের ওপর। অন্য জায়গা থেকে ক্যামেরার পজিশন ভালো হচ্ছিল না। 
ক্যামেরার লেন্স ঠিক হলো। ক্যামেরায় অস্তমিত সূর্য এসে ধরা পড়ল। একটা চমৎকার দৃশ্য। আমি তখন রীতিমতো উত্তেজিত। চিকন কাঠের ওপর দাঁড়িয়ে একটার পর একটা শট নিয়ে যাচ্ছি। খেয়ালই করিনি। নৌকা তীরের প্রায় কাছে এসে পড়েছে। হঠাৎ নৌকা গিয়ে তীরে আঘাত করল। নিজেকে সামলাতে পারলাম না। পড়লাম একেবারে নদীতে। বন্ধুদের সহযোগিতায় ওপরে উঠলাম। 
নিজেদের বিভাগে ফিরে রাতের খাওয়া শেষ করলাম। প্রজেক্টরের বড় পর্দায় বন্ধুরা এবং শিক্ষকেরা দুই দিনে তোলা ছবিগুলো দেখছিলাম। আমার তোলা ছবির সে কি প্রশংসা! বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ সময়ে এসে সবার কাছ থেকে এত প্রশংসা? নিজেকে পেশাদার আলোকচিত্রী মনে হতে লাগল। 
হঠাৎ প্রজেক্টরে যে ছবি ভেসে উঠল, তাতে আমার দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম। আমার নদীতে পড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ওপরে ওঠা পর্যন্ত সব ছবি একটার পর একটা প্রজেক্টরে আসতে লাগল। বিভাগের প্রজেক্টর রুমে তখন হাসি আর থামে না। অন্য নৌকা থেকে ছবিগুলো তুলেছিল আমাদেরই এক বন্ধু। নদীতে আমি, হাতে ক্যামেরা। মজা করে একটা ছবিতে ওরা ক্যাপশনও দিয়েছিল ‘ভূপাতিত ক্যামেরাম্যান’।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

ভালোবাসার কথা কীভাবে বলবেন...............




ও, এই ব্যাপার! তাহলে শুনুন এক তরুণীর কথা—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। দুদিন পরেই মাস্টার্স শেষ হয়ে যাবে। মা-বাবা বিয়ের জন্য হন্যে হয়ে পাত্র খুঁজছে। কিন্তু আমি তো প্রেমের জোয়ারে ভাসছি। আমার মনে একটা অসম্ভব স্বপ্ন সেই কবে থেকে লালন করে চলেছি। নির্জন নদীতটে বসে শুধু আমি আর ও গল্প করছি। বর্ষাস্নাত ঘাসের কচিপাতা আনমনে তুলে চিবুতে চিবুতে হঠাৎ শুনলাম তার মুখ থেকে, বহু প্রত্যাশিত সেই কথাটা, আমি তোমায় ভালোবাসি! যেন কত দূর থেকে, কিন্তু কত স্পষ্টভাবে ভেসে এসে মনটা ভরিয়ে দিয়ে গেল এক দমকা হাওয়ার ছোঁয়া। ব্যস, আর কী চাই! সেই তরুণীর মনোবাসনা পূর্ণ হয়েছিল। আবার অন্যরকম ঘটনাও আছে। এক ছবিতে অমিতাভ বচ্চন ও টাবু চুটিয়ে প্রেম করছে, কিন্তু দুজনের কেউই এগিয়ে এসে প্রেম নিবেদন করছে না। একদিন পার্কে বসে আছে। সপ্রতিভ টাবু অমিতাভকে বলল ‘হামে কুছ পুছো!’, মানে, ‘আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করো!’ ‘কী জিজ্ঞেস করব?’ টাবু লাজরাঙা, বলল, ‘এই...মানে, তুমি আমার কাছ থেকে যা জানতে চাও!’ অমিতাভ ইতস্তত, বলল, ‘কী জানতে চাই?’ টাবু হতবাক। বলল, ‘আমি জানি না।’ অমিতাভ, ‘তাহলে তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করো!’ টাবু হেসে বলে, ‘করব জিজ্ঞেস? উঁ উঁ উঁ...তোমার নাম কী? হিঃ হিঃ হিঃ।’
প্রেম নিবেদনে আবেগ, কাব্য, নিসর্গ আর সবচেয়ে বড়, আত্মবিশ্বাস লাগে। নিচের পরামর্শগুলো কাজে লাগাতে পারেন:
১. তাড়াহুড়ো একদম না। প্রেম যত গভীর হবে, প্রেম নিবেদনের সুযোগ ততই সহজ ও স্বাভাবিক হবে।
২. ওর ভালো লাগার বিষয়গুলো একেবারে আপন করে নিন। মর্যাদা দিন। এরপর আস্থার সঙ্গে এগিয়ে যান।
৩. প্রথম দেখায় প্রেম, কথাটা মিথ্যে নয়। তাই প্রেম নিবেদনের জন্য বেছে নিন সেই স্থানটি, যেখানে প্রথম আপনাদের চোখে-চোখে মন দেওয়া-নেওয়া হয়েছিল।
৪. আত্মবিশ্বাস রাখুন। ইনিয়ে-বিনিয়ে বলবেন না, সেটা কাপুরুষতা। যা বলবেন, স্পষ্ট বলবেন।
৫. প্রেম নিবেদনের মাহেন্দ্রক্ষণে কিন্তু তৃতীয় ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে যাবেন না, তাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে!

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

একটি ১০ টাকার নোট




প্রতিবারই ঈদের সাত দিন আগে আমার প্রচণ্ড অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তায় কাটে। ঈদের আগের দিন মোটামুটি সব কাজ গুছিয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম আজ গাড়ি যে সিগন্যালে আটকাবে প্রত্যেকটা বাচ্চাকে একটা নতুন ১০ টাকার নোট দেব। একটা ১০ টাকার নতুন বান্ডিল সঙ্গে করে বেরোলাম।
প্রথমেই শাহীন কমপ্লেক্স থেকে কিছু বাজার শেষে বের হওয়ার সময় ছোট্ট দুটো শিশুকে দেখলাম গাড়ির সামনে দাঁড়াল কিন্তু আমাকে দেখে টাকার জন্য হাত বাড়াচ্ছে না! আগের গাড়িতে ওরা হাত পেতে বিফল হয়েছিল। আমি ১০ টাকার নতুন নোট দেওয়ামাত্র উল্লাসে ফেটে পড়ল! যথারীতি আরও আট-দশজন বড়-ছোট মিলিয়ে হাজির। প্রত্যেককে একটা করে নোট দিলাম। কী যে খুশি ওরা! অথচ এই ১০ টাকায় কিছুই হবে না। কিন্তু ঈদ বলে কথা! 
এরপর গাড়ি নিয়ে গুলশানের দিকে রওনা হলাম। মহাখালী রেলগেটের সিগন্যালে গাড়ি থামল। একটা ছোট্ট ছেলে আমার গাড়ির গ্লাস মুছতে শুরু করল। অমনি আমার ছেলে রিজুর কথা মনে পড়ল, ছেলেটা ওর বয়সেরই হবে। সব সময় আতঙ্কে থাকি ও ব্যথা পায় কি না, ও খাট থেকে পড়ে যায় কি না, ছাদে একা গেছে কি না, কিংবা একমুহূর্তের জন্য বিদ্যুৎ চলে গেলে এসি বন্ধ হয়ে ঘেমে কষ্ট পেল কি না!! অথচ এই পথশিশুটি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সকাল থেকে রাত অবধি আধপেটা খেয়ে এভাবেই কারও গাড়ি মুছে বেড়াচ্ছে। ওকে ডেকে নাম জিজ্ঞাসা করলাম, বলল, হৃদয়। দুইটা ১০ টাকার নোট দিতেই উল্লাসে দৌড়ে রাস্তা পার হয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। কষ্ট পাই যখন দেখি গাড়ি থেকে এই শিশুগুলোকে দেখেও না দেখার ভান করে । 
এসব ভাবতে ভাবতে অন্যমনস্ক ছিলাম বোধ হয় কিছুক্ষণ। হঠাৎ পেছন থেকে সব গাড়ির তীব্র হর্ন বাজতে লাগল; ট্রেন চলে গেছে। আমাকেও ছুটতে হলো ব্যস্ত ঢাকার রাজপথে আরেকটি নতুন ১০ টাকার নোটের গল্পের খোঁজে।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

সবজান্তা


.


একটি জরিপে জানা গেছে, প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে আটজনই স্বামী হিসেবে ভালো ‘সেন্স অব হিউমার’সম্পন্ন পুরুষ চান।


সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ৪৫ বছর বয়সী একজন মধ্যবয়স্ক মানুষের চেয়ে ছয় বছরের একটি শিশু আধুনিক প্রযুক্তি সহজে বুঝতে পারে।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

জলছবি


অলংকরণ: মাসুক হেলাল


টেবিলের ওপর একটা কাচের গ্লাসে অর্ধেক পানিতে একটা ফুলসুদ্ধ রজনীগন্ধার ডাঁটা রাখা। মিলন একবার ডাঁটাটি হাতে নিচ্ছে, আবার রাখছে। সন্ধ্যায় ফুলের দোকান থেকে কিনে এনেছে। ওর এ এক অদ্ভুত খেয়াল—যতবারই জান্নাতের সঙ্গে দেখা হয়, ততবারই একটি ফুল হাতে ধরে সামনে দাঁড়ায়। এখন ঘড়ির কাঁটা রাত দুইটার ঘরে। মিলনের চোখে ঘুম নেই। অস্থিরতা ওকে ঘুমোতে দিচ্ছে না। আবার মোবাইলে সে সময় দেখল এবং অস্থিরতার মাত্রা বাড়ল। সে এখন ভোরের অপেক্ষা করছে। শেষরাতের দিকে মিলন ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল, কিন্তু তার মস্তিষ্ক তাকে সকাল সাতটার দিকে জাগিয়ে দিল। বুক ধক করে উঠল তার। আজ জান্নাত আসছে, জান্নাত আসছে...।
নিজেকে পরিপাটি করে তুলতে ১০ মিনিটের বেশি সময় নিল না। আয়নায় নিজেকে একবার দেখল। তার চোখে-মুখে একচিলতে হাসির রেখা ফুটে উঠল। তার সমস্ত মন-প্রাণ যেন খুশির আভায় নেচে উঠতে চাইছে।
বাসা থেকে সোজা বাসস্ট্যান্ডে চলে এল মিলন। মনে ভীষণ অস্থিরতা কাজ করছে। সেটা চাপা দিতেই সে জান্নাতকে ফোন দিল। কিন্তু জান্নাত ফোন রিসিভ করল না। সময় সকাল আটটার কাঁটা পেরিয়ে গেছে। গতকাল জান্নাত ফোনে বলেছিল, সকাল আটটার দিকে ওদের বাড়ি থেকে রওয়ানা দেবে। তার মানে ১১টার আগে ও পৌঁছে যাবে।
সকাল ১০টার দিকে মিলনের বাস গন্তব্যে পৌঁছে গেল। বাস থেকে নেমে পল্টন ঘাটে অপেক্ষা করতে লাগল মিলন। জান্নাত জানে না মিলনের আজকের পাগলামির কথা। আগে থেকে জানালে কিছুতেই মিলনকে এ পাগলামির সুযোগ দিত না। জান্নাতকে চমকে দিতে চায় মিলন। গত এক সপ্তাহ মিলনের সময় যে কীভাবে কেটেছে, তা কি জান্নাত একবারও ভেবেছে? ছাই ভেবেছে, মিলন বলে। ভাবলে কি ওকে ফেলে গ্রামে ঈদ করতে যেত। মিলনের অভিমান আকাশ ছোঁয়। এ সময় দমকা বাতাস মিলনের মাথার চুলগুলো এলোমেলো করে দিয়ে যায়। মিলন এবার নিজের মাথায় নিজে চাটি মেরে বলে, ছুটিতে সবাই গ্রামে ঈদ করতে যাবে না তো কোথায় যাবে? তার মতো তো আর সবার আবাস শহরে নয়। আপন মনে এবার একগাল হাসল সে। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করে দেখে, জান্নাত তাকে কল দিয়েছে চারবার। আহা রে, মেয়েটা রেগে গেছে হয়তো! চটজলদি কল দিল সে। অপর প্রান্তে রিসিভ হলো, হ্যালো, হ্যালো...শোনো, আমি রওনা দিয়েছি। আজই ফিরছি...এত শব্দ...আমার কথা শুনতে পাচ্ছ?
মোবাইলের নেটওয়ার্ক এত খারাপ না যে লাইনটা কেটে যাবে, তবু গেল। অদ্ভুত! বিরক্তি প্রকাশ করল মিলন। আবারও কল দিল। কিন্তু রিসিভ হলো না। মিলনের মোবাইলে টেক্সট টোন বেজে উঠল। জান্নাতের টেক্সট। লিখেছে, ‘ফেসবুকে আসো। এখনই একটা ছবি পোষ্ট দিয়েছি—আমার ‘জলছবি’। তুমি নাকি কত দিন আমাকে দেখো না।’ ফেসুবক খুলে মিলন ভীষণ অবাক হলো, পাগলিটার কাণ্ড দেখো, খোলা বাতাসে চুলগুলোর অবস্থা কী করেছে! এই ছবি দেখে কে না বলবে, আসল পাগলি একটা! চারপাশে এত ভিড়ের মধ্যে...পারেও বটে মেয়েটা...হা হা হা!
আবারও কল দিল মিলন কিন্তু রিসিভ হলো না অপর প্রান্ত থেকে। কিন্তু মিলনের ভাগ্য প্রসন্ন হলো মিনিট তিনেক সময় পর, দ্বিতীয়বারের মতো টেক্সট টোন বেজে উঠল, ‘মিলু, এত মানুষের ভিড়ের মধ্যে কথা বলতে পারছি না, আর কিছু সময় পরই ঘাটে পৌঁছে যাব। তারপর তোমাকে কল দেব। আর বিকেলে তো আমাদের দেখা হচ্ছে...প্লিজ অস্থির হয়ো না।’ মিলনের চোখ খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে গেল। চোখের দৃষ্টি সামনে মেলে দিল। যত দূর চোখের দৃষ্টি দেওয়া যায় দিল সে। তবু সময় যেন কাটে না, সামিনা চৌধুরীর গানের মতো অবস্থা এখন মিলনের। সে সময় মিলনের আনন্দমিশ্রিত অস্থির সময়কে আড়াল করে চারপাশ থেকে মানুষের চিত্কার ভেসে এল। মিলন ব্যাপারটায় গুরুত্ব দেয় না, সে দূরে চোখ মেলে তাকিয়েই আছে পলক না ফেলা চোখে। একসময় আরও শত মানুষের চোখের মতো তার চোখও দৃশ্যটা দেখল। দেখল এবং তার বুক মুহূর্তের জন্য অবশ হয়ে গেল। মোবাইলের টেক্সট টোনের আওয়াজে সংবিৎ এল তার। আবারও জান্নাতের টেক্সট, ‘মিলু, আমাদের লঞ্চটা ডুবে যাচ্ছে, তোমার জান্নাত ডুবে যাচ্ছে.............

সূত্র : অনলাইন 

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কৌতুক....... 21+22+23


চঞ্চল চৌধুরী

তারকা ব্যক্তিত্বরা তাঁদের প্রিয় কৌতুক শোনাবেন এই বিভাগে।এবারের তারকা অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী
কর্মচারী :- স্যার, আমার পাঁচ দিনের ছুটি চাই।
বস: কেন? মাত্রই তো তুমি ১০ দিন ছুটি কাটিয়ে ফিরলে।
কর্মচারী :-  স্যার, আমার বিয়ে।
বস :- বিয়ে করবে ভালো কথা। তো এত দিন ছুটি কাটালে, তখন বিয়ে করোনি কেন ?
কর্মচারী :-  মাথা খারাপ ? বিয়ে করে আমার সুন্দর ছুটির দিনগুলো নষ্ট করব নাকি ?

এক কৃপণ গেছে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে.............

কৃপণ: ভাই, আমার মামা মারা গেছেন। সবচেয়ে ছোট্ট একটা বিজ্ঞাপন দিতে কত টাকা লাগবে?
কর্মকর্তা :- ১০০ টাকা।
কৃপণ :-  ওহ্! এত? আচ্ছা যাক, দিলাম না–হয় ১০০ টাকা। লিখুন, ‘রফিক সাহেব মারা গেছেন।’
কর্মকর্তা :- স্যার, কমপক্ষে আট শব্দের হতে হবে।
কৃপণ :-  আচ্ছা, তাহলে লিখুন, ‘রফিক সাহেব মারা গেছেন। একটি গাড়ি বিক্রয় হইবে।’


অফিসে দুই সহকর্মী কালাম ও সালামের মধ্যে কথা হচ্ছে........

কালাম :- ‘বুঝলেন সালাম সাহেব, বুদ্ধি থাকলে সবই হয়। আমার বুদ্ধি আছে বলেই বড় খরচের হাত থেকে বেঁচে গেলাম।’
সালাম এতক্ষণ কাজে ডুবে থাকলেও যখন খরচ থেকে বেঁচে যাওয়ার কথা শুনলেন, তখন কান খাড়া করলেন, ‘কী রকম?’
কালাম :- ‘সেদিন আমার ছোট ছেলেটা চিড়িয়াখানায় যাওয়ার জন্য বায়না ধরল। অনেক বোঝালাম, কিন্তু কে শোনে কার কথা। চিড়িয়াখানায় সে যাবেই। অজগর সে দেখবেই। এরপর আমি বুদ্ধি করে বাড়িতে বসিয়েই অজগর দেখিয়ে দিলাম।’
সালাম বেশ অবাক হলেন, ‘বলেন কী! বাড়িতে অজগর পেলেন কোথায়?’
কালাম হাসতে হাসতে বললেন, ‘একটা কেঁচো ধরে আনলাম। তারপর আতশি কাচ দিয়ে ওই কেঁচোই দেখিয়ে বললাম, এই দেখো অজগর।’

ডিসিপ্লিন কী ?

বসের চেয়ে বোকা হওয়ার ভান করার শিল্প।

স্বামী: জলদি ঘরের সব দামি জিনিসপত্র লুকিয়ে ফেলো! আমার কয়েকজন বন্ধু বাড়িতে আসছে।
স্ত্রী: কেন? তোমার বন্ধুরা কি সেসব চুরি করবে?
স্বামী: না। নিজেদের জিনিস চিনে ফেলতে পারে!



  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

সময় নেই, ব্যায়াম করব কখন




আব্দুল কাইয়ুম


আপনি সময় পান না বলে ব্যায়াম করেন না। কিন্তু ভালোভাবেই জানেন, নিয়মিত ব্যায়ামে শরীর মন ভালো থাকে। যাকে বলে জিরো-সাইজ, সেটাও হয়। আজকাল জগিং, সাঁতার, সাইক্লিং—এসব তো চলছেই। চায়ের আসরে সবাই গল্প করে, এই জানিস, আজ হেলথ ক্লাবে না রিয়ার সঙ্গে দেখা, ও বলল...। আপনি একঘরে হয়ে পড়লেন। তাহলে কী করা? হ্যাঁ, নো প্রবলেম। এরও সমাধান আছে। সময় নেই? ও কিছু না। মাত্র পাঁচ মিনিট। হ্যাঁ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ মিনিটই যথেষ্ট। সকালে বা সন্ধ্যায় কাছের কোনো পার্কে, না হলে একটু নিরিবিলি রাস্তায় জোরসে দৌড়। দিনের জন্য এটাই যথেষ্ট। ফিটফাট শরীর বা জিরো-ফিগার, যা চান সবই পাবেন। ভাবছেন, এটা আবার কোনো ব্যায়াম হলো, বন্ধুরা শুনলে তো হাসবে! আরে না না। অত কাঁচা কাজ কি আপনি করবেন। এটা তো আপনার মস্তিষ্কজাত উদ্ভট ফর্মুলা নয়। নিউইয়র্ক টাইমস (জুলাই ৩০, ২০১৪) বলছে, ব্যায়াম ও মৃত্যুহার সম্পর্কে ব্যাপক পরিসরে পরিচালিত জরিপে জানা গেছে, দিনে মাত্র পাঁচ মিনিট দৌড়ালে অস্বাভাবিক মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা যায়। এদের মৃত্যুঝুঁকি অন্তত এক-তৃতীয়াংশ কম। তাঁদের আয়ু, যাঁরা মোটেও ব্যায়াম করেন না তাঁদের চেয়ে গড়ে অন্তত তিন বছর বেশি বলে নিরীক্ষায় জানা গেছে। তার মানে রোগবালাই, কঠিন অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকা যায়। মন প্রফুল্ল থাকে। ব্যায়ামের উপকারিতা সম্পর্কে ২০০৮ ফেডারেল ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি ফর আমেরিকাসে হাজার হাজার নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, সুস্বাস্থে৵র জন্য সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটুন। তবে একটু জোরে হাঁটলে বা দৌড়ালে একই উপকারিতা পাওয়া যাবে। দিনে পাঁচ মিনিটের দৌড় সেখান থেকেই এসেছে। প্রতিদিন পাঁচ মিনিট না হাঁটতে পারলে, সপ্তাহে দুই দিন পাঁচ মিনিট করে আর শুক্র-শনি ১৫ মিনিট করে দৌড়ান, আপনি একদম ফিট। জেনে নিন আরও কিছু টিপ্স।


১ : যদি নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস না থাকে, তাহলে ব্যায়াম শুরু করুন ধীরে ধীরে। প্রথম সপ্তাহে দিনে দুই মিনিট জোরে দৌড়, এরপর পাঁচ মিনিট মাঝারি গতিতে হাঁটা। পরের সপ্তাহে তিন মিনিট করে দৌড়, তিন মিনিট মাঝারি গতিতে হাঁটা। লক্ষ রাখুন, শরীর নিতে পারছে কি না। যদি চাপ পড়ে, তাহলে আরও ধীরে ধীরে গতি বাড়ান। ধীরে ধীরে এক মাসে দিনে পাঁচ মিনিট হাঁটায় অভ্যস্ত হোন।

২  : ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ভাজাপোড়া, ট্রান্সফ্যাটে তৈরি খাবার নিষেধ।

৩ :  পরিষ্কার বাতাসে দৌড়ান। ধুলাবালু বেশি থাকলে সমস্যা।

৪  :  আপনার জন্য ২৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে এক দিন। বাকি ১৫ মিনিট আপনার নয়, ব্যায়ামের! এভাবে হিসাব করলে আপনি যত ব্যস্তই থাকুন, দিনে ১৫ মিনিটের ব্যায়াম কঠিন কিছু হবে না।

৫ :  আপনার বয়স বেশি বা হার্ট-লাংসের সমস্যা থাকলে প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।






  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

স্ট্যাটাস



‘অনেক স্বপ্ন আছে চোখে, কেউ যাতে বুঝে না ফেলে তাই চোখ ঢেকে রাখি’

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

আমাদের স্যার








স্যার ছিলেন ভয়ংকর রাগী! একটু এদিক-সেদিক হলেই ছাত্রদের কী মারটাই না মারতেন! স্যারের ক্লাসে সবাই ভয়ে গুটিসুটি মেরে থাকত। আমিও যে কতবার মার খেয়েছি তাঁর হাতে। স্যার একবার কেন যেন বলেছিলেন, ‘তুই ডাক্তার হবি। রোগী তোর হাসিখুশি চেহারা দেখেই ভালো হয়ে যাবে।’
কথাটা মনের ভেতর গেঁথে গিয়েছিল। তারপর স্কুল ছেড়ে কলেজ, কলেজ পেরিয়ে ভর্তিযুদ্ধ। অনেকগুলো দিন কেটে গিয়েছে। মেডিকেলে সুযোগ পাওয়ার পর স্যারের সঙ্গে দেখা করে বললাম, ‘স্যার, আমি মেডিকেলে চান্স পেয়েছি।’
ভয়ংকর রাগী মানুষটা সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। ছাত্রদের ডেকে ডেকে বললেন, ‘এই ভাইয়াটা একজন ডাক্তার। আমার ছাত্র।’ মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পাওয়াতেই ‘ডাক্তার’ সম্বোধন এবং ‘আমার ছাত্র’—এ কথা বলার সময় স্যারের গর্বিত কণ্ঠে আমার প্রতি যে ভালোবাসা বুঝতে পেরেছিলাম, তাতে কখন যে চোখে পানি এসে গিয়েছিল, টের পাইনি। ভালো থাকুক আমার স্যার।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

ইচ্ছেপূরণ





আমরা তখন খুলনায় থাকি, আর বাবা ঢাকায় চাকরি করেন। ঈদের ছুটিতে বাবা খুলনায় যাচ্ছিলেন ট্রেনে করে। বাবার সিটের সামনে ​ভিড় করে দাঁড়ানো ছিলেন বেশ কজন খেটে খাওয়া মানুষ। তাঁদের কথাবার্তায় জানা গেল, তাঁরাও ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছেন। সুখ-দুঃখ আর জীবনযুদ্ধের কথা বলছিলেন তাঁরা। একপর্যায়ে একজন আরেকজনকে বললেন, ‘গত ঈদে তাও হাতে করে ছেলেমেয়েদের জন্য সেমাই, নারকেল, দুধ, চিনি এসব নিতে পারছি, এবার তো কিছুই নিতে পারলাম না। বলতে গেলে শূন্য হাতে বাড়ি ফিরছি।’ কত সামান্যই না লাগে একটা মানুষের ইচ্ছে পূরণ করতে! বাবা লোকটির হাতে কিছু টাকা দিতে চাইলেন, যেন তিনি এবারেও বাড়ির জন্য অন্তত সেমাই, চিনি এসব কিনে নিতে পারেন। কিন্তু তাঁদের কথার মধ্যে কীভাবে ঢুকবেন, কী বলে টাকাটা দেবেন, এ নিয়ে বাবা ইতস্তত করছিলেন। অনেক বছর পরে বাবার মুখে ঘটনাটি শুনে অদেখা লোকটির জন্য আমার মায়া হয়েছিল।
একবার আমি একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গেছি। সেখানে ব্রাজিলের এক মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হলো। একদিন সে আমার পরা পছন্দের লাল সিল্কের শাড়িটি চেয়ে বসল। আমি ইতস্তত করছিলাম দেখে সে আমাকে ডলার সাধল। তবু আমি তাকে শাড়িটি দিলাম না। দেশে ফেরার পর যতবারই শাড়িটি দেখেছি বা পরেছি, মেয়েটির কথা আমার মনে পড়েছে। অবাক হয়ে লক্ষ করছি, আমি আর কোনো দিনই শাড়িটি আনন্দের সঙ্গে পরতে পারিনি। কী হতো শাড়িটি মেয়েটিকে দিয়ে দিলে? ওর হয়তো একটা ইচ্ছে পূরণ হতো। আর আমাকে মনে রাখত, বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ের উষ্ণতার কথা নিশ্চয়ই ভুলত না কোনো দিন সে। 
বাবা কদিন আগে চিরকালের জন্য চলে গেলেন। একদিন আমিও যাব। আজ তাই ভাবি, সময়ের ফোঁড়টি যদি বাবা আর আমি সময়েই দিতে পারতাম, তবে নিজের কাছে এমন ছোট হয়ে থাকতে হতো না।



  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

বে-আক্কেল দাঁত



বলা ​নেই কওয়া নেই, সে কী দাঁতের ব্যথা। টানা তিন দিন হতে চলল, ব্যথা কমবে কী, উল্টো গাল ফুলতে শুরু করল। অবস্থা বেগতিক দেখে শেষে ধরনা দিলাম ভার্সিটির মেডিকেল সেন্টারে।  চিকিৎ​সক বড় বিচক্ষণ লোক, গালে হাত বোলাতে হলো না, হাতে টর্চ নিয়ে মুখ হাঁ করতে বললেন না, শুধু আমার দেওয়া বর্ণনা শুনেই বুঝে গেলেন সব। বেশ ঠান্ডা গলায় বললেন, ‘আপনার তো দাঁত উঠছে।’ শুনে আমি আকাশ থেকে না পড়লেও চেয়ার থেকে পড়ে যাচ্ছিলাম প্রায়, হাতল ছিল বলে রক্ষা। বলেন কী! আমার মতো বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া বুড়ো ছেলেদেরও দাঁত ওঠে! চিকিৎ​সক মৃদু হাস্যে বলে চললেন, ‘...আক্কেল দাঁত উঠছে আপনার। গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলি করবেন। একটু যা ব্যথা লাগবে, সহ্য করে নেবেন। তবে ভয়ের কিছু নেই। ইটস ন্যাচারাল।’ চিকিৎ​সক আমায় অভয় দিলেন, সেই সঙ্গে লিখে দিলেন কিছু ব্যথানাশক ওষুধের নাম-ঠিকানা।
বাসায় ফিরে আম্মাকে ফোন করলাম। ফোন করলাম মে​েজা ভাইকে, কথা হলো বন্ধু যুবরাজের সঙ্গেও। তাদের কথায় আস্থা ফিরে পেলাম বটে কিন্তু দাঁতের ব্যথা কমছে না মোটেই। গাল ফুলে রীতিমতো বালিশ হয়ে আছে, দেখে মনে হবে নাড়ু মুখে নিয়ে বসে আছি। আমার অবস্থা শুনে ফোনের ও পাশে বন্ধু যুবরাজের অট্টহাসি। আমি দাঁতের ব্যথায় মরি, আর ও হাসিতে খায় গড়াগড়ি। ওর হাসি থামে না। ঠাট্টার সুরে বলে, ‘ছোট শিশু তো’। যাহ্‌! ঠাট্টা রাখ তো।
ব্যথা ক্রমেই বাড়ছে, সঙ্গে জ্বরে কাঁপাকাঁপি অবস্থায় পড়ে আমি ঘাবড়ে গেলাম। মেসের এক বড় ভাইয়ের কথায় আমি আরও ভড়কে গেলাম, উনার নাকি অপারেশন করে দাঁত তুলে ফেলতে হয়েছিল। আমি আরও বড় চিকিৎ​সকের কাছে গেলাম। দাঁতের এক্স-রে করালাম। আমার চোখের সামনে এক্স-রে রিপোর্ট ধরে চিকিৎ​সক বললেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই উঠছে দাঁত। দাঁতে দাঁতে কোনো ঠোকাঠুকির যুদ্ধ নেই যে দাঁত তুলে ফেলতে হবে।’ যাক বাবা, বাঁচা গেল! ‘তেমন বড় কোনো সমস্যা না’ এইটুক নিশ্চিত হওয়া গেল। অতঃপর ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে থামল আমার আক্কেল দাঁতের বে-আক্কেল আচরণ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কৌতুক..... 19








রাজু :  ঘুষি মেরে দাঁত ফেলে দিয়েছে, উফ্!
শামীম : কে?
রাজু : ডাক্তার
শামীম : বলো কী! কেন?
রাজু : আমিই বলেছিলাম সবচেয়ে কম পয়সায় দাঁত তোলার পদ্ধতি ব্যবহার করতে........


  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

গল্প


সমাধান



অলংকরণ: মাসুক হেলাল


মাথা উঁচু করে যখন পাশের আমগাছটার একটা ডাল জড়িয়ে ধরল, তখন বাড়ির সবার নজর পড়ল কুমড়োগাছটার ওপর। সবাই বুঝতেও পারল কুমড়োগাছটা বেশ বড় হয়েছে। বীজটা কে কখন পুতেছিল, তা যেমন কেউ মনে করতে পারে না, তেমনি কেউ জোর করে বলতেও পারে না ‘বীজটা সে পুতেছিল’। কোনো রকম যত্নআত্তি ছাড়াই গাছটা যেভাবে বাড়ছিল, তাতে বাড়ির লোক তো বটেই, আশপাশের লোকজনও বলছিল, বাহ! গাছটা তো খুব সুন্দর হয়েছে। 
গাছটার বয়স বাড়তে লাগল, ফুল এল। কিছুদিনের মধ্যে কুমড়োর জালিও (ছোট কুমড়ো) দেখা গেল কয়েকটা। বাড়ির লোকজন, আশপাশের লোকজন দেখে খুব খুশি হলো। 
কিন্তু বাড়ির দুই বউ মনে মনে অন্য হিসাব আরম্ভ শুরু করল । বড় বউ ভাবছিল, আমগাছটা তার। তাই কুমড়ো যা হবে তার ভাগ-বাঁটোয়ারা সে নিজের হাতেই করবে। মেজ বউ ভাবছিল, জায়গাটা তাদের। তাই কুমড়ো সে যেভাবে ভাগ করবে, সবাইকে তা-ই মেনে নিতে হবে। 
এ হিসাব চলছিল মনে মনেই, সবার অগোচরে। যে গাছটাকে নিয়ে এত জটিল হিসাব-নিকাশ, সেই কুমড়োগাছ কিন্তু জানতেও পারল না যে তাকে নিয়ে এত জটিল হিসাব-নিকাশ চলছে। 
কয়েক দিন পরের কথা। মেজ বউয়ের রান্নাঘরে রান্না করার মতো কোনো তরকারি ছিল না। তাই সে চিন্তা করল, একটা কুমড়ো ছিঁড়ে রান্না করবে। হলোও তাই। কুমড়ো মেজ বউয়ের বঁটির ধারে টুকরো টুকরো হয়ে কড়াইতে উঠে খাদ্য-উপযোগী হওয়ার আগেই বাধল বিপত্তি। বড় বউ টের পেল কুমড়ো ছেঁড়া হয়েছে। সেটা কিছুতেই সে মেনে নিতে পারল না । এক কথা, দুই কথা হতে হতে শুরু হলো ঝগড়া। সেটা একসময় তুমুল পর্যায়ে পৌঁছাল। কুমড়ো নিয়ে ঝগড়া শুরু হলেও সেটার শাখা-প্রশাখা গজাতে গজাতে এমন পর্যায়ে পৌঁছাল যে কুমড়ো আর কারও খাওয়া হলো না। মেজ বউ রান্না করা কুমড়ো নিয়ে পুকুরে ফেলে দিল। একসঙ্গে থাকাবস্থায় যেসব কথা এত দিন বলতে পারেনি, সেসব কথাও উঠে এল ঝগড়ার ভেতর।
কিছুদিন পরের কথা। বাড়ির কাজের লোক গরু বের করছিল। দুই গরু একসঙ্গে ছেড়ে দিয়ে আরেকটাকে সে পানি খাওয়াচ্ছিল। গরু দুইটি বাড়ির মধ্য থেকে বের হয়ে এসে আমগাছটার তলায় গিয়ে একটু সময় দাঁড়াল। তারপর দুই বউয়ের সব হিসাব-নিকাশের অবসান ঘটিয়ে সোজা গিয়ে কুমড়োগাছ খাওয়া আরম্ভ করল। কাজের লোক যখন বাইরে এল, তখন কুমড়োগাছের অর্ধেক গরুর পেটে আর কিছু মুখে। গাছে কুমড়োর যে শাখা-প্রশাখাটুকু ছিল, তা যেন বাড়ির দুই বউয়ের দিকে শূন্য থেকে দৃষ্টি মেলে মিটমিট করে হাসছিল।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

ভূউউউত!!

.


ভূত দেখেছ কখনো? ভূত বলে কিছু থাকুক বা না থাকুক, ভূতের ভয় বলে একটা ব্যাপার আছে ঠিকই। সর্বোচ্চ ৪০০ শব্দের মধ্যে লিখে ফেলো ভূত নিয়ে মজার কিংবা ভয়ংকর অভিজ্ঞতা, গল্প অথবা ছড়া। আঁকতে পারো ভূতের ছবি অথবা কার্টুনও। পাঠিয়ে দাও গোল্লাছুটের ঠিকানায়, ২৫ আগস্টের মধ্যে।
লেখার সঙ্গে অবশ্যই তোমার পুরো নাম, শ্রেণি, স্কুলের নাম, ঠিকানা আর যোগাযোগের নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
খামের ওপর যা লিখবে
ভূউউউত!!গোল্লাছুট
প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। অথবা ই-মেইল করতে পারো এই ঠিকানায়: gollachut@prothom-alo.info

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

প্রধান অতিথির বিপদ


.



আমরা তখন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলাম। ক্লাস ক্যাপ্টেন হিসেবে বিদায় অনুষ্ঠান আয়োজনের ভার পড়ল আমাদের ওপর। মানপত্র লেখা থেকে শুরু করে মেহমানদের দাওয়াত পাঠানো—সব কাজই ঠিকঠাক হচ্ছিল। কিন্তু গোল বাধল প্রধান অতিথির বেলায়। কথা ছিল অনুষ্ঠানের শেষ দিকে উনি আসবেন। কিন্তু কী কপাল! দেখি, উনি আগেভাগেই এসে হাজির। আমাদের খুশি হওয়ার কথা, কিন্তু তার বদলে আমাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। কারণ, ওনাকে আপ্যায়নের জন্য মিষ্টি দেওয়ার কথা। সেই মিষ্টি এসে পৌঁছায়নি। এখন কী উপায়? শুনলাম, অন্য কেউ আমাদের অর্ডার দেওয়া মিষ্টি নিয়ে গেছে।
তুরন্ত এক বন্ধু ছুটল মিষ্টি কিনতে। অনুষ্ঠান প্রায় শেষ। প্রধান শিক্ষক মিষ্টি পরিবেশনের জন্য ইশারা দিচ্ছেন। তখনই দেখি মিষ্টি এসে গেছে! সেদিন বহু কষ্টে ইজ্জত বেঁচেছিল।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

প্রীতির জন্মদিন

অলংকরণ: মাসুক হেলাল



তখন আমি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র। বন্ধুরা কয়েকজন বসে ছিলাম ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের পাদদেশে। আমাদের থেকে একটু সামনে একটি রিকশা থেকে নামে এক তরুণী। কয়েক মুহূর্ত ইতস্তত করে আমাদের কাছে এসে মেয়েটি বলল, ভাইয়া, ছাত্রী হোস্টেলটা কোন দিকে? একটু মজা করতে আমি ওকে দেখিয়ে দিয়েছিলাম উল্টো পথ। প্রীতির সঙ্গে সেটাই ছিল আমার প্রথম দেখা। যদিও প্রথম দেখার অভিজ্ঞতাটা খুব একটা সুখকর ছিল না, তবুও সময়ের ব্যবধানে এই প্রীতির সঙ্গেই একসময় আমার ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। প্রীতি ছিল যেমন রূপবতী, তেমন গুণবতী। এককথায় প্রেমে পড়ার মতো সব গুণই ছিল ওর। কিন্তু বলি বলি করে কেন যেন সেই মনের কথাটি বলা হয়ে ওঠেনি।
দেখতে দেখতে ছাত্রজীবন শেষ হয়ে গেছে। চাকরিজীবনে পদার্পণ করেছি প্রায় এক বছর হয়ে গেছে। তবুও প্রীতিকে মনের কথাটি বলা হয়ে ওঠেনি। কাকতালীয়ভাবে প্রীতিও আমার অফিসে নতুন জয়েন করেছে। আজ প্রীতির জন্মদিন। অফিসে এসেই মুঠোফোনটা হাতে নিলাম। জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছি রাতেই। নতুন আরেকটি মেসেজ লিখলাম, ‘আমি যে তোমাকে ভালোবাসি সেটা কি তুমি জান?’ সাহস করে মেসেজটা পাঠিয়েও দিলাম। কিন্তু কোনো রিপ্লাই এল না। একটু পরে দেখি প্রীতি ওর ডেস্ক ছেড়ে আমার ডেস্কের সামনে দাঁড়িয়ে। প্রীতি বলল, ভাইয়া, মেসেজটা কি আপনিই পাঠিয়েছিলেন?
আমি তো লজ্জায় লাল হয়ে গেলাম। একটু অপমানিতও বোধ করলাম। এই বয়সে আমার নিশ্চয়ই এমন আচরণ মানায় না। আর ওর নিজের কাউকে পছন্দও থাকতে পারে। কিছুক্ষণ পরে দেখি আমার ফোনে একটা মেসেজ এল। প্রীতি লিখেছে, ‘কথাটা ছাত্রাবস্থায় বলতে কে নিষেধ করেছিল? প্রেমটা আরও তিন বছর আগে থেকেই শুরু করতাম। এখন তাড়াতাড়ি হাতের কাজ শেষ করে ক্যানটিনে আসুন। ছাত্রজীবনে প্রেম তো আর হলো না। চাকরিজীবনের প্রেমের প্রথম দিনটা নাহয় শুরু হোক প্রিয়তমার হাতের রান্না খেয়ে।




  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS