Md. Afrooz Zaman Khan

Afrooz
Md. Afrooz Zaman Khan. Powered by Blogger.
RSS

এশিয়ার মেয়েরা দুর্বল নয়



বন্ড-কন্যা মিশেল ইয়ো

নাচ শিখতে গিয়ে ছোটবেলায় স্পাইনালকর্ডে আঘাত পান। ব্যালেরিনা হওয়ার স্বপ্ন ভেস্তে যায়। মজার ব্যাপার হলো, সেই মেয়েটিকেই পৃথিবী আজ তাঁকে চেনে মার্শাল আর্টের রানি হিসেবে। তিনি বন্ড-কন্যা মিশেল ইয়ো। কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যাবসায় তাঁকে এখানে নিয়ে এসেছে। মিশেলের জন্ম ১৯৬২ সালের ৬ আগস্ট৷ চীনা বংশোদ্ভূত এই অভিনেত্রী চার বছর বয়সে নাচ শেখা শুরু করেন, আর ১৫ বছর বয়সে ইংল্যান্ডে যান লন্ডনের রয়েল একাডেমি অব ড্যান্সেব্যালেতে নাচের উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিতে। পরবর্তী সময়ে তিনি লন্ডন থেকে কোরিওগ্রাফি ও নাটক বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

১৯৮৪ সাল থেকে মার্শাল আর্ট নিয়ে কাজ করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন মিশেল। এ জন্য তিনি প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা করে প্রশিক্ষণ নেন। অ্যাকশন ছবি তাঁকে কুংফু, কারাতে ও জুডোর মতো শারীরিক শক্তির কসরত আয়ত্তে আনতে হয়। ১৯৯২ সালে তিনি অভিনয় করেন জ্যাকি চেনের ছবি পুলিশস্টোরি, সুপারকপ-এ। ছবিটির ব্যবসায়িক সাফল্য মিশেলকে এনে দেয় অ্যাকশন ছবির জগতে শক্ত অবস্থান। জ্যাকি চেন ও জেট লির মতো কুংফু মাস্টারদের সঙ্গে তিনি সমান্তরালে অভিনয় করে গেছেন। জেমস বন্ডখ্যাত ব্রুসনান মিশেলের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘তিনি অন্য সব বন্ড গার্লদের মতো নন। তিনি আমাকে একজন লেডি বন্ডের কথা মনে করিয়ে দেন।’
সিনেমার জগতে মিশেলের সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে ২০০০ সালে, যখন তিনি অ্যাং লি পরিচালিত ক্রাউচিং টাইগার হিডেন ড্রাগন ছবিতে অভিনয় করেন। এই ছবিটি যে কেবল ব্যবসায়িক দিক থেকেই সফল তা নয়, বরং এর শিল্পগুণ ও মার্শাল আর্টসের চমৎকার ব্যবহার জয় করে নেয় সমালোচকদেরও মন।

হলিউডে মিশেল মেমোয়্যার অফ অ্যাজেইশা, দ্যামামি, টুম্ব অফ দ্য ড্রাগন রাইডার এবং কুংফু পাণ্ডা ছবিতে কাজ করেন। মিশেল ইয়ো স্বীকার করেন, তাঁর ক্যারিয়ারের পথচলাটা মোটেও মসৃণ ছিল না৷ সব সময়ই তাঁকে শুনতে হয়েছে এশিয়ার মেয়েরা দুর্বল, তারা পারে না। তিনি মনে করেন, এশিয়ার মেয়েদেরই এই ভুল ধারণা দূর করতে কাজ করতে হবে। প্রমাণ করতে হবে, এশিয়ার মেয়েরা দুর্বল নন।

সূত্র: বায়ো ডট কম অবলম্বনে

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

0 comments:

Post a Comment