বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ তরুণ উদ্যোক্তা, লেখক ও বক্তা সাবিরুল ইসলাম লিখছেন প্রথম আলোয়। ‘স্বপ্ন নিয়ে’তে প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর কলাম
আপনি যখন বছরের পর বছর কোনো একটা স্বপ্নের ব্যাপারে চেষ্টা, অপেক্ষা আর আশা করেই যাচ্ছেন অথচ আদৌ এর কোনো ফল পাচ্ছেন না তখন জীবনটা নিশ্চয় অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। কিন্তু হঠাৎ করে আপনি যদি দেখেন, যে স্বপ্নপূরণের আশায় আপনি এত দিন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই সেটা একবার নয় দু-দুবার পূরণ হয়ে গেল। হ্যাঁ, বাংলাদেশে পর পর দুবার সফরটা আমার জীবনে অনেকটা সে রকমই।আপনারা জানেন, ২০ বছর পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে আমি আমার ‘ইন্সপায়ার ওয়ান মিলিয়িন’-এর প্রচারণা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলাম। কিন্তু বিস্ময়করভাবে মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে গত মাসে (৪-১৫ মার্চ) আবারও বাংলাদেশে আমন্ত্রিত হই। এটি ছিল আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের, অত্যন্ত সুখের। আমি এখানে অনেক তরুণকে দেখেছি যারা ‘ইন্সপায়ার ওয়ান মিলিয়ন’-এর আগের আলোচনায় অংশ নিয়েছিল। ইতিমধ্যে তারা নিজেরাই নিজেদের উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে। তারা সমাজে পরিবর্তন আনার জন্য একটা কিছু করেছে।এ সফরে আমার দিনাজপুরবাসীর অনুভূতি বোঝার সৌভাগ্য হয়েছিল। আমাকে দেখে তারা যেভাবে উচ্ছ্বসিত হয়েছিল, তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। সেই সময়গুলো ছিল অসাধারণ! আমার দিনাজপুর যাওয়ার আয়োজনটা সম্ভব করেছে তিনজন উদ্যমী তরুণ, আমি মন থেকে তাদের স্যালুট জানাই। তারা দৃঢ় প্রত্যয় আর পরিশ্রম দিয়ে আয়োজনটি সফল করেছে। তাদের এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা উচিত না বা তারা সফলভাবে এটা করতে পারবে না, এসব কথা শোনার পরও তারা হাল ছাড়েনি। আমি তাদের নিয়ে গর্বিত এবং এর দ্বারা এটাই প্রমাণিত হলো, দৃঢ় প্রত্যয় আর ভালো টিমওয়ার্কের মাধ্যমে সবকিছু করা সম্ভব।
ঢাকায় আমি অনেকগুলো অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছি তার মধ্যে ছিল, ক্যারিয়ার ফেয়ার আর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আয়োজিত ‘গ্লোবাল মানি উইক’।
উচ্চশিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করার আগেই বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে সঠিক অর্থনৈতিক দক্ষতা সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আমি মন থেকে অনুভব করি। এই ভাবনা থেকেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম বাংলাদেশে আমাদের আরও অনেক স্বপ্নচারী প্রয়োজন। সমাজের তৃণমূল শ্রেণীর তরুণদের প্রভাবিত করতে নতুন ও উদ্ভাবনী চিন্তা নিয়ে এগিয়ে আসা দরকার। এই তরুণ স্বপ্নচারীরা যেন তাদের ভাবনাগুলো প্রকাশ করতে পারে এবং প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে, যারা তাদের ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের সাধারণ জনতার উপকৃত হওয়ার বিষয়টা সুনিশ্চিত করবে।
এটা কোনো ব্যক্তিকেন্দ্রিক অর্জন নয়। আমাদের উচিত সমাজ এবং প্রিয় মাতৃভূমির বৃহত্তর উন্নতির লক্ষ্যে ভাবনাগুলোকে ছড়িয়ে দেওয়া এবং সুবিধাবঞ্চিতদের সাহায্য করার ব্যাপারে চিন্তা করা। সত্যি বলতে কী বাংলাদেশ সফরকালে আমি আমার ব্যক্তিগত ও পেশাগত দিক থেকে সর্বোচ্চ সুন্দর সময় কাটিয়েছি।
আশা করি, এ বছর জুনের মধ্যে ‘ইন্সপায়ার ওয়ান মিলিয়িন’ তার এক মিলিয়নের মাইলফলকে পৌঁছে যাবে। আমার মনে হয়েছিল এই উৎসবটাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা উচিত। জুন আসতে আর বেশি দিন নেই। ‘ইন্সপায়ার ওয়ান মিলিয়িন’ উৎসবের জন্য তাই দিন গোনা শুরু হয়েই গেছে। বিস্তারিত শিগগিরই জানানো হবে।
সবার জন্য শুভকামনা।
উচ্চশিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করার আগেই বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে সঠিক অর্থনৈতিক দক্ষতা সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আমি মন থেকে অনুভব করি। এই ভাবনা থেকেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম বাংলাদেশে আমাদের আরও অনেক স্বপ্নচারী প্রয়োজন। সমাজের তৃণমূল শ্রেণীর তরুণদের প্রভাবিত করতে নতুন ও উদ্ভাবনী চিন্তা নিয়ে এগিয়ে আসা দরকার। এই তরুণ স্বপ্নচারীরা যেন তাদের ভাবনাগুলো প্রকাশ করতে পারে এবং প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে, যারা তাদের ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের সাধারণ জনতার উপকৃত হওয়ার বিষয়টা সুনিশ্চিত করবে।
এটা কোনো ব্যক্তিকেন্দ্রিক অর্জন নয়। আমাদের উচিত সমাজ এবং প্রিয় মাতৃভূমির বৃহত্তর উন্নতির লক্ষ্যে ভাবনাগুলোকে ছড়িয়ে দেওয়া এবং সুবিধাবঞ্চিতদের সাহায্য করার ব্যাপারে চিন্তা করা। সত্যি বলতে কী বাংলাদেশ সফরকালে আমি আমার ব্যক্তিগত ও পেশাগত দিক থেকে সর্বোচ্চ সুন্দর সময় কাটিয়েছি।
আশা করি, এ বছর জুনের মধ্যে ‘ইন্সপায়ার ওয়ান মিলিয়িন’ তার এক মিলিয়নের মাইলফলকে পৌঁছে যাবে। আমার মনে হয়েছিল এই উৎসবটাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা উচিত। জুন আসতে আর বেশি দিন নেই। ‘ইন্সপায়ার ওয়ান মিলিয়িন’ উৎসবের জন্য তাই দিন গোনা শুরু হয়েই গেছে। বিস্তারিত শিগগিরই জানানো হবে।
সবার জন্য শুভকামনা।
0 comments:
Post a Comment