Md. Afrooz Zaman Khan

Afrooz
Md. Afrooz Zaman Khan. Powered by Blogger.
RSS

বাজে চিত্রকর্মে বেশি ব্যথা

বাজে চিত্রকর্মে বেশি ব্যথা

চারুকলা
আপনার সামনে খুব বিখ্যাত ও নিচু দরের দুটি পেইন্টিং রাখা হলো। এমন সময় যদি আপনার হাতে শক্তিশালী লেজার রশ্মি দিয়ে আঘাত করা হয়, তাহলে কী হবে? ইতালির বারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন গবেষক প্রমাণ করেছেন, নিচু দরের চিত্রকর্মটি দেখে আপনি তুলনামূলক বেশি ব্যথা পাবেন! শিল্পকর্মের নান্দনিকতা দেখলে মানুষের ব্যথা কম অনুভূত হয়। অতএব, ব্যথার জন্য আর বাম নয়, উঁচু দরের চিত্রকর্ম দেখুন!
তথ্যসূত্র: ইগ নোবেল ও সায়েন্টিফিক আমেরিকান ওয়েবসাইট

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

পোষা বিড়াল হইতে সাবধান!



পোষা বিড়াল হইতে সাবধান!

জনস্বাস্থ্য

চার দেশের ছয় গবেষক ১৬ বছর ধরে ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখেছেন, পোষা বিড়ালের কারণে নারীরা টোক্সোপ্লাসমোসিস নামের পরজীবীতে আক্রান্ত হন। এছাড়া বিড়ালের কামড় খাওয়া ৭৫০ জনের মধ্যে ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষই নাকি হতাশায় ভোগে। আর যাদের বিড়াল আছে তাদের সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নাকি দ্বিগুণ!

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

মল থেকে সসেজের পুষ্টি


পুষ্টি

পুষ্টি

ঠিকভাবে কাজে লাগালে পাঁচ স্প্যানিশ গবেষকের আবিষ্কার ইউরোপের রন্ধন–ইতিহাসই বদলে দিতে পারে! এই গবেষকেরা প্রমাণ করেছেন, শিশুদের মল থেকে সংগৃহীত ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া সসেজের পুষ্টি বাড়াতে দারুণ উপযোগী। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আসতে না পেরে এক ভিডিওবার্তায় নিজেদের যুগান্তকারী আবিষ্কার মানবকল্যাণে ব্যাপকভাবে কাজে লাগানোর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ওই পাঁচ বিজ্ঞানী।
গবেষকেরা শিশুদের মল থেকে ১০৯ ধরনের ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া খুঁজে বের করেছেন!

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

এবারের আসরে


এবারের আসরে

এবারের আসরেএবারের অনুষ্ঠানের মূল ভাবনা ছিল খাদ্য। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের ওপর পৃথিবীর অনেক দেশের গোয়েন্দাদের নজরদারির সুবিধা করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ! এর জন্য ছিল বিশেষ ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা! মূলত মজার ও হাস্যকর আবিষ্কার, উদ্ভাবন ও গবেষণার ব্যাপারে উৎসাহ দেওয়ার জন্যই এই ‘ব্যঙ্গ নোবেল’। এবারের আয়োজনে এসেছিলেন সত্যিকারের নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ক্যারল গ্রেইডার (চিকিৎসাবিজ্ঞান, ২০০৯), এরিক মাসকিন (অর্থনীতি, ২০০৭), রিচ রবার্টস (চিকিৎসাবিজ্ঞান, ১৯৯৩) ও ফ্র্যাঙ্ক উইল্কজেক (পদার্থ, ২০০৪)।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

রাতজাগা মানুষ ভয়ংকর



রাতজাগা মানুষ ভয়ংকর



মনোবিদ্যা

রাতজাগা মানুষদের জন্য অস্বস্তিকর কিছু তথ্য দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের তিন গবেষক। ২৬৩ জনের ওপর গবেষণা করে জানা গেছে, বেশি রাতজাগা মানুষেরা গড়পড়তা বেশি আত্মপ্রশংসা করেন। এ ছাড়া অন্যরা নাকি খুব সহজেই তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তিন গবেষকের সর্বশেষ তথ্যটি ভয়ংকর! রাতজাগা মানুষেরা নাকি সকালে আগে ঘুম থেকে ওঠা মানুষদের থেকে বেশি সাইকোপ্যাথেটিক হন! 
দিনে জাগা মানুষ তো সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর কাজ করে!

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

নিউরনে অনুরণন


স্নায়ুবিজ্ঞান

এক টুকরো টোস্ট বিস্কুটের ওপর যিশুখ্রিস্টের ছবি এঁকে কারও চোখের সামনে রাখা হলো। দর্শকের মস্তিষ্কের নিউরনে কেমন অনুরণন হবে, সেটাই বের করেছেন চীন ও কানাডার ছয় গবেষক।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

জাতীয় উন্নয়নে চোরাচালানের অবদান



অর্থনীতি
অর্থনীতি বিভাগে এবার ইগ নোবেল গেছে ইতালির ভাগ্যে। অনেক দিন ধরেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতালিকে জাতীয় অর্থনীতি বড় করার চাপ দিয়ে আসছে। কিন্তু মন্দ কপাল, ২০১৩ সালে ইউরোপের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্তের তকমা পেয়েছে ইতালি। দেশটির বার্ষিক জিডিপি বৃদ্ধিতে সরকারের চেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা পালন করে মাফিয়ারা! বেশ কয়েক বছর ধরেই ইতালিতে অবৈধ পথে মাদক বিক্রি, চোরাচালান ও বেআইনি সব ধরনের ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক লেনদেন থেকে রাজস্ব ও কর সংগ্রহ করে আসছে দেশটির ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব স্ট্যাটিসটিকস। ইতালির রাষ্ট্রীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনার জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে দেওয়া হয়েছে অর্থনীতিতে ইগ নোবেল।
পুরস্কারটি গ্রহণের জন্য ইতালি থেকে এই রাষ্ট্রীয়ভাবে কাউকে পাঠানো হয়নি।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কুকুরের ভূগোলজ্ঞান

কুকুরের ভূগোলজ্ঞান


জীববিজ্ঞানকুকুরের ভূগোলজ্ঞান
দুই বছরের বেশি সময় ৭০টি কুকুর নিয়ে গবেষণা করেছেন চেক রিপাবলিক, জার্মানি ও জাম্বিয়ার ১২ জন বিজ্ঞানী! তাঁদের কাছে তথ্য আছে, কুকুর মলমূত্র ত্যাগের সময় তাদের দেহকে পৃথিবীর ভূচৌম্বকক্ষেত্রের উত্তর-দক্ষিণ অক্ষ বরাবর রাখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে! গবেষকরা ৭০টি কুকুরের ১৮৯৩ বার মলত্যাগ ও ৫৫৮২ বার মূত্রত্যাগ থেকে এই তথ্য আবিষ্কার করলেন।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

রক্ত পড়া রোধে মাংস



চিকিৎসাবিদ্যা
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা চিকিৎসাবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে এবারের পুরস্কার জয় করেছেন। থ্রোম্বাস্টথেনিয়া নামের জটিল এক রোগ নিয়ে গবেষণা করছেন ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের চার গবেষক। রোগটির কারণে নাক দিয়ে অনবরত রক্ত পড়ে এবং খুব সহজে বন্ধ করা প্রায় অসম্ভব। এমন ভোগান্তি কমাতে ফালি করে কাটা শূকরের মাংসের টুকরো দিয়ে রক্ত বন্ধ করার নতুন পথ খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কলার খোসায় পিছলে পড়ার রহস্য




কলার খোসায় পিছলে পড়ার রহস্য



পদার্থবিদ্যা

পথেঘাটে কলার খোসায় পিছলে পড়ার অভিজ্ঞতা থাকলে তো কোনো কথাই নেই। না থাকলে এমন ঘটনা চাক্ষুষ করেছেন, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। কখনো ভেবে দেখেছেন কি, আমরা কেন কলার খোসায় পিছলে পড়ি? এমনই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছেন জাপানের চার গবেষক। কলার খোসার ওপর পা পড়লে দুই ধরনের বল তৈরি হয়—ঘর্ষণজনিত বল ও উল্লম্ব বল। জুতার তলা ও কলার খোসার ঘর্ষণজনিত গুণাঙ্কের মাত্রা দশমিক শূন্য সাত। অণুবীক্ষণযন্ত্র দিয়ে গবেষকেরা দেখেছেন, কলার খোসার পলিস্যাকারাইড ফলিকুলার নামের জেলজাতীয় পদার্থের কারণেই মানুষের পা পিছলে যায়! গবেষকদের কেউ কখনো কলার খোসায় পা পিছলে পড়েছিলেন কি না, তা জানা যায়নি।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

শুরুটা হোক এখনই




২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ‘হি ফর শি’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমা ওয়াটসন




শিশুতোষ সিনেমা সিরিজ হ্যারি পটার-এ অভিনয়ের জন্য সারা বিশ্বে জনপ্রিয় ব্রিটিশ অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন। জন্ম: প্যারিসে, ১৯৯০ সালের ১৫ এপ্রিল। ২০১৪ সালের মে মাসে ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এমা। তিনি জাতিসংঘের নারীবিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেনের শুভেচ্ছাদূত।

উপস্থিত সবাইকে স্বাগতম। আমরা ‘হি ফর শি’ নামের কর্মসূচি শুরু করার জন্য আজ একত্র হয়েছি। আমি আপনাদের কাছে ছুটে এসেছি কারণ, বড় কিছু করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সমাজ বদলের জন্য আমাদের বেশি সংখ্যায় মানুষের উৎসাহিত করার চেষ্টা করতে হবে। আমরা শুধু কথাই বলতে চাই না। আমরা চেষ্টা করতে চাই, বাস্তবে সমাজে বদলটা দেখতে চাই।
মাস ছয়েক আগে আমি জাতিসংঘের নারী সংস্থার শুভেচ্ছাদূত হিসেবে মনোনীত হই। আমি যত বেশি ফেমিনিজম বা নারীবাদ নিয়ে নিয়ে কথা বলি, তত বেশি বুঝতে পারি, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নারীর অধিকারের লড়াইকে পুরুষবিদ্বেষী ভাবা হয়। আমি একটা কথাই বিশ্বাস করি, সব ধরনের বিদ্বেষ রুখতে হবে। নারী ও পুরুষের সমঅধিকার ও সমান সুযোগই নারীবাদের ভাবাদর্শ। এটি আসলে নারী–পুরুষ নির্বিশেষে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমতার তত্ত্ব। 
আমার বয়স যখন আট, ওই বয়সে নাটকের নিদের্শনা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করায় আমাকে সবাই ‘বসি’ বলে ডাকত। ১৪ বছর বয়সে আমাকে গণমাধ্যমে লিঙ্গগত বৈরী আচরণের মুখোমুখি হতে হয়। ১৫ বছর বয়সে আমি আমার অনেক মেয়েবন্ধুকে খেলার দল থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে দেখেছি। ১৮ বছর বয়সে এসে দেখেছি, নারীর বিরুদ্ধে অসুস্থ আচরণের বিষয়ে আমার ছেলেবন্ধুদের মুখ বন্ধ রাখতে। তখনই আমি সিদ্ধান্ত নিই, আমি নারীবাদী হয়ে কাজ করব। এটা আমার জন্য কঠিন কোনো বিষয় মনে হয়নি। কিন্তু আমার নিজের বেশ কিছু গবেষণায় আমি দেখি, নারীবাদ শব্দটি নিজেই পৃথিবীর কাছে অজনপ্রিয় একটি শব্দ। নারীরা তার অধিকার আদায়ে আন্দোলন করবে, এটা পৃথিবী মেনে নিতে চায় না। আমার মতো নারীদের অভিব্যক্তিকে বাড়াবাড়ি, আক্রমণাত্মক, নিঃসঙ্গ, পুরুষবিদ্বেষী এমনকি অনাকর্ষণীয় হিসেবে ধরা হয়। কেন পৃথিবী এমন বৈষম্যমূলক আচরণ করবে? 
আমি তো মনে করি, আমার পুরুষ সহকর্মীর মতো সমান পারিশ্রমিক পাওয়া আমার অধিকার। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়া আমার অধিকার। নীতিনির্ধারণ ও সিদ্ধান্তগ্রহণে নারীদের সিদ্ধান্ত নেওয়া তার অধিকার। সামাজিকভাবে আমি আরেকজন পুরুষের মতো সমান সম্মান অর্জন করেছি। কিন্তু বাস্তবতা আরও কঠিন। এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা পায়নি। আমি ভাগ্যবান বলেই অধিকারগুলো পেয়েছি। বাবা-মায়ের কাছ থেকে আমি পরিপূর্ণ আদর পেয়েছি। কন্যা হয়ে জন্মানোর জন্য তাঁরা আমাকে কম ভালোবাসেননি। আমার স্কুল আমাকে মেয়ে বলে আটকে রাখেনি। আমি ভবিষ্যতে কন্যাসন্তানের মা হব বলে শিক্ষকেরা বৈষম্য দেখাননি। তাঁরা হয়তো না জেনেই আমার সঙ্গে এমন আচরণ করতেন। আমাদের এমন মানুষই দরকার বেশি করে, যারাই পৃথিবীতে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। লিঙ্গভিত্তিক সমঅধিকার প্রতিষ্ঠাই নারীবাদের মূল লক্ষ্য।
বেইজিংয়ে ১৯৯৭ সালে হিলারি ক্লিনটন নারীর অধিকার নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছিলেন। সেদিন তিনি যে সব বিষয়ে পরিবর্তনের প্রত্যাশা করেছিলেন, বাস্তবতা হচ্ছে পৃথিবীতে তার উপযোগিতা এখনো বিদ্যমান। আমি জেনে অবাক হয়েছি, সেই সম্মেলনে ৩০ শতাংশের কম অংশগ্রহণকারী ছিলেন পুরুষ। সম্মেলনে মোট অংশগ্রহণকারীর অর্ধেকের কমসংখ্যক পুরুষকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আমরা কীভাবে পৃথিবীতে পরিবর্তন আনতে পারব? নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গিকে সাধারণ মানুষ পুরুষবিদ্বেষী হিসেবে দেখে থাকেন। শুধু নারীদের একার পক্ষে অধিকারের জন্য লড়াই করা সম্ভব নয়। পুরুষদেরও নারীর সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। 
নারী–পুরুষের সমঅধিকার নারীর মতো পুরুষেরও ভাবনা। সমাজ আমার বাবাকে বাবা হিসেবে তেমন সম্মান দেয়নি। আমি দেখেছি ছেলেরা নানা ধরনের মানসিক অসুস্থতার শিকার হয়, নানা ভয়ে তারা তাদের সমস্যা কাউকে বলতে পারে না। যুক্তরাজ্যে ২০ থেকে ৪৯ বছরের পুরুষেরা বেশি আত্মহত্যা করেন। পুরুষেরাও নানা কারণে অধিকারবঞ্চিত। সমতার সুযোগ থেকে তাঁরা অনেকেই অনেক দূরে।
নানা কারণে নারীর মতো পুরুষেরাও নির্যাতনের শিকার। আমরা একজন আরেকজনের জন্য দাঁড়িয়ে এমন বৈষম্য বিলোপ করার চেষ্টা করতে পারি। এটা স্বাধীনতার প্রশ্ন। বৈষম্য বিলোপে পুরুষদেরই এগিয়ে আসতে হবে আগে। আমার প্রত্যাশা, একজন পুরুষ যেমন তাঁর কন্যা, বোন আর মায়ের জন্য কুসংস্কারের বিরুদ্ধে যেমন কথা বলেন, তেমনি তিনি তাঁর ছেলের পাশে দাঁড়াবেন।
আপনি হয়তো ভাবছেন, হ্যারি পটার-এর এই মেয়েটা কে? সে কেন জাতিসংঘে, কী করছে? আমি নিজেও নিজেকে এমন প্রশ্ন করেছি। আমি নারী-পুরুষের অধিকারবিষয়ক নানা সমস্যা নিয়ে ভাবছি। আমি অবস্থার পরিবর্তন চাই, বদলাতে চাই। আমার কর্তব্য সমস্যার বিরুদ্ধে কথা বলা।
আমি দ্বিধাগ্রস্ত। আমি নিজেকে প্রশ্ন করি, আমি যদি না শুরু করি, তাহলে কে করবে? যদি এখন না করি, তাহলে কখন? সামনে যখন সুযোগ আছে তাহলে আমি কেন দ্বিধাগ্রস্ত হব। আমার কথাগুলো নিশ্চয়ই একসময় কাজে দেবে। বাস্তবতা হলো, আমরা যদি কিছু না করি, তাহলে হয়তো ৭৫ বছর পরে কিংবা তারও বেশি ১০০ বছর পরে নারীরা পুরুষের মতো সমান পারশ্রমিকের অধিকার নিয়ে পথে নামবে। 
সমতার পৃথিবীর জন্য আমরা সব সময় কাজ করতে চাই। ‘হি ফর শি’ এমনই এক উদ্যোগ। আমি সবাইকে সামনে পা বাড়ানোর অনুরোধ করছি। নিজেকে আমার মতো প্রশ্ন করুন, আমি যদি না শুরু করি, তাহলে কে শুরু করবে? এখন যদি শুরু না করি, তাহলে কখন শুরু হবে? 
সবাইকে ধন্যবাদ।
তথ্যসূত্র: ইউএন ওয়েবকাস্ট। ইংরেজি থেকে সংক্ষেপিত 

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

বিবাহিতা মহিলাদের সেমিনার চলতিছে............




তাদেরকে বলা হল, আপনারা সবাই আপনাদের স্বামীদের মোবাইলে "আই লাভ ইউ" মেসেজ করবেন এখনি। যার সবচেয়ে ভালো রিপ্লাই আসবে তাকে সারপ্রাইজড গিফট দেয়া হবে।
সবাই তাদের স্বামীদের "আই লাভ ইউ" মেসেজ করল। কিছুক্ষণ পর তাদের মোবাইলে এই রকম রিপ্লাই আসলোঃ

১. ডার্লিং তোমার শরীর ঠিক আছেতো???
২. বাসার টাকা শেষ হয়ে গেছে???
৩. তুমিকি তোমার বাপের বাড়ি গেছ???
৪. আজকেকি বাসায় খাবার বানাও নাই???
৫. তোমার মতলবটা কি???
৬. তুমি স্বপ্নের মধ্যে আছ, না আমি স্বপ্ন দেখতিছি???
৭. পার্টিতে কারো জুয়েলারি পছন্দ হইছে???
৮. অফিছে বহুত টেনশনে আছি আর তুমি কি শুরু করলা???
৯. আজকেও আবার গাড়ি কিছুর সাথে লাগাই দিছ???
১০. কত্তবার তোমাকে বলছি যে সিরিয়াল দেইখনা???

যিনি সারপ্রাইজড গিফট পেলেন তার রিপ্লাইটা ছিল---
১১. কে???
OMG!!!!

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

Translation...3



►রতনে রতন চিনে।
(Diamond cuts diamond)

►গ্রীষ্ম শুরু হয়েছে।
(The summer has set in)

►আমি এটা না করে পারলাম না।
(I could not but do it)

►ঐশ্বর্য দীর্ঘদিন থাকে না।
(Riches do not last long)..

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

Translation



1. আমাকে লজ্জা দিও না।
= Do not put me in shame.

2.I feel squeamish.
=আমার বমি বমি লাগছে

3.I feel very hot.
=আমার প্রচন্ড গরম লাগছে

4.I've a gripping pain in the
stomach.
=আমার পেট কামড়াচ্ছে

5.I've had four motions.
=আমার চার বার বমি হয়েছে

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

TRADE & COMMERCE





---------------------------------------
Capital (ক্যাপিটাল)-মুলধন।
Sell (সেল)-বিক্রয় করা।
Buy (বাই)-ক্রয় ককরা।
Seller (সেলার)-বিক্রেতা।
Buyer (বায়ার)-ক্রেতা।
Semple (সেম্পল)-নমুনা।
Tax (ট্যাক্স)-শুল্ক।
Supply (সাপ্লাই)-সরবরাহ।
Demand (ডিমান্ড)-চাহিদা।
Cheap (চীপ)-সস্তা।
Profit (প্রফিট)-লাভ।
Loss (লস)-ক্ষতি।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

Translation





^ তুমি আমার মনের মানুষ।^
You are a man after my heart.

^ তোমার যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে কর।^
Have it your way.

^ আমার কথা কি বুঝতে পারছো?^
Are you getting me?

^ আমাকে লজ্জা দিও না।^
Do not put me in sham.

^তোমার জামাটার দাম কত?^
How much does your shirt cost?

^যত তাড়িতাড়ি হয় তত ভাল।^
The sooner, the better.

^ সব ভালো, যার শেষ ভালো।^
All is well that ends well.

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

Khan Academy




Salman Amin "Sal" Khan (born October 11, 1976) is a Bengali American educator, entrepreneur, and former hedge fund analyst. He is the founder of the Khan Academy, a free online education platform and nonprofit organization. From a small office in his home, Khan has produced over 3,500 video lessons teaching a wide spectrum of academic subjects, mainly focusing on mathematics and the sciences. As of January 2013, the Khan Academy channel on YouTube attracted 530,000 subscribers. In 2012, Time named Salman Khan in its annual list of the 100 most influential people in the world.[4] Forbes magazine put Salman Khan on its cover with the story "$1 Trillion Opportunity".

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

অণুকাব্য





বুদ্ধি আনতেবিদেশ যাই 
দেশে কারও বুদ্ধি নাই!

বিদেশি কেউ দিলে মত
সেটাই নাকি
আসল পথ!

কথায় কথায় ফরেন
দেশেই কিছু করেন!

মনে মনে
বিদেশ বাস
কেন দেশি
মুরগি খাস?

বিদেশের কথায়
ওঠাবসা
তাই আমাদের
ভগ্নদশা!

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

চাঁদ যদি মাকড়সা হতো!



Untitled-16ঝগড়া হলে প্রেমিকরা প্রেমিকাদের চাঁদের সঙ্গে তুলনা করত। তবে সেটার পরিণাম হতো বড়ই ভয়ংকর!
কিরে, শুনলাম, তুই নাকি বদরুলের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিস?
ফাটাব না! আমি নাকি দেখতে চাঁদের মতো! কত্ত বড় সাহস!

সুপারমুন ওঠার রাতে সবাই দ্রুত ঘরে ফিরে দরজা–জানালা বন্ধ করে বসে থাকত।

স্যার, আজকে ছুটি দেন। সন্ধ্যা থেকে আকাশে সুপারমুন উঠবে!

সর্বনাশ, কী ভয়ংকর কথা! চলো, আমিও এখনই বের হবো।সুপারম্যান দেখা যাক বা না যাক, এ বছর দুবার দেখা গেল সুপারমুন! সেই সুপারমুন নিয়ে মাতামাতিও হলো বেশ। আচ্ছা, আকাশের বুকে চাঁদের জায়গায় যদি বিরাট একটা মাকড়সা থাকত, তাহলে সবকিছু কেমন হতো?
Untitled-19
Untitled-21অমাবস্যা হতো এখনকার পূর্ণিমার মতো সুন্দর। অমাবস্যা নিয়ে লেখা হতো গান, কবিতা, গল্প।
আজ অমাবস্যার রাতে সবাই গেছে বনেএএএএ...
আজকাল তো শহরে বসে অমাবস্যাই দেখা যায় না!
‘আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা’—এই গান শুনলেই শিশুরা ভয়ে ঘুমিয়ে পড়ত!
তাড়াতাড়ি ঘুমা, নইলে কিন্তু চাঁদ মামা এসে কপালে টিপ দিয়ে যাবে!

ঈদের চাঁদ কেউ দেখতে চাইত না। সবাই রেডিও, টিভি থেকে শুনে নিত চাঁদ দেখা গেছে কি না। চাঁদ দেখা কমিটির কাজ হতো সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ!

এই, যা দেখে আয় তো ঈদের চাঁদ দেখা গেছে কি না।

ওরে বাবা, আমি খুব ভয় পাই, তুমি যাও প্লিজ!
কেউ কখনো চাঁদে যেতে চাইত না। চাঁদে যাওয়ার কথা ভাবলেই সবার গা শিউরে উঠত!
আরেকটা কথা কইবি, লাত্থি দিয়া চান্দে পাঠায়া দিমু!
দোস্ত, তুই কী চাস বল, দিতাসি! তাও এমন আকথা–কুকথা বলিস না!

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কৌতুক ......34



আমাদের হাউসে নতুন হাউস মাস্টার এলেন। খুবই নাকি কড়া, কাউকে একবিন্দু ছাড় দেন না। আসার প্রথম সপ্তাহেই একদিন খেপে গেলেন তিনি। রেগেমেগে অফিস রুম থেকে বেরিয়েই এক ছেলেকে পাকড়াও করলেন। বারান্দায় ওই ছেলেকে দেখে চিৎকার করে বললেন, ‘এই ছেলে, তুমি দুপুরে ঘুমের সময় খালি গায়ে রুমের বাইরে ঘুরছ কেন? যাও, রুমে গিয়ে ঘুমাও!’
সে আমতা আমতা করতে লাগল, ‘স্যার...’
: না, কোনো কথা নয়! যাও, এক্ষুনি গিয়ে ঘুমাও!
স্যারের চিৎকার শুনে আশপাশের দু–একজন ক্যাডেট রুম থেকে বেরিয়ে এল। ছেলেটি ভয়ে ভয়ে স্টোর রুমে ঢোকার পর স্যার বললেন, ‘এই সময়ে কক্ষনো কোনো ক্যাডেট রুমের বাইরে ঘুরঘুর করবে না! যা হোক, ওই ছেলেটা কোন ব্যাচের ক্যাডেট?’
ক্যাডেটদের একজন বলল, ‘স্যার, ও আমাদের এখানে রঙের কাজ করতে এসেছিল!’

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কৌতুক..........33



ক্যাডেট কলেজে সুজনের প্রথম দিন। হাউস অধিনায়ক নিজের এলাকার ছেলে হিসেবে সেদিনই তাকে রুমে ডেকে পাঠালেন।হাউস অধিনায়ক: আমি একটি ব্যাপারে খুবই গুরুত্ব দিই, তা হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। তুমি নিশ্চয়ই আমার রুমে ঢোকার আগে পাপোশে জুতা মুছে ঢুকেছ?
সুজন: অবশ্যই, ভাইয়া।
হাউস অধিনায়ক: আর হ্যাঁ, আমি আরেকটি ব্যাপারে আরও বেশি কড়া, তা হলো সততা। দরজার বাইরে কোনো পাপোশ নেই। ইডিয়ট!

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কৌতুক.....32



ক্যাডেট কলেজের সবচেয়ে বড় শাস্তি হলো কলেজ আউট হয়ে যাওয়া! আমার বন্ধু রকিবকে যখনি বলতাম, ‘দোস্ত, আজ প্রিন্সিপালের বাসার ডাব চুরি করে খাব।’ তখনই সে সতর্ক করে দিত, ‘ধরা পড়লে কলেজ আউট হয়ে যাবি কিন্তু!’ আবার যেদিন বলতাম, ‘আজ একটু কলেজের বাইরে পালিয়ে বেড়াব।’ রকিব তখনো ভয় ধরিয়ে দিত, ‘ধরা পড়লে কলেজ আউট হয়ে যাবি, দোস্ত!’ আমি একদিন রেগেমেগে বললাম, ‘তুই সব সময় এত ভয় দেখাস ক্যান, আর কোনো দিন আজাইরা ভয় দেখালে খুন করে ফেলব!’ ও তখনো বলল, ‘দোস্ত, ধরা পড়লে কলেজ আউট হয়ে যাবি কিন্তু!’

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কৌতুক .......20


যদি চান, আপনার স্ত্রী আপনার কথা শুনুক, তাহলে অন্য কোনো নারীর সঙ্গে কথা বলুন। তার দুটি কানই খোলা থাকবে।
সিগমুন্ড ফ্রয়েড
(১৮৫৬–১৯৩৯)
অস্ট্রিয়ান স্নায়ুবিজ্ঞানী

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

এক নাটাই দুই ঘুড়ি

.


রওশন-এরশাদ দুইজনে ঘুড়ি

উড়ছেন নীলাকাশে থুড়ি! থুড়ি!! থুড়ি!!!
আকাশ না, উড়ছেন রাজনীতি মাঠে
রওশন ফুরফুরে, এরশাদ বাটে।
কখন কী বলছেন ঠিক নেই মাথা
রাজনীতি জাল আছে সবখানে পাতা।
বেশি কথা বললেই এরশাদ ধরা
আম যাবে ছালা যাবে তখন কী করা!
নাটাইটা কার হাতে এরশাদ জানে
তাই তো সকল কাজে তাঁহাকেই মানে।
রওশন ডানে গেলে এরশাদ বাঁয়ে
বিপদ আছেই লেগে তাঁর পায়ে পায়ে।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কৌতুক....10


সেদিন রাতে গাছতলায় বসে সুর করে গাইছিলাম—আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা!

তো চাঁদমামা কি তখন তোর কপালে টিপ দিয়ে গেল?

না, চাঁদমামা দেয় নাই! তবে চাঁদমামার পক্ষ থেকে কাকমামা ঠিকই কপালে বড়সড় একটা টিপ দিয়ে গেল!

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কৌতুক.......9



একটা আস্ত ডিম মেঝেতে ছুড়ে মারলাম, তবু ডিমটা ভাঙল না! কিন্তু কেন?

 ডিমটা ঘোড়ার, তাই ভাঙল না।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কৌতুক .......8



বিএনপি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের মধ্যে মিল কোথায়?

 দুটি দলই বলছে—পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে ‘পরের ম্যাচেই’ আমরা ভালো করব।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কৌতুক .......7


 মাইকেল ফ্যারাডে গোয়েন্দা উপন্যাস লিখলে নায়কের নাম কী রাখতেন?
: শার্লক ওহমস।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কৌতুক .......6


 পুরুষ আগ্নেয়গিরি কী বলে
নারী আগ্নেয়গিরিকে ভালোবাসার কথা বলে?
: আই লাভা ইউ!

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কৌতুক .......5


 অক্সিজেন ও ম্যাগনেশিয়ামের রাসায়নিক সংকেত জানেন?
: ওএমজি! আপনি জানেন না?

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কৌতুক .......4


 সুপারহিরোদেরও প্রেমিকা থাকে। কিন্তু তাদের বিয়ে নিয়ে মারভেল কমিকস বা সুপারহিরোদের স্রষ্টারা কখনোই ভেবে দেখেন না!

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কৌতুক .......3


 পৃথিবী আপনার কোনো ইচ্ছাই পূরণ করছে না বলে আপনি হতাশ? আশাবাদী হোন, পৃথিবী আপনাকে প্রতিদিন সূর্যের চারদিকে বিনে পয়সায় ঘুরিয়ে আনছে।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কৌতুক .......2

মানুষ এখন ব্যায়াম করতে লিফটে চড়ে বাড়ির ছাদে ওঠে, যাতে করে শারীরিক পরিশ্রম কম হয়।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

ক্যানসার



তোর বয়ফ্রেন্ডের তো ক্যানসার, তাই না?

হুমম। বাবা, ওর সাথে বিয়ে নিয়ে কথা বলছিলেন। জুনেই হয়তো তারিখ ঠিক করবেন।

কী? ছেলের ক্যানসার! তবু তোমার বাবা তার সাথে বিয়ে দিচ্ছেন?

আন্টি, ওর রাশি ক্যানসার মানে কর্কট।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

ভিমবারভীতি



সেদিন বন্ধুরা মিলে ভূত নিয়ে গবেষণা করছিলাম। আমি বললাম, ‘ধুরর, ভূত-টুত বলে কিছু নাই। আমি এইসব বিশ্বাস করি না।’ আমার বন্ধু নির্জন একমত হলো, ‘আমিও। তবে ভূতে বিশ্বাস না করলেও আমি ভিমবারে বিশ্বাস করি।’ সবাই অবাক হয়ে ভাবতে লাগলাম, গল্পের বইয়ে অনেক রকম ভূতের নাম পড়েছি। কিন্তু ভিমবার বলে তো কোনো ভূতের নাম শুনিনি! এটা আবার কোন ভূত? নির্জনকে জিজ্ঞেস করতে হলো না। সে নিজেই বুঝিয়ে দিল, ‘আরে, ওই যে আছে না, যারা মানুষের ঘাড়ে কামড় দিয়ে রক্ত খায়?’ ওর কথা শেষ হওয়ার আগেই সবাই একসঙ্গে চেঁচিয়ে উঠলাম, ‘ভ্যাম্পায়ার?’ ভুলটা ধরতে পেরে জিবে কামড় দিল ও। সেদিন থেকে আমরা ওকে ভিমবার বলেই ডাকি।

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কৌতুক ....... 1



আমার মামাতো ভাই মাহিফের বয়স মাত্র চার বছর। সামনের বছর স্কুলে ভর্তি হবে। আর তাই সারা দিন নতুন নতুন শব্দ শিখছে ও। কেমন পড়াশোনা করছে খোঁজ নিতে গেলাম ওর বাসায়। আমাকে দেখেই বলে উঠল, ‘জানো ভাইয়া, দাদিজান না ননসেন্স হয়ে গেছেন!’ আমি ব্যাপারটা ধরতে না পেরে জিজ্ঞেস করলাম, ‘মানে কী?’ মাহিফ বুঝিয়ে বলল, ‘আরে, দাদিজান একটু আগে মাথা ঘুরে ননসেন্স হয়ে গেছেন।’ আমি তখনো ব্যাপারটা ধরতে পারছিলাম না। জিজ্ঞেস করলাম, ‘মাথা ঘুরে ননসেন্স?’ ও বিরক্ত হয়ে জবাব দিল, ‘কেন, তুমি জানো না দাদিজান যে প্রায়ই মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান? আজকেও ননসেন্স হয়েছেন।’ সব বুঝে আর ওর ইংরেজি জ্ঞান দেখে তখন আমারই ‘ননসেন্স’ হওয়ার জোগাড়!

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

কৌতুক .......11



গণিত ম্যাডামের ক্লাস চলছিল। ম্যাডাম ভয়ংকর রাগী। তাঁর ক্লাসে পিনপতন নীরবতা থাকে সব সময়। আমি আর নিপা এক বেঞ্চে বসেছিলাম। ফাজিলটা আমাকে অনেকক্ষণ ধরে ভেঙাচ্ছিল, কিন্তু কিছু বলতে পারছিলাম না। আবার চুপ করে বসেও থাকতে পারছিলাম না। একসময় আমিও ওকে ভেঙাতে শুরু করলাম। ও যা বলে, আমিও তাই বলি। ও জিজ্ঞেস করল, ‘লুসি, বোর্ডের অঙ্কটা খাতায় তুলেছিস?’ আমিও তা–ই বললাম, ‘লুসি, বোর্ডের অঙ্কটা খাতায় তুলেছিস?’ ও চোখ পাকিয়ে বলল, ‘ফাইজলামি না। ম্যাডাম কিন্তু এখনই চেক করবেন।’ আমিও চোখ পাকিয়ে একই কথা বললাম। হঠাৎ ম্যাডাম আমাদের দিকে তাকিয়ে হুংকার দিয়ে উঠলেন, ‘কী রে! কী হলো তোদের?’ ম্যাডামের দিকে তাকিয়ে আমি বলে বসলাম, ‘কী রে! কী হলো তোদের?’
নাহ্, অন্ধ অনুকরণ সত্যিই খারাপ!

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

ঝামেলা

অলংকরণ: মাসুক হেলাল


টুনিকে নিয়ে পারা গেল না। বাড়িতে ওর ভয়ডর বলতে কিছু নেই। যত ভয় বাড়ির বাইরে এলে। কিছুতেই ওজন মাপার যন্ত্রে উঠতে চাইছে না।
তিন দিন ধরে টুনির জ্বর। মা-বাবা ওকে নিয়ে এসেছেন ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার ওর পেট টিপলেন, কপালে হাত দিলেন, পিঠে হাত বোলালেন। তারপর মুচকি হেসে বললেন, জটিল কিছু না। এমনি জ্বর। ওষুধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে।
ওষুধের মাত্রা লিখতে গিয়ে হঠাৎ ডাক্তার সাহেবের মনে হলো, ওজন জানা দরকার। ওজন না জেনে ওষুধ দেওয়া যায় না। ওষুধও এখন ওজনের ওপর নির্ভর করে। টেবিলের তলা থেকে ওজন মাপার যন্ত্রটা টেনে বের করলেন ডাক্তার। তারপর টুনির দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘এখানে উঠে দাঁড়াও তো মা।’
টুনি ছিল বাবার কোলে। বাবাকে একেবারে ঘাপটি মেরে ধরে আছে, দুহাত দিয়ে বাবার গলা আর পা দুটো দিয়ে বাবার পেট। ভাবটা এমন, কেউ আমারে বাবার কোল থেকে সরাতে পারবা না।
বাবার কোল ওর ভীষণ প্রিয়।
ডাক্তার সাহেব হাসতে হাসতে বললেন, ‘ওজন না মাপলে কেমন করে হবে?’
বলে নিজেই টুনিকে ওজন মাপার যন্ত্রের উপর দাঁড় করাতে চাইলেন। কিন্তু বাবার কোলে ঘাপটি মেরে আছে টুনি। রেগে গেলেন মা, ‘টুনি! বাবার কোল থেকে নামো বলছি।’
উঁহু। টুনি বাবার কোল পেয়েছে। আর কারও কথা এখন ওর কানে ঢুকবে না। তার ওপর ওর জ্বর হয়েছে। এমনিতেই বাবার আহ্লাদের কমতি নেই। এখন জ্বরের সময় বাবার আহ্লাদ আরও বেশি। কিন্তু ওজনটা তো মাপতে হবে!
এবার বাবা ওর মাথায় হাত বোলাতে লাগলেন। হাত বোলাতে বোলাতে বললেন, ‘দেখি মা, এবার এখানে একটু দাঁড়াও তো!’
টুনি বলল, ‘না, আমি উঠব না।’
বাবা জানতে চাইলেন, ‘কেন?’
‘আমার ভয় করে।’
‘কিসের ভয়? এখানে তো আমরা সবাই আছি। কোনো ভয় নেই মা।’
‘তাহলে তুমিও আমার সঙ্গে ওঠো।’
বাবা বুঝিয়ে বললেন, ‘উঁহু। আমিসহ উঠলে তো তোমার ওজন জানা হবে না।’
টুনি এবার সাফ সাফ জানিয়ে দিল, ‘তুমি না উঠলে আমিও উঠব না।’
মা কিন্তু তখন থেকেই বিরক্ত। মুখ খিঁচিয়ে বললেন, ‘কী যন্ত্রণা!’
বাবা হাসতে হাসতে বললেন, ‘যন্ত্র যন্ত্রণা।’
মা বললেন, ‘ডাক্তার সাহেব, যা হয় একটা ওজন ধরে...’
ডাক্তার বললেন, ‘তা হয় না। শিশুদের আন্দাজে ওষুধ দেওয়া ঠিক নয়।’
মা বললেন, ‘তিন মাস আগে একবার ওজন মাপিয়েছিলাম। তখন ১২ কেজি ছিল।’
বাবা বললেন, ‘এখনো মনে হয় ওজন ১২ কেজির বেশি হবে না।’
ডাক্তার বললেন, ‘মনে হলে তো হবে না। সঠিক ওজন জানা চাই।’
কী মুশকিল! ওদিকে বাইরে আরও রোগী অপেক্ষা করে আছে। মা-বাবা দুজনই বড্ড বিব্রত।
তক্ষুনি ডাক্তারের ঘরে ঢুকে পড়লেন করিম চাচা। বাজারের মুদি দোকানি। ভালোমতোই চেনেন বাবা। বাবা চট করে টুনিকে দুহাতে তুলে নিলেন। তারপর করিম চাচার হাতে দিয়ে বললেন, ‘ধরে দেখুন তো চাচা।’
করিম চাচা তো অবাক! এসেছেন তাঁর ভাগনেকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে। টুনিকে ধরে কোলে নিলেন চাচা। বাবা বললেন, ‘আপনি তো সারা দিন মাপামাপি করেন। আপনার ওজনের আন্দাজও ভালো। বলুন তো ওর ওজন কত?’
করিম চাচার মুখ হাসি হাসি থাকে সারা দিন। এখনো হাসিমুখে বললেন, ‘মনে হয় সাড়ে ১৩ কেজি।’
বাবা এবার ডাক্তারের দিকে তাকালেন। ডাক্তার বললেন, ‘মনে হলে হবে না। সঠিক ওজন চাই।’
বাবা আবার অনুরোধ করলেন টুনিকে, ‘মা। ওজন মাপার যন্ত্রে উঠতে চাইছিস না কেন?’
টুনি বলল, ‘বললামই তো, আমার একা একা উঠতে ভয় করে।’
তাহলে...
বাকিটা বাবার কানে কানে বলল টুনি। ফিস ফিস করে। আর কী অবাক! তখনই টুনিকে নিয়ে যন্ত্রটায় উঠলেন বাবা। বাবা আর টুনি—দুজনের ওজন ৭৬ কেজি। টুনিকে মায়ের কোলে দিয়ে বাবা এবার একা উঠলেন ওজন মাপার যন্ত্রে। ৬৩ কেজি। করিম চাচা এবার ঝটপট টুনির ওজন বের করে ফেললেন—১৩ কেজি।
বাহ্! বাবা মুগ্ধ হয়ে টুনির দিকে তাকিয়ে রইলেন। শুধু বাবা নয়, ডাক্তার আঙ্কেল, করিম চাচা আর মাও টুনির দিকে তাকালেন। ঝটপট ওষুধের মাত্রা লিখে বাবার হাতে প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দিলেন ডাক্তার।
কিন্তু বুদ্ধিটা বড়দের মাথায় এল না কেন? চার বছরের টুনির মাথায়ই-বা এল কেমন করে? সবচেয়ে বড় কথা হলো, ওজন মাপার যন্ত্রে টুনি একা উঠলেই তো সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। বড়দের এই এক সমস্যা। সব ব্যাপারে ছোটদের জোরাজুরি করা চাই। বুদ্ধি খাটিয়ে কিছু করতেই পারে না। এই যে টুনি ওর ওজন বের করার একটা সুন্দর উপায় বাতলে দিল, এ জন্য তো ওর বাহবা পাওয়ার কথা। তা নয়, ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরোতে বেরোতে উল্টো মা ওকে বললেন, ‘তুমি বড্ড ঝামেলা করো টুনি!’

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

হতে হবে আশাবাদী

বিল গেটস



মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের অন্যতম। তাঁর জন্ম ১৯৫৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দেন এবং মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে জনকল্যাণমূলক নানা কাজে যুক্ত আছেন।

অভিনন্দন, ২০১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা৷ মেলিন্ডা ও আমি আজ এখানে উপস্থিত হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত৷ তোমাদের এই ক্যাম্পাস অনেক দিক থেকেই অসাধারণ৷ তবে আমাদের যদি একটি শব্দে বলতে হয় স্ট্যানফোর্ডের কোন বিষয়কে আমরা সবচেয়ে ভালোবাসি, তা হবে আশাবাদী মনোভাব৷
১৯৭৫ সালে এই আশা নিয়েই আমি বোস্টনের এক কলেজ ছেড়ে এসে কাজে নেমে পড়েছিলাম৷ আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, কম্পিউটার ও সফটওয়্যার পৃথিবীজুড়ে মানুষের জীবনকে দারুণভাবে প্রভাবিত করতে পারবে, পৃথিবীকে আরও অনেক উন্নত করে তুলবে৷ কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার অনেক পরিবর্তন ঘটেছে৷ আমরা যা শিখেছি, আজ সেসব তোমাদের বলতে চাই৷ আর জানাতে চাই, কীভাবে আমরা সবাই আরও অনেক মানুষের জন্য অনেক কিছু করতে পারি৷
যখন পল অ্যালেন আর আমি মাইক্রোসফট শুরু করেছিলাম, তখন আমদের লক্ষ্য ছিল কম্পিউটার ও সফটওয়্যারের ক্ষমতাকে সাধারণ মানুষের কাজে লাগানো৷ ১৯৯৭ সালে আমি ব্যবসার কাজে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় যাই৷ একদিন আমি কৌতূহলবশত শহরের একটু দূরে সোয়েটো নামে একটা জায়গায় যাই; এমন জায়গা আমি জীবনে কখনো দেখিনি৷ মাইক্রোসফট সেখানে একটি কমিউনিটি সেন্টারে কম্পিউটার ও সফটয়্যার বিতরণ করেছিল, যেভাবে আমেরিকায় আমরা কাজ করতাম৷ কিন্তু আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমি বুঝে গেলাম, এটা আমেরিকা নয়৷ এর আগে আমি দারিদ্র্যকে দেখেছিলাম পরিসংখ্যানে, নিজের চোখে নয়৷ সেখানে গিয়ে আমি দেখলাম, কীভাবে মানুষ বিদ্যুৎ, পানি, টয়লেট ছাড়াই বস্তিতে থাকছে৷ বেশির ভাগের পায়েই কোনো জুতা ছিল না, জুতা পায়ে হাঁটার মতো রাস্তাও ছিল না৷ যে কমিউনিটি সেন্টারে আমরা কম্পিউটার দান করেছিলাম, সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহের কোনো নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা ছিল না৷ তাই তারা ২০০ ফুট লম্বা তার দিয়ে ডিজেলচালিত একটি জেনারেটর থেকে বিদ্যুৎ-সংযোগ নিয়ে কম্পিউটার চালিয়ে রেখেছিল৷ অবস্থা দেখে আমি ভালোভাবেই বুঝলাম, যে মুহূর্তে আমি আর আমার সঙ্গের লোকজন চলে যাব, তৎক্ষণাৎ এই জেনারেটরও অন্য কোথাও চলে যাবে৷ আর কমিউনিটি সেন্টারের লোকেরাও তাদের জীবনের অন্য হাজার সমস্যা সমাধানে ব্যস্ত হয়ে পড়বে; সেসব সমস্যা কখনো কম্পিউটার দিয়ে সমাধান করা যায় না৷
গণমাধ্যমের সামনে এসে আমি আগে থেকে তৈরি করে রাখা বক্তৃতা পড়ছিলাম৷ বলছিলাম, ‘সোয়েটো প্রযুক্তির বিভাজনকে ঘুচিয়ে দেওয়ার যাত্রায় একটি মাইলফলকের নাম৷’ কিন্তু মুখে যা-ই বলি, আমি বুঝতে পারছিলাম, এসব কথার কোনো অর্থ নেই৷ 
সোয়েটোতে যাওয়ার আগে আমি ভাবতাম, আমি পৃথিবীর সমস্যা বুঝি, কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলো নিয়েই আমার কোনো ধারণা ছিল না৷ আমার এত অসহায় লেগেছিল যে আমি নিজের বিশ্বাসকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলাম, আদৌ কি উদ্ভাবনের মাধ্যমে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব? আমি প্রতিজ্ঞা করলাম, দ্বিতীয়বার আফ্রিকায় পা দেওয়ার আগে আমাকে বুঝতে হবে দারিদ্র্য আসলে কী৷
অনেক পরে দক্ষিণ আফ্রিকায় আমি একটি যক্ষা হাসপাতাল দেখতে গিয়েছিলাম৷ সেটি একটি বিশেষ ধরনের যক্ষা রোগীদের জন্য, যাদের সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৫০ ভাগেরও কম৷ গোটা হাসপাতাল রোগীদের ভিড়ে উপচে পড়ছে৷ রোগীদের মধ্যে আমি এক নারীর সঙ্গে কথা বললাম, তার বয়স মাত্র ত্রিশের কোঠায়৷ সে আগে এক যক্ষা হাসপাতালে কাজ করত, একদিন তার নিজেরও যক্ষা ধরা পড়ে, সঙ্গে এইডস৷ সে জানত, তার দিন ফুরিয়ে এসেছে৷ আর তার মৃত্যুর পর যখন সেই বিছানা খালি হয়ে যাবে, সেখানে জায়গা করে নিতেও রোগীদের এক বিশাল লাইন অপেক্ষা করে আছে৷ তারা অপেক্ষা করছে সেই দিনের৷
আমি গাড়িতে উঠে সেখানকার এক ডাক্তারকে বললাম, ‘হ্যাঁ, আমি জানি এ ধরনের যক্ষা সারিয়ে তোলা মুশকিল৷ কিন্তু কোনো না কোনো উপায় নিশ্চয়ই আছে৷ এসব মানুষের জন্য আমাদের কিছু করতেই হবে৷’
আমি আজ আনন্দের সঙ্গে বলতে পারি এ বছর আমরা যক্ষার এক নতুন ধরনের ওষুধের পরীক্ষা করতে যাচ্ছি৷ আগে যেখানে ১৮ মাস ধরে প্রায় দুই হাজার ডলার খরচের পরও শতকরা ৫০ জনের বেশি রোগীকে সুস্থ করা যেত না, এখন সেখানে ছয় মাসের চিকিৎসায় ১০০ ডলারের কম খরচেই শতকরা ৮০ থেকে ৯০ জন রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হবে৷ এখানেই আশাবাদের শক্তি নিহিত৷ কে বলেছে আমরা দারিদ্র্য কিংবা রোগব্যাধিকে মির্মূল করতে পারব না? আমরা অবশ্যই পারব৷ সমস্যা যত বড়ই হোক না কেন, আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে অনুপ্রেরণা জোগায়৷ কিন্তু সমস্যাকে নিজের চোখে না দেখলে শুধু আশা দিয়ে সমস্যা সমাধান করা যায় না৷
আমি হতাশাবাদীদের দলে নই৷ কিন্তু আমাদের স্বীকার করতে হবে যে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকে যদি আমরা বৈষম্য দূরীকরণের কাজে না লাগাই, তাহলে ভবিষ্যতে আমরা এমন সব উদ্ভাবন নিয়ে বসে থাকব, যা পৃথিবীকে আরও বিভক্ত করে ফেলবে৷ উদ্ভাবন দিয়ে কী হবে, যদি তা স্কুলে শিক্ষার মান না বাড়ায়? যদি ম্যালেরিয়া নির্মূল করা না যায়, দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব না হয়, দরিদ্র কৃষকের অন্নের নিশ্চয়তা না থাকে?
তোমরা স্নাতকেরা অসংখ্য উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেবে, পৃথিবীকে এগিয়ে নিয়ে যাবে৷ তোমাদের বয়সে আমি পৃথিবীকে যতটা চিনতাম, আমি বিশ্বাস করি, আজ তোমরা তার চেয়ে অনেক বেশি জানো৷ আমি যা করেছি, তোমরা তার চেয়ে অনেক বেশি কিছু করতে পারবে, যদি তোমরা এতে তোমাদের মনপ্রাণ ঢেলে দাও৷ আমি সেই প্রত্যাশায় রইলাম৷
সূত্র: স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট। 
১৫ জুন, ২০১৪ যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে দেওয়া বিল গেটসের বক্তব্যের নির্বাচিত অংশের অনুবাদ: 

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

আপনার বুদ্ধি কেমন? জেনে নিন এই সহজ কুইজটির মাধ্যমে!


আপনার বুদ্ধি কেমন? জেনে নিন এই সহজ কুইজটির মাধ্যমে!

দৈনন্দিন জীবনে বুদ্ধি ছাড়া আপনি এক পাও এগোতে পারবেন না। জন্ম থেকে শুরু করে অনেকগুলো বছর আমরা পড়াশোনা করি, জ্ঞান অর্জন করি, সেটা তো আসলে বুদ্ধি বাড়ানোর জন্যই। কিন্তু আসলে কি সেটা হয়? অনেকের ক্ষেত্রে যেটা হয়, তা হলো ভালো রেজাল্ট আর ডিগ্রী অর্জন। বুদ্ধির বিকাশ আসলে কয়জনের মাঝে ঘটে, সেটা একটা বিতর্কের ব্যাপার। এই যে বছরের পর বছর পড়াশোনা, এর ফলে আসলেই নিজের বুদ্ধির যথেষ্ট বিকাশ ঘটেছে কিনা তা জানতে কখনও ইচ্ছে করেছে আপনার? যদি সে ইচ্ছে হয়ে থাকে, তবে আপনার জন্যেই এই কুইজ। দেখে নিন, আপনার বুদ্ধি আসলে যথেষ্ট কিনা।
এই কুইজের একটা ছোট্ট শর্ত আছে। প্রতিটি প্রশ্ন পড়ে প্রথম যে উত্তর মাথায় আসবে সেটাই দিতে হবে, কোনও রকম চুরি কিন্তু করা যাবে না মোটেই! উত্তর গুলো দিন,তারপর নিচে দেখুন ফলাফল।
কুইজঃ
১. আসুন সাধারণ একটা প্রশ্ন দিয়ে শুরু করা যাক। আপনার ভাগনীর ভাই সম্পর্কে আপনার কে হয়, বলুন তো?
ক) জানি না তো!
খ) মামাতো ভাই?
গ) ভাগিনা!
ঘ) মামা হতে পারে......
ঙ) ছেলে?
২. একজন মানুষের সাধারণত গড়ে কয়টা জন্মদিন পালন করা হয়?
ক) জানি না
খ) ১ টাই
গ) ১০ টার পড়ে আর জন্মদিন পালন করা হয় না
ঘ) ৬৫ টা সম্ভবত
ঙ) ৭৫ টা পর্যন্ত হতে পারে
৩. কিছু মাসে ৩১ টা দিন থাকে। কয়টা মাসে ২৮ টা দিন আছে?
ক) জানি না
খ) অবশ্যই মাত্র ১ টা মাসে
গ) উম.... ২ টা মাসে?
ঘ) ১২ মাসে?
৪. স্কটল্যান্ডের আইনে একজন মানুষ কি নিজের বিধবা স্ত্রীর বোনকে বিয়ে করতে পারে?
ক) স্কটল্যান্ডের আইন জানবো কি করে?
খ) হতেও পারে.....
গ) অসম্ভব!
৫. আসুন এবার একটু অংক কষি। ৩০ কে ভাগ করুন ১/২ (আধা) দিয়ে, এরপর এর সাথে ১০ যোগ করুন। কত হয়?
ক) বেশি কঠিন অংক! করতে পারবো না!
খ) ২৫ হবে
গ) ৭০ হবে
ঘ) ৪০....?
৬. আপনার কাছে ৩ টা আপেল আছে। আপনি তার থেকে দুইটা আপেল নিয়ে নিলেন। কয়টা থাকলো?
ক) জানি না
খ) একটা
গ) দুইটা!
ঘ) তিনটাই থাকবে
৭. এবার আসুন জীবনের জন্য জরুরি একটা ব্যাপার নিয়ে চিন্তা করা যাক। ডাক্তার আপনাকে তিনটা পেইনকিলার দিয়ে বলল, প্রতি আধা ঘণ্টা পর পর একটা করে খেতে হবে। কয় মিনিট পর ওষুধগুলো শেষ হয়ে যাবে?
ক) জানি না.....
খ) ৯০ মিনিট
গ) ১৮০ মিনিট
ঘ) ৬০ মিনিট
৮. একজন কৃষকের ১৭ টি গরু আছে। ৯ টা বাদে সব মরে গেল। কয়টা বেঁচে থাকলো?
ক) জানি না
খ) ৮ টা
গ) ৯ টা
৯. আপনি কি খেলাধুলা করতে পছন্দ করেন? ছোটবেলায় নিশ্চয়ই দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। এবার কল্পনা করুন, আপনি প্রাণপণে দৌড়াচ্ছেন, দৌড়াচ্ছেন তো দৌড়াচ্ছেনই। দৌড়াতে দৌড়াতে আপনি দ্বিতীয় স্থানে থাকা মানুষটিকে অতিক্রম করে গেলেন। এবার আপনি কততম অবস্থানে আছেন?
ক) জানি না
খ) প্রথম!
গ) দ্বিতীয়
ঘ) তৃতীয়
১০. মেরির বাবার পাঁচ মেয়ে। তারা হলো টিনা, মিনা, নিনা, রিনা। অন্যজনের নাম কি?
ক) আমি কি করে জানবো?
খ) লিনা?
গ) বীণা
ঘ) মেরি.......
১১) মোজেস/ মেসিয়াহ/ মুসা নবীর নৌকায় কয়টা পুরুষ প্রাণী আর কয়টা মেয়ে প্রাণী ছিলো?
ক) জানি না
খ) ২০ টা
গ) অনেক অনেক
ঘ) শূন্য
১২) এবার সবচাইতে কঠিন অংকটা করি আসুন। কোনও ক্যালকুলেটর ব্যবহার করবেন না, মাথার ভেতর অংক করুন! ১০০০ এর সাথে ৪০ যোগ করুন। আবার এর সাথে ১০০০ যোগ করুন, তারপর ৩০ যোগ করুন। ১০০০ যোগ করুন। যোগফলের সাথে ২০ যোগ করুন। আরও ১০০০ যোগ করুন। এরপর ১০ যোগ করুন। কত হলো?
ক) জানি না
খ) ৫০০০
গ) ৬০০০
ঘ) ৪১০০
উত্তরঃ
১- গ) মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
২- খ) বয়স যতই হোক, জন্মদিন একটাই থাকে!
৩- ঘ) ২৮টার বেশি দিন থাকতে পারে, কিন্তু প্রতি মাসে কমপক্ষে ২৮ টা দিন তো আছেই, তাই না?
৪- গ) আপনার স্ত্রী বিধবা মানে আপনি ইতোমধ্যেই মৃত। এরপর আবার স্ত্রীর বোনকে বিয়ে করবেন কি করে?
৫- গ) উত্তর হলো ৭০। কারন আধা দিয়ে যে কোনও কিছুকে ভাগ করলে সেটা দ্বিগুণ হয়ে যায়!
৬- ঘ) আপনি নিজেই তো আপেল নিচ্ছেন, তাহলে তিনটাই তো থাকবে আপনার কাছে!
৭- ঘ) উত্তর হলো ৬০ মিনিট। প্রথমটি খাবার ৩০ মিনিট পর অন্যটা খাবেন, তার ৩০ মিনিট পড়ে শেষটা। অর্থাৎ মত ৬০ মিনিটে শেষ হয়ে যাবে ওষুধ।
৮- গ) ৯ টা বাদে সব মরে গেল মানে তো ৯ টা বেঁচে গেছে, বাকিগুলো মরে গেছে। নয় কি?
৯- গ) দ্বিতীয় স্থানে থাকা মানুষটির স্থান আপনি নিয়ে নিলে আপনিই তো দ্বিতীয় হয়ে যাচ্ছেন!
১০- ঘ) মেরির বাবার পাঁচ মেয়ে, অন্যদের কথা বাদ দিলেও তিনি যেহেতু “মেরি”র বাবা তাই মেরি নামের একটা মেয়ে তো তার থাকবেই, তাই না?
১১- ঘ) মুসা নবী/ মোজেস/ মেসিয়াহ- এর নৌকা ছিলো না, নূহ নবীর ছিলো!
১২- ঘ) উত্তর হলো ৪১০০। বিশ্বাস হচ্ছে না? ক্যালকুলেটর ব্যবহার করেই দেখুন!
ফলাফলঃ
প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর করে ধরুন।
০-২ নম্বরঃ জীবনে নিশ্চয়ই অনেকবার "মাথা মোটা", "গর্দভ" ইত্যাদি গাল শুনেছেন? আপনি অবশ্যই মাথামোটা গর্দভ নন, তবে নিজের বুদ্ধির ব্যবহার করছেন না মোটেই।
৩-৬ নম্বরঃ আপনি হয়তো অনেক পড়াশোনা করেছেন, কিন্তু নিজের মাথাটাকে ঠিকভাবে খাটাতে শেখা বাকি আছে এখনও। কোনকিছুই মন দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন না আপনি, তাই সহজ উত্তরগুলো চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে।
৭-৯ নম্বরঃ ভালো লক্ষণ। আপনি পড়াশোনায় ভালো হন বা খারাপ হন, আপনার মস্তিষ্কটা মোটামুটি সচল।
১০-১২ নম্বরঃ বাহ! আপনার মস্তিষ্ক যথেষ্ট সক্রিয়। চালিয়ে যান!

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS