Md. Afrooz Zaman Khan

Afrooz
Md. Afrooz Zaman Khan. Powered by Blogger.
RSS

ইফতারে অন্য সদরঘাট



ইফতারের সময় বাকি আধঘণ্টা। সদরঘাট লঞ্চঘাট থেকে ভেসে আসছে পবিত্র কোরআনের ধ্বনি। লঞ্চের ভেতরে-বাইরে সবাই ব্যস্ত ইফতারের আয়োজন নিয়ে। অনেকে গোল হয়ে বসেছেন ইফতারি নিয়ে।
ঘাটে ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, জিলাপি, খেজুরসহ বিভিন্ন ধরনের ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসে আছেন দোকানমালিকেরা। এসব দোকানে আরও বিক্রি হচ্ছে বোতলজাত পানি, মাঠা, ফলের রস ও কোমলপানীয়। আর ফলের মধ্যে রয়েছে আম, আনারস, মালটা, আপেল, আঙুর ও লটকন। এ ছাড়া লঞ্চগুলোর আশপাশে নৌকায় করেও হকাররা বিক্রি করছেন হরেক রকমের ইফতারি। আর এর সঙ্গে কয়েকটি দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে সেহ্রির খাবার। গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর সদরঘাটে গিয়ে দেখা যায় এ চিত্র।
সাধারণত দুপুরের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের ঢল নামে সদরঘাটে। বদলে যায় চিরচেনা দৃশ্য। জমে ওঠে ইফতারি বাজার। তবে রাজধানীর অন্যান্য এলাকা থেকে এখানে ইফতারির দাম কিছুটা বেশি বলে অভিযোগ লঞ্চযাত্রীদের।
লঞ্চ কর্মকর্তারা জানান, দূরপাল্লার লঞ্চগুলো ছাড়বে রাত নয়টার দিকে। তবে দুপুর থেকেই আসতে শুরু করেন যাত্রীরা। পরিবারের সবাই মিলে লঞ্চে বসে ইফতার করেন।
ইফতারের আগে পানির বোতল বিক্রি করছিল শিশু নয়ন, আতিক, সালমান ও জসিম। তারা জানাল, রোজার সময় তারা লঞ্চে পানির বোতল বিক্রি করে। খালি বোতলে টিউবওয়েল ও ওয়াসার পানি ভরে বিক্রি করেন। এসব পানি দুই লিটার ১০ টাকা, তিন লিটার ১২ টাকা দরে বিক্রি করা হয়।
বিকেল পাঁচটার দিকে সুন্দরবন (৭) লঞ্চে ওঠেন সোহেল রানা ও সেলিনা ইসলাম দম্পতি। তাঁরা যাবেন বরিশালে। বাসা থেকে ফলমূল নিয়ে এসেছেন। টার্মিনাল থেকে ছোলা, মুড়ি, খেজুর ও একটি আনারস কিনেছেন। লঞ্চের ভেতর বসে ইফতার করবেন।
সু্দরবন (৭) লঞ্চের ম্যানেজার মো. হারুন জানান, টার্মিনালে মালিক, যাত্রী, লেবার আর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা একসঙ্গে ইফতার করেন। ইফতারের ১৫ মিনিট আগ থেকেই লঞ্চের হর্ন বাজানো বন্ধ হয়ে যায়। ইফতার শেষে লঞ্চের ভেতরে ও ওপরে রোজাদারেরা নামাজ আদায় করেন।
এমভি রায়হান (২) লঞ্চের যাত্রী আবদুর রব। যাবেন ভোলার চরফ্যাশন এলাকায়। বললেন, লঞ্চের ক্যানটিনে ইফতারের ব্যবস্থা নেই। আর সেহ্রির আয়োজন থাকলেও দাম রাখা হয় বেশি।
অভিযোগের জবাবে ওই লঞ্চের ক্যানটিন ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বললেন, ‘সব লঞ্চেই খাবারের দাম একটু বেশি রাখা হয়। কারণ, ক্যানটিনের ভাড়াও তুলনামূলক বেশি। তাই রমজানে ইচ্ছা থাকলেও দাম কমাতে পারি না।’

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

0 comments:

Post a Comment