Md. Afrooz Zaman Khan

Afrooz
Md. Afrooz Zaman Khan. Powered by Blogger.
RSS

শীর্ষে ফারজানা



ফারজানা মুবারককৃতিত্ব গড়া যেন তাঁর ছোটবেলার স্বভাব। সেই যে স্কুলের বিতর্ক মঞ্চ কিংবা সাংস্কৃতিক আয়োজন থেকে জানান দিয়েছিলেন নিজের প্রতিভার। আরেকটু বড় হয়ে ক্লাস ক্যাপ্টেন হয়ে যে আভা ছড়িয়েছেন নিজের চারপাশে, তা কী বন্ধু বা নিকটজনদের কাছে ভবিষ্যৎ-বার্তা ছিল না? আর এসবই যেন পূর্ণতা পেল সেদিন রাষ্ট্রপতির হাত থেকে নেওয়া ‘চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ পুরস্কারটি হাতে পেয়ে। বলছি ফারজানা মুবারকের কৃতিত্বের কথা।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের এ শিক্ষার্থীর কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ২০১৫ সালে পেয়েছেন ‘চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ পুরস্কার। ফারজানা স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ ৪-এ ৪-ই পেয়েছেন।
উচ্ছ্বাসভরা কণ্ঠে ফারজানা জানান, ‘ছোটবেলা থেকে আমার ইচ্ছা ফার্মাসিস্ট হওয়ার। তাই ফার্মেসি বিষয় নিয়ে পড়েতে আসা। এটি আমার স্বপ্ন পূরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।’
বাকি আর রইল কোথায়, ফার্মাসিস্ট হতে এখন তো শুধু নিবন্ধনটাই বাকি! ফারজানার সোজাসাপ্টা জবাব, ‘আমি চাই হসপিটাল ফার্মাসিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে। এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানে পড়তে যেতে চাই।’

কথা বলতে বলতে ফারজানার কাছে জানা গেল, জন্ম তাঁর ঢাকায় হলেও বাবা মুবারক হোসেন খানের কর্মস্থল কুয়েতে হওয়ায় সেখানেই শৈশব ও কৈশোর কেটেছে তাঁর। আর কুয়েতের ইন্ডিয়ান সেন্ট্রাল স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে।

স্কুলে বেশ নেতা গোছের ফারজানা দশম শ্রেণিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন ক্লাস ক্যাপ্টেন। তারও আগে বিতর্কে হাতেখড়ি ফারজানার। নিজের স্কুলকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতায়। গানের গলাও তৈরি সেই ছোটবেলা থেকেই। স্কুলের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজনে গান গাইতে মঞ্চে ওঠা তাঁর জন্য ছিল অবধারিত।
ফারজানা জানান, ‘আমাদের স্কুলের হয়ে বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ হয়েছে, এ ছাড়া সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায়ও অংশ গ্রহণ করেছি।’ শুধুই কি অংশগ্রহণ! এসব বিতর্ক ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় সেরা ও রানারআপ হয়ে নিজের ঝুলিতে পুরেছেন নানা পুরস্কারও।

শুধু নিজের জন্যই নয় ফারজানা ভাবেন সাধারণ মানুষের কথাও। ফারজানা জানান, ‘আমাদের দেশে অনেক প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষকে ভুল ও ভেজাল ওষুধ খাওয়ায়। স্বেচ্ছাসেবী কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভেজাল ওষুধ শনাক্তকরণ নিয়েও কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে আমার।’










  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

0 comments:

Post a Comment