Md. Afrooz Zaman Khan

Afrooz
Md. Afrooz Zaman Khan. Powered by Blogger.
RSS

বিতর্কের বীর




জুবায়ের আহমেদতিনি খেলা আর বিতর্ককে মাপেন একই পাল্লায়! জুতসই যুক্তিও রয়েছে তাঁর সে নিক্তির স্বপক্ষে, ‘বিতর্ক আমার কাছে একটি বুদ্ধিবৃত্তিক খেলা মনে হয়। প্রতিপক্ষকে যুক্তি দিয়ে হারানোর যে আনন্দ, আমার কাছে তা খেলায় জয়ী হওয়ার মতোই ব্যাপার!’ বিতর্ককে খেলা হিসেবে নেওয়া মানুষটির নাম জুবায়ের আহমেদ। ইংরেজি সাহিত্যে চতুর্থ বর্ষে পড়ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। জুবায়ের সভাপতি হিসেবে হাল ধরেছেন চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির।
শুধুই যে হালটি জাপটে ধরে আছেন এমন নয়, নিজের বিতর্ক দলকে নিয়ে গেছেন জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড কাপ ডিবেটে দলনেতা হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেছেন নিজের ক্লাবই শুধু নয়, পুরো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কেই। শুধু এ বছরই নয়, এর আগেও অংশ নিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়। যেমন ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়া-এশিয়ান ডিবেটিং চ্যাম্পিয়নশিপে।
এ তো গেল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার গল্প। দলনেতা হিসেবে জাতীয় পর্যায়েও রয়েছে তাঁর সাফল্যের ধারাবাহিকতা। ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন চুয়েট আয়োজিত বি৶টিশ পার্লামেন্টারি ডিবেটিং চ্যাম্পিয়নশিপে। সেরা পুরস্কারটিই নিজের দখলে নিয়েছিলেন ডেইলি স্টার বিজ ডায়ালেটিক ডিবেটিং চ্যাম্পিয়নশিপে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতাতেও ছিনিয়ে এনেছেন চ্যাম্পিয়নের পুরস্কার।
বিতর্ক চর্চা সম্পর্কে জুবায়ের বলেন, ‘আমার বিতর্ক চর্চা শুরু গাজীপুরের কালীগঞ্জ আর আর সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকেই। সে চর্চা আরও শাণিত হয়েছে কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজে উচ্চমাধ্যমিক পড়ার সময়।’ তুখোড় শব্দের সঙ্গে মেধাবী শব্দটির যতটা ঘনিষ্ঠতা, ঢের বেশি ঘনিষ্ঠতা কিনা বিতার্কিক ও তাঁর নিজ নামের!
শুধুই বিতর্ক নয়, জুবায়ের যুক্ত আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে। সাংস্কৃতিক বিনিময়ের অংশ হিসেবে ভারতীয় হাইকমিশনের নিমন্ত্রণে বাংলাদেশি তরুণদের যে দলটি ২০১৪ সালে সে দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, জুবায়েরও ছিলেন সে দলে।
নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলোতে ধারাবর্ণনা করতে জুবায়ের হাতে তুলে নেন মাইক। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজনে উপস্থাপক হিসেবেও নামডাক রয়েছে তাঁর। শুধু কি বিশ্ববিদ্যালয়? জুবায়ের বলেন, ‘আমি অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে আয়োজিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানও উপস্থাপনা করেছি।’
জুবায়ের স্বপ্ন দেখেন কূটনীতিক হওয়ার। যেমনটি তিনি বলেন, ‘একজন খেলোয়াড় যেমন তাঁর দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন, আমার ছোটবেলার খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন থেকে তেমনি আমিও চাই আমার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে। নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে একজন বিতার্কিক হিসেবে কূটনীতিক হওয়াটা বড় সুযোগ।’








  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

0 comments:

Post a Comment