Md. Afrooz Zaman Khan

Afrooz
Md. Afrooz Zaman Khan. Powered by Blogger.
RSS

১০টি উক্তি, যা আপনার জীবনধারা পালটে দেবে..







'স্বপ্ন সেটা নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে দেখো স্বপ্ন সেটা যেটা তোমায় ঘুমোতে দেয় না'
 

'
সূর্যের মতো দীপ্তিমান হতে হলে প্রথমে তোমাকে সূর্যের মতোই পুড়তে হবে।'


'
যদি তুমি তোমার কাজকে স্যালুট কর, দেখো তোমায় আর কাউকে স্যালুট করতে হবে না। কিন্তু তুমি যদি তোমার কাজকে অসম্মান কর, অমর্যাদা কর, ফাঁকি দাও, তাহলে তোমায় সবাইকে স্যালুট করতে হবে।'
 

'
যারা হৃদয় দিয়ে কাজ করতে পারে না; তাদের অর্জন অন্তঃসারশূন্য, উৎসাহহীন সাফল্য চারদিকে তিক্ততার উদ্ভব ঘটায়।'


প্রতিদিন সকালে এই পাঁচটা লাইন বলো :
) আমি সেরা।
) আমি করতে পারি
) সৃষ্টিকর্তা সব সময় আমার সঙ্গে আছে
) আমি জয়ী
) আজ দিনটা আমার


'
ভিন্নভাবে চিন্তা করার উদ্ভাবনের সাহস থাকতে হবে, অপরিচিত পথে চলার অসম্ভব জিনিস আবিষ্কারের সাহস থাকতে হবে এবং সমস্যাকে জয় করে সফল হতে হবে। সকল মহানগুণের দ্বারা তরুণদের চালিত হতে হবে। তরুণ প্রজন্মের প্রতি এই আমার বার্তা।'
'জীবন একটি কঠিন খেলা। ব্যক্তি হিসেবে মৌলিক অধিকার ধরে রাখার মাধ্যমেই শুধুমাত্র তুমি সেখানে জয়ী হতে পারবে।'


'
আকাশের দিকে তাকাও। আমরা একা নই। পুরো মহাবিশ্ব আমাদের প্রতি বন্ধুত্বসুলভ। যারা স্বপ্ন দেখে এবং কাজ করে শুধুমাত্র তাদেরকেই শ্রেষ্ঠটা দেওয়ার জন্য চক্রান্তে লিপ্ত এই বিশ্ব।'


'
উৎকর্ষতা একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়।'


'
যদি একটি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত এবং সুন্দর মনের মানুষের জাতি হতে হয়, তাহলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ক্ষেত্রে তিনজন সামাজিক সদস্য পার্থক্য এনে দিতে পারে। তারা হলেন বাবা, মা এবং শিক্ষক।'






  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

স্বপ্ন হোক আকাশে ওড়ার




গতকাল প্রয়াত ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম সর্বশেষ বাংলাদেশে আসেন ২০১৪ সালের অক্টোবরে। ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ১১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে যে বক্তৃতা দেন, তার একটি সংক্ষেপিত রূপ পুনঃপ্রকাশ করা হলো। এটি প্রথম প্রকাশ করা হয় গত বছরের ২৬ অক্টোবর স্বপ্ন নিয়ে সাময়িকীতে




এ পি জে আবদুল কালামবন্ধুরা, প্রথমত ধন্যবাদ জানাই আমাকে এখানে কিছু বলার সুযোগ দেওয়ার জন্য। একই সঙ্গে ধন্যবাদ জানাই যারা আমাকে এখানে নিয়ে এসে তোমাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ করে দিল। বাংলাদেশকে আমার দুটি কারণে অনেক ভালো লাগে। এক, এ দেশের বিস্তৃত জলরাশি। আজও যখন দিল্লি থেকে উড়ে এলাম তখন দেখছিলাম দেশজুড়ে কত নদী! আসলে তোমাদের নাম হওয়া উচিত ‘ওয়াটার পিপল’। তোমরা খুব সৌভাগ্যবান। আর দুই, এ দেশের তৈরি পোশাকশিল্প। তোমরা নিজেরাও হয়তো জানো না তৈরি পোশাকশিল্পে তোমরা কতটা উন্নত। আর হ্যাঁ, অবশ্যই আমার ভালো লাগার একটা বড় অংশজুড়ে আছ তোমরা, এ দেশের তরুণ যুবসমাজ। এ দেশের জনসংখ্যা অনেক হতে পারে। কিন্তু মনে রাখবে এর অর্ধেকই তোমরা। তোমাদের ধ্যানধারণা, চিন্তাভাবনা ও কাজকর্মের ওপরই দেশের উন্নয়ন অনেকাংশে নির্ভর করছে। বাংলাদেশেরও উচিত তোমাদের শক্তিমত্তার কথা মাথায় রেখে তোমাদের যথাযথ ব্যবহার করা। আর তাই আমার একটি পরামর্শ রইল তোমাদের প্রতি। এখন থেকে সবকিছুতে দেশের কথা মাথায় রাখবে। কোনো স্বপ্ন দেখলে নিজের সঙ্গে বাংলাদেশকে নিয়েও দেখবে, কোনো চিন্তা করলে বাংলাদেশকে নিয়ে করবে আর কোনো কাজে মগ্ন হলে বাংলাদেশের জন্য করবে।
ভারতের তরুণদের সঙ্গে তোমাদের অনেক মিল আছে। যেমন মিল আছে দুই দেশের ইতিহাস থেকে শুরু করে শিল্প-সংস্কৃতি আর সম্পদে। অর্ধশত নদী আমাদের দুই দেশের মধ্য দিয়ে প্রবহমান। বিশ্বের সব থেকে সুন্দর এবং সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনও এই দুই দেশজুড়ে রয়েছে। তাই এই দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনেক অটুট। আমার ৮৩ বছরের জীবদ্দশায় দুই দশক ধরে দেশে এবং দেশের বাইরে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ তরুণের সংস্পর্শে এসেছি শুধু তাঁদের স্বপ্ন কী সেটা জানতে। তাই যখন তোমাদের কাছে আসার সুযোগ পেলাম, সে সুযোগটি হাতছাড়া করতে চাইনি।
তোমাদের যখন পেলামই তখন আমার জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে মূলত চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি আমি আজ আলোকপাত করব। সেগুলো হলো: জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ, জ্ঞান আহরণ, অনেক বড় সমস্যায় পড়লেও লক্ষ্য থেকে সরে না আসা এবং কোনো কাজে সাফল্য ও ব্যর্থতা দুটোকেই নেতৃত্বগুণে সামাল দিতে পারা।
প্রথমেই তোমাদের আমার একটা ছোট্ট গল্প শোনাতে চাই। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমার এক স্কুলশিক্ষক ছিলেন শিব সুব্রমনিয়াম আয়ার, যাঁকে দেখলে ‘জ্ঞানের বিশুদ্ধতা’ কথাটার মানে বোঝা যায়। সেই শিক্ষক একদিন একটি পাখির ছবি এঁকেছিলেন। অনেকক্ষণ ধরে শিখিয়েছিলেন পাখি কীভাবে আকাশে ওড়ে। বলেছিলেন, কালাম কখনো কি উড়তে পারবে এই পাখির মতো? সেই থেকে আমার আকাশে ওড়ার স্বপ্নের শুরু।
ঠিক উড়তে গেলে কী করতে হবে সেটা আমি বলব না। সেটা তোমরা নিজেরাই ঠিক করে নেবে। তবে আমি তোমাদের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিতে পারি। কথাগুলো তোমরা আমার সঙ্গে বলো, ‘সব সময় জীবনের অনেক বড় লক্ষ্য রাখব। মনে রাখব ছোট লক্ষ্য অপরাধের সমান। আমি অব্যাহতভাবে জ্ঞান আহরণ করে যাব। সমস্যা সমাধানের অধিনায়ক হব। সমস্যার সমাধান করব। সমস্যাকে কখনো আমার ওপর চেপে বসতে দেব না। যত কঠিন সময়ই আসুক না কেন কখনোই হাল ছেড়ে দেব না। এভাবেই আমি একদিন উড়ব।’
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের জন্ম তামিলনাড়ুতে, ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর। তিনি ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘ভারতরত্ন’ ছাড়াও ‘পদ্মভূষণ’ ও ‘পদ্মবিভূষণ’ খেতাবে ভূষিত। গত বছর ঢাকা সফরে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) ১১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১৭ অক্টোবর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি এই বক্তব্য দেন।
সবাইকে অনেক বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। সর্বদা চিন্তা করবে, আমাকে যেন মানুষ মনে রাখে। কিন্তু মানুষ কেন মনে রাখবে, সেটি ঠিক করতে হবে। এই যে চারপাশে এত আলো দেখছ, বাতি দেখছ, বলো তো এই বাতি দেখলেই প্রথমে কার কথা মনে পড়ে? ঠিক, টমাস আলভা এডিসন। এই যে যোগাযোগের জন্য টেলিফোন, এটা দেখলে কার কথা মনে পড়ে? আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। একইভাবে এই বাংলাদেশের কথা চিন্তা করলে প্রথমেই কার কথা মাথায় আসে বলো তো? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সবাই তাঁকে মনে রেখেছে। এভাবে সবাইকে স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি তা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবে। এমন কিছু করে যাবে, যাতে তোমার অনুপস্থিতিতেও পৃথিবী তোমাকে মনে রাখে।
ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কথা যখন এল তখন বলি, সফল হলেও প্রথমে কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছিলাম। আর ওই ব্যর্থতাই আমাকে সফল হতে উজ্জীবিত করেছিল। চ্যালেঞ্জ হলো এই ব্যর্থতাকে দূর করে সফল হওয়ার পথ খুঁজে নিতে হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন নেতৃত্বগুণের। সবার মধ্যে যে গুণটি অবশ্যই থাকা প্রয়োজন। মনে রাখবে, একজন যোগ্য নেতার একটি সুনির্দিষ্ট গন্তব্য, পরিকল্পনা ও যেকোনো অবস্থা সঠিকভাবে উপলব্ধি করার ক্ষমতা থাকতে হবে। তাঁকে হতে হবে সৎ ও উদার মনের। সফলতাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে কিন্তু ব্যর্থতাকে নিজের করে নেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় হতে হবে।
সমস্যাকে কখনো এড়িয়ে যেতে চাইবে না। বরং সমস্যা এলে তার মুখোমুখি দঁাড়াবে। মনে রাখবে, সমস্যাবিহীন সাফল্যে কোনো আনন্দ নেই। সব সমস্যার সমাধান আছেই। জ্ঞান আহরণ থেকে কখনো বিরত থেকো না। কারণ, এই জ্ঞানই তোমাকে মহানুভব করে তুলবে। অন্য গুণাবলি অর্জনে সাহায্য করবে। নিজেকে অনন্যসাধারণ করে তোলার চেষ্টা করো। মনে রাখবে, তোমার চারপাশের পৃথিবী সর্বদা তোমাকে সাধারণের কাতারে নিয়ে আসার চেষ্টায় লিপ্ত। হতাশ না হয়ে নিজেকে স্বপ্নপূরণের কতটা কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারছ সেদিকে নজর রাখবে। কখনোই সাহস হারাবে না। নিজের একটি দিনও যাতে বৃথা মনে না হয় সে চেষ্টা করো।
তোমরা সবাই ভালো থাকবে। সবাই কোনো না কোনো দিন উড়বে। তোমাদের সবার জন্য শুভকামনা।
মূল বক্তৃতার নির্বাচিত অংশ অবলম্বনে........





  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

গল্পে শোনা বাবা



যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর বাবাকে নিয়ে এই লেখাটি লিখেছেন ড্রিমস ফ্রম মাই ফাদার বইতে। আজ বাবা দিবস উপলক্ষে লেখাটি প্রকাশিত হলো।
 
বারাক ওবামা


মনে পড়ছে, মা ও নানার সঙ্গে কাটানো ছোটবেলার কথা। একটা আমগাছের নিচে বসে আমার চুলে হাত বোলাতে বোলাতে নানির কাছে শোনা বাবার গল্প। আমার ছোটবেলা জুড়ে ছিল এক অকল্পনীয় সারল্য। আশপাশের মানুষের মধ্য থেকে যে সারল্য হারিয়ে গেছে অনেক আগেই।
আমার শ্বেতাঙ্গ মা ও কৃষ্ণাঙ্গ বাবা অনেক বেশি জানতেন, অনেক কিছু দেখেছিলেন তাঁরা। আফ্রিকান আর আমেরিকান মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি তাঁদের হৃদয়ে মিশে ছিল। যারা আমাকে চিনত না, আমার পরিচয় আবিষ্কার করে (আবিষ্কার বলছি এ জন্য যে ১২-১৩ বছর বয়সে আমি কেবল আমার মায়ের কথাই বলে যেতাম, যাতে আমাকে শ্বেতাঙ্গদের একজন বলে মনে হয়) সেটা হজম করে নিতে তাদের কয়েক মুহূর্ত অপেক্ষা করতে হতো। তারা আসলেই আর আমাকে বুঝে উঠতে পারত না। মিশ্র বংশপরিচয়, মানসিক দ্বন্দ্ব আর দুই মেরুর বিপরীত অনুভূতি তাদের বোঝানো যেত না। আমি মানুষকে তাদের সন্দিহান মনের জন্য দোষ দিই না। আমি অনেক আগেই আমার ছোটবেলার গল্প থেকে নিজেকে আলাদা করে নিতে শিখেছিলাম। অনেক পরে, যখন আমি আফ্রিকার লালচে মাটিতে আমার বাবার কবরের পাশে বসে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছি, কেবল তখন আমার শৈশব আমার কাছে ফিরে এসেছিল। তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম, কত দীর্ঘ সময় ধরে আমি আমার জীবনের গল্প নতুন করে লিখতে চেয়েছি। আমার ইতিহাসকে নতুন করে সাজাতে চেয়েছি। আমার দুর্বলতা, ব্যর্থতা লুকিয়ে নিজের শৈশব আর পরিবারকে আগলে রাখতে চেয়েছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজেকে বাঁচিয়ে চলার আপ্রাণ চেষ্টা, পিতার খোঁজে এক ছেলের অন্তহীন যাত্রা এবং একজন কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানের সংগ্রামের গণ্ডি থেকে আমি বের হতে পারিনি।



.

বাবা যখন মারা যান, তখন তিনি আমার কাছে ক্রমশ অস্পষ্ট হয়ে আসা একটা অস্তিত্ব। তিনি হাওয়াই ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন সেই ১৯৬৩ সালে, আমি তখন দুই বছরের শিশু। তাই ছোটবেলায় বাবার স্মৃতি বলতে মা আর নানা-নানির বলা গল্পগুলোই ছিল সম্বল।
‘তোমার বাবা একটু কর্তৃত্বপরায়ণ ছিল ঠিকই’, মা অল্প হেসে বলতেন, ‘কিন্তু প্রচণ্ড সৎ ছিল বলেই এমন করত, সবকিছু মুখ বুজে মেনে নেওয়া তার স্বভাবের মধ্যে ছিল না।’
বাবাকে নিয়ে মায়ের প্রিয় গল্প ছিল, যখন বাবা একটা বড় অনুষ্ঠানে জিনস আর চিতার ছাপওয়ালা একটা পুরোনো শার্ট পরে পুরস্কার নিতে এসেছিলেন! ‘কেউ তাকে বলেনি এত জমকালো একটা অনুষ্ঠান হবে, সে এত বড় সম্মান পেতে যাচ্ছে। সে গটগট করে ভেতরে ঢুকে দেখে, রুমভর্তি সব মানুষ ডিনারের জ্যাকেট পরে এসেছে! জীবনে আমি সেই একবারই তাকে লজ্জিত হতে দেখেছি।’

‘কিন্তু একটা জিনিস জানো ব্যারি, তোমার বাবা, যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে পারত, তা যা-ই হোক না কেন। আর এ জন্যই সবাই তাকে পছন্দ না করে পারত না।’
গল্প শেষে নানা মাথা নাড়তে নাড়তে উঠে যেত, আর বলত, ‘বাবার কাছ থেকে একটা জিনিস তোমার শেখা খুব দরকার। আত্মবিশ্বাস। সফল হতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই।’
এভাবে আমি বসে বসে বাবার গল্প শুনতাম। তাঁর কিছু সাদা-কালো ছবি ছিল, আলমারির ভেতর রাখা। আমি একটু বড় হয়ে গেছি যখন, তত দিনে মায়ের সম্পর্ক শুরু হয়েছে আর একজনের সঙ্গে, যাকে পরে মা বিয়ে করেন। আমাকে কেউ না বললেও আমি বুঝতাম, কেন বাবার ছবিগুলো আলমারির ভেতর ফেলে রাখা হয়। কালেভদ্রে আমি আর মা মেঝেতে পা ছড়িয়ে বসে ধুলোমাখা অ্যালবামটা দেখতাম। আমি একদৃষ্টে বাবার দিকে তাকিয়ে থাকতাম, হাসিতে ভরা একটা মুখ, চওড়া কপাল আর চোখে পুরু চশমা, তাতে বয়সের চেয়েও বড় দেখায়। এই মানুষটাই আমার বাবা।
বাবা ছিলেন আফ্রিকান, আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে, কেনিয়ার লুও গোত্রের। তার জন্ম হয়েছিল ভিক্টোরিয়া লেকের পাশে, অ্যালেগো নামে একটা জায়গায়। বাবার গ্রামের লোকজন ছিল বেশ গরিব, কিন্তু আমার দাদা হুসেইন ওনিয়াঙ্গো ওবামা ছিলেন খুব বড় চাষি, গোত্রের প্রধানের প্রায় সমকক্ষ। বাবা ছোটবেলায় ছাগল চরাত আর স্থানীয় স্কুলে পড়ত। স্কুলটা ছিল ব্রিটিশদের বানানো, খুব ভালো রেজাল্ট করে ওখান থেকেই স্কলারশিপ পেয়ে নাইরোবিতে পড়ার সুযোগ পান। কেনিয়া স্বাধীন হওয়ার কিছু আগে বাবা সুযোগ পান যুক্তরাষ্ট্রে এসে পড়াশোনা করার। বাবা ছিলেন প্রথম কয়েকজনের একজন, যাঁদের দেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয় পশ্চিমা প্রযুক্তি শিখে এসে নতুন আফ্রিকা গড়ার জন্য।
১৯৫৯ সালে বাবা ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াইয়ে এসে পৌঁছান। তিনি ছিলেন এখানকার প্রথম কালো শিক্ষার্থী। ইকোনোমেট্রিক্স নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। অসম্ভব মেধাবী বললে ভুল হবে না। প্রচণ্ড মনোযোগ দিয়ে কাজ করে তিন বছরের মাথায় গ্র্যাজুয়েশন করেন, তাও আবার ক্লাসে ফার্স্ট হয়ে। ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তুলতে তিনি সহায়তা করেন, আর সেখানকার প্রথম সভাপতিও নির্বাচিত হন। একটা রাশিয়ান কোর্সে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় এক লাজুক মার্কিন মেয়ের, বয়স মাত্র ১৮। তাঁরা একে অপরকে ভালোবেসে ফেলেন। মেয়েটির বাবা-মা প্রথমে খুবই চিন্তিত ছিলেন, কিন্তু ছেলেটির ব্যক্তিত্ব আর বুদ্ধি দেখে মুগ্ধ হয়ে তাঁরা আর না করতে পারেননি। খুব শিগগিরই তাঁদের বিয়ে হয়, এক ছেলেরও জন্ম হয়। নিজের নামে ছেলের নাম রাখেন তিনি ‘বারাক’। তারপর আরেকটা স্কলারশিপ পান হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করার জন্য, কিন্তু নতুন পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার মতো আর্থিক সংগতি ছিল না। আলাদা হয়ে যান তাঁরা। পড়াশোনা শেষে বাবা আফ্রিকায় ফিরে যান, মায়ের সঙ্গে একমাত্র ছেলে থেকে যায় বহুদূরে। কিন্তু দূরত্ব যতই হোক, ভালোবাসা থেকে যায়।

সূত্র: বারাক ওবামার ড্রিমস ফ্রম মাই ফাদার বইয়ের প্রথম অধ্যায়। ইংরেজি থেকে নির্বাচিত অংশের অনুবাদ










  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

সবার আগে আইইএলটিএস






উচ্চশিক্ষার জন্য যাঁরা বিদেশে পাড়ি জমানোর পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের ইংরেজিতে দক্ষতা প্রমাণের বিভিন্ন পরীক্ষার মধ্যে আইইএলটিএস (IELTS) অন্যতম জনপ্রিয় একটি পরীক্ষা। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া তো বটেই, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো IELTS স্কোরকে একজন শিক্ষার্থীর ইংরেজি ভাষায় পারদর্শিতা যাচাইয়ের একটি নির্ভরযোগ্য মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করে। এই পরীক্ষায় সবাই অংশ নিতে পারেন। এর জন্য কোনো নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই।

পরীক্ষাপদ্ধতিআইইএলটিএস পরীক্ষাটি দুই ধরনের: একাডেমিক ও জেনারেল ট্রেনিং। স্নাতক, স্নাতকোত্তর অথবা পিএইচডি পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য একাডেমিক মডিউলে পরীক্ষা দিতে হয়। কোনো কারিগরি বিষয় বা প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হলে সাধারণত জেনারেল ট্রেনিং মডিউলে পরীক্ষা দিতে হয়। দুই ধরনের মডিউলেই চারটি অংশ থাকে। লিসেনিং (Listening), রিডিং (Reading), রাইটিং (Writing) ও স্পিকিং (Speaking)।

লিসেনিং (Listening)কথোপকথন শুনে বোঝার ক্ষমতা যাচাই করা হয় এ অংশে। ৩০ মিনিটে চারটি অংশে ভাগ করে মোট ৪০টি প্রশ্ন করা হয়। সাধারণত পরীক্ষার্থীদের কোনো বিষয়ে বক্তৃতা, কথোপকথন ইত্যাদি বাজিয়ে শোনানো হয়। শোনা অংশ থেকেই প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। উল্লেখ্য যে একটি বিষয় কেবল একবারই শোনার সুযোগ থাকে।

রাইটিং (Writing)
পরীক্ষার্থীর ইংরেজি লেখার দক্ষতা যাচাই করা হয় এতে। এ পর্বে সময় বরাদ্দ থাকে এক ঘণ্টা। একাডেমিক বিভাগের পরীক্ষার্থীদের ডায়াগ্রাম দেখে নিজের কথায় উত্তর লিখতে হয়, আর জেনারেল বিভাগের পরীক্ষার্থীদের সুনির্দিষ্ট বিষয়ে নিবন্ধ লিখতে হয়।

রিডিং (Reading)
তিনটি বিভাগে ৪০টি প্রশ্ন থাকবে। সময় এক ঘণ্টা। নানা জার্নাল, বই, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন থেকে কিছু অংশ তুলে দেওয়া হবে। সেখান থেকেই বাক্য পূরণ, সংক্ষিপ্ত উত্তর, সঠিক উত্তর খুঁজে বের করা ইত্যাদি থাকবে।

স্পিকিং (Speaking)
তিনটি অংশে মোটামুটি ১১ থেকে ১৪ মিনিটের পরীক্ষা হয়। প্রথম অংশে পরীক্ষার্থীকে কিছু সাধারণ প্রশ্ন করা হয়, যেমন: পরিবার, পড়াশোনা, কাজ, বন্ধু ইত্যাদি। দ্বিতীয় অংশে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দুই মিনিট কথা বলতে হয়। তৃতীয় অংশে চার থেকে পাঁচ মিনিটের জন্য পরীক্ষকের সঙ্গে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে কথোপকথন চালাতে হয়।

স্কোর
১ থেকে ৯-এর স্কেলে আইইএলটিএসের স্কোর দেওয়া হয়। চারটি অংশে আলাদাভাবে প্রাপ্ত স্কোর যোগ করে গড় করে চূড়ান্ত স্কোর দেওয়া হয়। ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে সাধারণত ৭ থেকে সাড়ে ৭ পেতে হয়। তবে প্রস্তুতি শুরু করার আগেই পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ভর্তির জন্য ন্যূনতম স্কোর কত পেতে হবে তা দেখে নিতে হয়।

প্রস্তুতি
শুরুতেই লক্ষ্য ঠিক করে নিন। এ জন্য প্রথমেই কয়েকটা মক-টেস্ট দিয়ে বুঝে নিতে হবে আপনি কাঙ্ক্ষিত স্কোর থেকে কতটা দূরে অবস্থান করছেন। এরপর শুরু করে দিন প্রস্তুতিপর্ব। প্রতিদিন নিয়ম করে প্রস্তুতি নেওয়া ভালো। একেকজনের একেক রকম সময় লাগে। তবে মাস তিনেক সময় হাতে রাখা ভালো। প্রস্তুতির ক্ষেত্রে স্পিকিং অংশে ভালো স্কোর পেতে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন। মক-টেস্ট ও প্রস্তুতির জন্য সব সময় ঘড়ি দেখে বা স্টপ ওয়াচ ধরে প্রশ্নপত্র সমাধান করতে হবে। আইইএলটিএস সম্পর্কে যেকোনো তথ্য পেতে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হলো ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং আইডিপি, বাংলাদেশ। ব্রিটিশ কাউন্সিলের লাইব্রেরিতে প্রস্তুতির জন্য অনেক ভালো বই ও ব্যবহারিক উপকরণ পাওয়া যায়। লাইব্রেরির সদস্য হলেই এগুলো ব্যবহার করা যাবে।

কোথায়, কীভাবে পরীক্ষা
বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং আইডিপির আয়োজনে আইইএলটিএস পরীক্ষা দেওয়া যায়। প্রতি মাসে সাধারণত তিনবার পরীক্ষা নেওয়া হয়। ওয়েবসাইটে অথবা ফোন করে পরীক্ষার তারিখ জেনে নিতে পারেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষার জন্য ফি হচ্ছে ১৪ হাজার ৫০০ টাকা। বাড়িতে বসেই অনলাইনে ফরম পূরণ করে টাকা জমা দেওয়া যাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের নির্দিষ্ট কিছু শাখায়। ব্রিটিশ কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে দেখে নিতে পারবেন কোন কোন শাখায় টাকা দেওয়া যাবে। এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার সময়, স্থান, নিবন্ধন নম্বর ইত্যাদি তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সাম্প্রতিক সময়ের পাসপোর্ট ও দুই কপি পাসপোর্ট আকারের রঙিন ছবি লাগবে। আইইএলটিএস স্কোরের মেয়াদ থাকে দুই বছর।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেটে পরীক্ষা দেওয়া যায়।

ওয়েবসাইট: www.britishcouncil.org.bd,  www.ielts.org/default.asx
 
তথ্য সহায়তা: ব্রিটিশ কাউন্সিল, ঢাকা।









  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

দুশ্চিন্তা নয়, চিন্তা করো




অস্কারজয়ী হলিউডের অভিনেত্রী নাটালি পোর্টম্যান। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনীর জন্ম ১৯৮১ সালের ৯ জুন। ২০১০ সালে ব্ল্যাক সোয়ান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার জয় করেন। ২০১৫ সালের ২৭ মে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে তিনি এই বক্তব্য দেন।

নাটালি পোর্টম্যান 



২০১৫ সালের সব শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন। আমি তোমাদের সামনে দাঁড়াতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। শিক্ষক-অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাই। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কথা বলা নিশ্চয়ই দারুণ রোমাঞ্চকর ঘটনা। আমাদের সময় বক্তা ছিলেন অভিনেতা উইল ফেরেল। সেদিন আমরা বেশির ভাগই ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সেই বক্তব্য শুনেছিলাম। সেই ১২ বছর আগের ঘটনা আমার এখনো মনে পড়ে। সেই তখনকার মতোই আমি এখনো আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। আমার কী হবে?
১৯৯৯ সালে আমি শিক্ষার্থী হিসেবে হার্ভার্ডের প্রাঙ্গণে পা রাখি। সেই সময় তোমরা বেশির ভাগই কিন্ডারগার্টেন স্কুলে মোজা পরে যেতে! সেই সময়টায় ভবিষ্যৎ নিয়ে যেভাবে চিন্তা করতাম, এখনো সেই চিন্তা করি। তখন করতাম দুশ্চিন্তা, আর এখন শুধুই চিন্তা।
জীবনটা আসলে নিজেকেই তৈরি করতে হয়। অন্যকে অনুসরণ বা অনুকরণ করে বেশি দূর যাওয়া যায় না। জ্ঞান-বুদ্ধি আর পড়াশোনার মধ্য দিয়ে নিজেকে বদলাতে হয়। পার্কে খেলার সময় শিশুরা তাদের বলের দিকে সব মন দিয়ে দেয়, তোমাদের ভবিষ্যতের দিকে সেভাবেই মন দিতে হবে। সাফল্য আসুক, না আসুক, সেই শিশুর মতো বল খেলে যাও।
আমি একটি পাবলিক হাইস্কুলে পড়াশোনা করেছি। তখন মাত্র ইন্টারনেটের বিকাশ শুরু হয়েছে। অন্য সব কিশোরীর মতোই আমার হাইস্কুল জীবনটা ছিল ভীষণ এলোমেলো। এখন বুঝি সময়টা তখন রঙিন ছিল, কিন্তু আমার এলোমেলো কাজে রঙিন জিনিসই আমার কাছে বিরক্ত লাগত।
আমি ১১ বছর বয়স থেকে নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছি। আমার কাছে তখন অভিনয় তেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। আমার পুরো পরিবার ছিল শিক্ষানুরাগী, যে কারণে আমাকে পড়াশোনাকে গুরুত্বের চোখে দেখতে হতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা আর দুনিয়া নিয়ে ভাবনা আমার ধ্যানধারণা বদলে দেয়। আমার কাছে জীবন মানে অভিনয়, আর অভিনয় মানে মানুষের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া।
আমি ছোটবেলা থেকেই চাইতাম এমন কিছু করতে, যেখানে অন্যদের গল্প বলা যায়, শোনা যায়, দেখা যায়। নিজের থেকে কিছু করতে চাইতাম দেখেই অভিনয়ের দুনিয়াতে আমার পা রাখা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি আমাকে আমার দুনিয়াকে বড় করে দেখতে আর ভাবতে শিখিয়েছে।
আমাদের যে সবকিছুতে অভিজ্ঞ হয়ে কাজে নামতে হবে, তা ঠিক না। চেষ্টা করে যাওয়া, লেগে থাকার প্রত্যয় থাকলেই যেকোনো কাজে সফল হওয়া যায়। আমাদের সব বিষয়ে জ্ঞান না-ও থাকতে পারে, এই না থাকাটাকে শক্তি হিসেবে ধরে নিয়ে অনেক বড় কাজ করা যায়। নিজের মধ্যে যা নেই, তা নিয়ে না ভেবে, যা আছে তাই নিয়ে কাজে ডুবে যাওয়া উচিত সবার। ব্ল্যাক সোয়ান সিনেমা করার সময় আমাকে ভীষণ পরিশ্রম করতে হয়। ব্যালে নাচ নিয়েই ছিল সেই সিনেমা। আমি টুকটাক নাচ পারতাম, কিন্তু পেশাদার ছিলাম না। আমি যদি আমার সীমার মধ্যে কাজ করার চেষ্টা করতাম, তাহলে আমি ঝুঁকি নিতাম না, অভিনয় করতে চাইতাম না। আমি ঝুঁকি নিয়ে অভিনয় করি, আর সেই ঝুঁকির জন্যই আমি আমার জীবনের অন্যতম সম্মান অঅস্কার পুরস্কার জয় করি।
আমি কাজের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সঙ্গ উপভোগ করি। মানুষের সঙ্গে গল্প করলে, আড্ডা দিলে অনেক কিছু শেখা যায়, জানা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি অভিনয়ের সঙ্গে ভালো পড়াশোনা করার চেষ্টা করি। আমি নিউরো বায়োলজি আর হিব্রু সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা শুরু করি। আমার মধ্যে সব সময় চেষ্টা করার মানসিকতা রাখি আমি। সাফল্য আসুক, না আসুক, আমি পরিশ্রম করে আনন্দ পাই। কাজের আনন্দ নিয়ে কাজ করতে হয়। সম্মান আর খ্যাতি নিয়ে ভাবলে কাজ করা হয় না। আমাকে এখনো অনেক সিনেমার জন্য অনেকেই প্রশংসা করে। আমি কিন্তু ভালো অভিনয়ের চেষ্টা করি, লেগে থাকার মানসিকতাই আমাকে ঘাড় উঁচু করে চলার শক্তি দেয়। নিজেকে তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
গুনে গুনে হিসাব করে কিছু করা যায় না। কাজ করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। নিজের দুনিয়াকে যারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তারাই সবচেয়ে বেশি জীবন উপভোগ করে। আমি আরেকটা কথায় বিশ্বাসী, অন্যের জীবন বদলে দেওয়ার মধ্যে অনেক আনন্দ আছে। আফ্রিকার শিশুদের শিক্ষার জন্য আমি কাজ করি, কত শিশুর জীবন বদলে গেছে, তা ভাবতেই আমার ভীষণ আনন্দ লাগে। মানব সভ্যতা কিন্তু এভাবেই সামনে এগিয়ে যায়। একে অন্যকে এগিয়ে না নিয়ে গেলে সভ্যতা সামনে এগিয়ে যেতে পারে না।
দার্শনিক আব্রাহাম জুসোয়া হেশেলের একটা কথা আমি সব সময় বিশ্বাস করি। ‘কী হবে আর কী না হবে’ তা প্রশ্ন না করে ‘কী করতে হবে আর কীভাবে করতে হবে’ তাই আমাদের ভাবতে হবে। আমি অপেক্ষা করব, তোমরা কীভাবে পৃথিবী বদলে দেবে, তা দেখার জন্য। সবাইকে ধন্যবাদ।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট। ২০১৫ সালের ২৭ মে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে দেওয়া বক্তব্যের নির্বাচিত অংশের অনুবাদ






  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

বড় চিন্তা করো




ফেসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ও সামাজিক সাম্য আন্দোলন ‘লিন ইন’-এর উদ্যোক্তা শেরিল স্যান্ডবার্গ। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনীর জন্ম ১৯৬৯ সালের ২৮ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে।২০১৪ সালে ফরচুন ম্যাগাজিন তাঁকে পৃথিবীর ১০ম ক্ষমতাধর নারীর স্বীকৃতি দেয়।
 
শেরিল স্যান্ডবার্গ

২০১৫ সালের স্নাতক সব শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক-অভিভাবকদের অভিনন্দন। যখন আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়, আমি ভাবনায় পড়ে গিয়েছিলাম যে কীভাবে আমার চেয়ে বয়সে ছোট আর টগবগে একদল তরুণের সঙ্গে কথা বলব? আসলে প্রতিদিনই ফেসবুকে আমাকে এই কাজ করতে হয়। মার্ক জাকারবার্গ আমার চেয়ে ১৫ বছরের ছোট, ফেসবুকের বেশির ভাগ কর্মীই আমার চেয়ে বয়সে ছোট আর তরুণ। আমার চারপাশ তরুণেরা ঘিরে রাখে। আমাকে তারা হতভম্ব করে জিজ্ঞেস করে, ‘মুঠোফোনবিহীন আমাদের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় কেমন ছিল?’ আবার কেউ কেউ আরও বিপদে ফেলে জিজ্ঞেস করে, ‘শেরিল, আমাদের নতুন পদ্ধতি বয়স্করা কেমন পছন্দ করবে তা তোমার কাছ থেকে জানতে চাই!’
আমি ১৯৯১ সালে কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করি আর বিজনেস স্কুলকে বিদায় জানাই ১৯৯৫ সালে। সেই সময়টা বেশি আগের না। কিন্তু গত ২৫ বছরে পৃথিবী আমূল বদলে গেছে। আজকে যে পৃথিবীতে বাস করছি, তা ২৫ বছর আগে কল্পনারও বাইরে ছিল। তোমরা কিন্তু ভাগ্যবান। আজ থেকে ২৫ বছর পরের প্রজন্মের জন্য তোমরা অনেক কিছু করতে পারো।

আমার মতে, দেশ নেতৃত্ব দিতে পারে না, নেতৃত্ব দেয় আসলে মানুষ। স্নাতক শেষে তোমার যাত্রা শুরু হবে। কোন ধরনের নেতা হবে তুমি, তা তোমাকেই ঠিক করতে হবে। ফেসবুক অফিসে আমরা দেয়ালে নানা ধরনের পোস্টার ঝুলিয়ে রাখি। এর একটি হচ্ছে ‘বড় চিন্তা করো।’ আজ তোমাদের নেতৃত্বের জন্য চারটি অর্থবহ গুণের কথা তোমাদের জানাতে চাই।
প্রথমত, সাহসীরা সৌভাগ্যের দেখা পায়। ফেসবুক টিকে আছে মার্ক জাকারবার্গের একটা বিশ্বাসের জোরেই। সেই বিশ্বাসের কারণেই সে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে ড্রপআউটের তালিকায় নাম লেখায়। মার্ক আসলে যা করেছে তা ভাগ্যজনিত কিছু না, সে যা করেছে তা নিজের সাহসে করেছে।

মার্ক যে বয়সে ফেসবুক গড়েছে, সেই বয়সে আমার এতটা সাহস ছিল না। ২০০১ সালে সিদ্ধান্ত নিই সরকারি চাকরি ছেড়ে সিলিকন ভ্যালিতে আসার। বছর খানেক প্রচেষ্টার পরে চাকরি পাই। প্রথম ইন্টারভিউয়ে আমাকে এক প্রযুক্তি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী বলেছিলেন, ‘আপনার মতো সরকারের কাজ করা কাউকে আমি নিয়োগ দিতে পারব না।’ আমি লেগে ছিলাম, প্রযুক্তি কোম্পানিতে কাজ করতেই হবে। সেই লেগে থাকা থেকেই আমি এখনো কাজ করে যাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, তুমি যদি তোমার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য লেগে থাকো, তাহলে একদিন তোমার লক্ষ্যে পৌঁছাবেই।
নেতৃত্বের দ্বিতীয় গুণ হলো, অন্যের মতামতকে সম্মান দেওয়া। সত্যিকারে নেতা তিনি, যিনি মতামত দিতে পারেন এবং অন্যের মতামত গ্রহণ করতে পারেন। মন দিয়ে কথা বলা আর কথা শোনা—দুটোই অনন্য মানবীয় গুণ।
তৃতীয় গুণটি হলো, সব কিছুকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা। আমার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে যাঁরা নেতৃত্ব দেন, তাঁদের দেখে ভাবতাম, ‘তাঁরা কত সৌভাগ্যবান, সবকিছুই তাঁদের নিয়ন্ত্রণে।’ বিজনেস স্কুলে পড়ার সময় আমার ভুল ভাঙে। সত্যিকারের নেতারা অন্যদের মন জয় করতে পারেন অন্যদের কাজকে গুরুত্ব দিয়ে। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক ফ্রান্সিস ফ্রেইয়ের একটি কথা আছে, ‘নেতৃত্ব আসলে অনন্য সেই গুণ, যা তোমার উপস্থিতিতে শুধু অন্যদের উৎসাহ দেয় না অনুপস্থিতেও তোমার প্রভাব অন্যদের ওপর ফেলে।’

সবাইকে একসঙ্গে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ই নেতৃত্বের সর্বশেষ গুণ। চীনা প্রবাদে বলে, নারীরা অর্ধেক আকাশ আগলে রাখেন। নারীদের ভূমিকা আর কাজের অবদানের কথা সবাই স্বীকার করলেও দেশ পরিচালনায় নারী নেতৃত্ব কম দেখা যায়। হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া পৃথিবীর সব দেশেই পুরুষেরা নেতৃত্বে রয়েছেন। পৃথিবীর বড় বড় কোম্পানির মধ্যে ৬ শতাংশের কম প্রতিষ্ঠান নারীরা পরিচালনা করেন। সব ক্ষেত্রেই নেতৃত্বে নারীদের সংখ্যা কম। আমরা ধরে নিই, নেতা মানেই পুরুষ। নারীরা যেন শুধু অন্যদের কথা শোনার জন্যই কাজ করেন। আমি বিশ্বাস করি, পৃথিবী আরও উন্নত হবে সেদিন, যেদিন অর্ধেক পুরুষ গৃহস্থালির কাজ করবে আর অর্ধেক নারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবে।
আমি পরিষ্কারভাবে সবাইকে জানাতে চাই, সাম্য শুধু নারীর জন্য নয়, নারী-পুরুষ সবার জন্য মঙ্গলজনক। আমি বিশ্বাস করি তোমাদের প্রজন্ম কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষে আরও বেশি সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। আজকের দিনটি তোমাদের জন্য প্রতিজ্ঞা নেওয়ার সময়। আজকেই ঠিক করে নাও কেমন নেতা হতে চাও তুমি। অন্যকে কাজে উৎসাহ দাও। অন্যকে অনুপ্রাণিত করো। সাম্য প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করো। সামনে এগিয়ে যাও! সবাইকে অভিনন্দন।


সূত্র: ২৭ জুন ২০১৫ চীনের সিংহুয়া ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ইকোনমিকস

অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টে দেওয়া শেরিল স্যান্ডবার্গের সমাবর্তন বক্তৃতা। ইংরেজি থেকে নির্বাচিত অংশের অনুবাদ  














  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

নিজের সুখ খুজতে গিয়ে আপনি যে ভুলগুলো প্রায়ই করছেন



সুখে থাকতে কে না চায়। আমাদের বেঁচে থাকার সকল চাহিদা পূরণের পরই আমরা ভাবি সুখে থাকার কথা। অনেকের কাছে অল্প কিছুর মধ্যে মানসিক শান্তি নিয়ে বেঁচে থাকার নামই সুখ, আবার অনেকে সব কিছু থাকার পরও সুখের খোঁজে ছুটতে থাকেন। কারণ, সুখ জিনিসটি পুরোপুরি মানসিক একটি ব্যাপার।
নিজেকে সুখী ও পরিপূর্ণ মনে করতে যে মনের শান্তি আপনার মধ্যে কাজ করবে সেটিই সুখ। কিন্তু আমরা এই বিষয়টিই বুঝতে পারি না। এই সুখ খুঁজতে গিয়ে ভুল করে থাকি। সুখকে ভাবি অপার্থিব কিছু। নিজেদের ভুলের কারণেই কিন্তু মন থেকে দূর হয়ে যাচ্ছে সুখ, তা কিন্তু আমরা বুঝতেই পারছি না।

সুখে থাকার আশায় কম্প্রোমাইজ করে চলা
অনেকেই আছেন যারা নিজের মনের সাথে কম্প্রোমাইজ করে চলেন সবসময়। সম্পর্কে জড়িয়ে আছেন ঠিকই কিন্তু সুখ নেই মনে, সব কাজ করছেন ঠিকই কিন্তু পাচ্ছেন না সুখ। কারণ আপনি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে দিনের পর দিন কম্প্রোমাইজ করে চলেছেন। আপনি ভাবছেন একদিন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি নিজের মনটাকে কষ্ট দিয়ে যে কম্প্রোমাইজগুলো করে চলেছেন সেগুলোই আপনাকে সুখে থাকতে দেবে না।


সব কিছুকে টাকার অংকে পরিমাপ করা
সব কিছু আপনি টাকা দিয়ে কিনতে পারবেন না। সুখ তার মাঝে একটি। আপনি সুখে থাকার জন্য ন্যায় পথে বহু পরিশ্রম করে কিংবা অন্যায় পথে অর্থ উপার্জন করেই চলেছেন, অন্য কোনো দিকে না তাকিয়ে শুধু টাকার পাহাড়ই গড়ে নিলেন তাও কি আপনি সুখে থাকবেন? না, একেবারেই নয়। আপনার টাকা উপার্জনের নেশায় আপনি হারিয়ে ফেলবেন নিজের জীবনের অনেক অংশ এবং মনের শান্তি তা যে পথেই উপার্জন করতে থাকুন না কেন।

অন্য আরেকজনের সুখকে নিজের সুখ ধরে নেয়া
সুখে থাকার একটি অভিনয়ের মধ্যে পড়ে অন্য আরেকজনের মধ্যে সুখ খুঁজে নেয়ার ব্যাপারটি। সে সুখী থাকলে আপনিও সুখে থাকবেন এই তত্ত্বটি কিন্তু সব স্থানে এবং সবার জন্য নয়। যখন আপনি আরেকজনের সুখের জন্য সব কিছুই করে ফেলবেন কিন্তু বিনিময়ে তিনি কিছুই করবেন না তখন সেখানে আপনি নিজের সুখটা নিজেই নষ্ট করে ফেলছেন। তাই প্রথমে দেখুন সে এর যোগ্য কিনা তবেই নিজের এই ধরণের বৈশিষ্ট্য কাজে লাগান। তবেই আপনি সুখী হবেন।

ভুল একটি সম্পর্ক আঁকড়ে ধরে রাখা
একদিন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে, একদিন সম্পর্কে সুখ আসবে এই ধরণের সান্ত্বনা দিয়ে নিজেকে বুঝিয়ে চলছেন প্রতিনিয়ত? তাহলে সেই সম্পর্কের ব্যাপারে আরেকটু ভেবে দেখুন। কারণে একটি ভুল সম্পর্কে জড়িয়ে এই চিন্তা করে বসে থাকলে ক্ষতি আপনারই। আপনি নিজের ভুল সম্পর্ক আঁকড়ে ধরে সুখ খুঁজে বেড়াবেন, কিন্তু সুখ পাবেন না একেবারেই।

সব সময় অন্যের খুশিটাকে বড় বলে ধরে নেয়া
অন্যের খুশির দিকে নজর রাখা উচিত, কিন্তু সেটা সবসময়ের জন্য নয়। তিনি ইচ্ছা করেছেন, কিংবা এতে তিনি খুশি হবেন তা ভেবে নিজের সুখ নিজের শান্তিটাকে মাটি করে দেয়ার মতো ভুল আমরা অনেকেই করে থাকি। এই কাজটি সব সময় করা উচিত নয়। সারাজীবন নিজের শান্তি মাটি করে অন্যকে খুশি রাখতে চাইলে নিজের জীবনের উপর এতো বেশি তিক্ততা আসবে যে পরবর্তীতে আপনি নিজের সুখের জন্য কিছুই করতে পারবেন না।











  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

সত্যিকারের ভদ্র মেয়ের কিছু বৈশিষ্ট্য




ভদ্র মেয়েরা হচ্ছে সমাজের সৌন্দর্য। এমন অনেক পুরুষ আছেন যারা ভদ্র মেয়ে বিয়ে করবেন এই ভেবে বিয়েই করছেন না, অথচ বিয়ের বয়স যাচ্ছে পেরিয়ে। আসুন কিছু কমন বৈশিষ্ট্য দেখে চিনে নেই সত্যিকারের ভদ্র মেয়ে:

১) ভদ্র মেয়েরা সর্বপ্রথম তাদের পোশাক নিয়ে খুব সচেতন থাকে। এমন কিছু পরে না যাতে করে বাহিরের কেউ চোখ তুলে তাকাতে সাহস করে। অনেকে বোরখা পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।

২) ভদ্র মেয়েরা প্রেমের ব্যাপার নিয়ে খুব সিরিয়াস থাকে। তারা সচারচর প্রেমে জড়াতে চায় না, কিন্তু যদি কারো সাথে প্রেমে জড়িয়ে যায়, তাহলে মন প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করে তা টিকিয়ে রাখতে।

৩) ভদ্র মেয়েরা সবসময় বন্ধু, পরিবার এবং বয়ফ্রেন্ডকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দেয়। একটির জন্য অপরটির উপর প্রভাব পড়ুক তা তারা চায় না। যার জন্য তাদের ঝামেলা পোহাতে হয় বেশি।

৪) ভদ্র মেয়েদের রাগ একটু বেশি। যার উপর রেগে যায় তাকে মুখের উপর সব বলে দেয়। মনে কোনও রকম রাগ, হিংসে লুকিয়ে রাখে না। এতে অনেকের কাছে ঝগড়াটে উপাধিও পেয়ে বসে।

৫) ভদ্র মেয়েদের রাগের ঝামেলা পোহাতে হয় বিশেষ করে তাদের বয়ফ্রেন্ডকে। এরা রেগে থাকলে অযথা বয়ফ্রেন্ডকে ঝাড়ে। পরবর্তীতে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সরি বলে। যে মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডকে সরি বলে তাহলে বুঝতে হবে সে তার বয়ফ্রেন্ডকে খুব বেশি ভালোবাসে।

৬) ভদ্র মেয়েরা সাধারণত ফেসবুকে ছবি আপলোড দেয় না। যদি দেয় তাহলে প্রাইভেসি দিয়ে রাখে। ফেসবুকে কতিপয় লুলু পুরুষ থেকে তারা ১০০ হাত দূরে থাকে।

৭) ভদ্র মেয়েদের বন্ধু/বান্ধবের সংখ্যা খুব সীমিত থাকে।

৮) ভদ্র মেয়েরা আড্ডা বাজিতে খুব একটা যেতে চায় না। যার জন্য তাদের বন্ধু/বান্ধব থেকে ভাব্বায়ালি/আনকালচার খেতাব পেতে হয়।

৯) ভদ্র মেয়েদের কবিতা লেখার প্রতি আগ্রহ বেশি। তারা তাদের লেখা কবিতা সচরাচর কাছের মানুষ ছাড়া কাউকে দেখাতে চায় না।

১০) ভদ্র মেয়েরা সাধারণ ঘরকুনো স্বভাবের বেশি হয়।

১১) ভদ্র মেয়েদের কাছে পরিবারের সম্মানটুকু সবার আগে। তারা পরিবারের সম্মানের বিরুদ্ধে কোনও কাজ কখনও করে না।













  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

মুখের গড়ন দেখে মানুষ চিনতে শিখুন



কথায় আছে, মুখ মনের আয়না। তা অনেকার্থে ঠিকও। তবে আপনি কি জানেন মুখের গঠন বলে দিতে পারে আপনার ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যও। আপনি যখন প্রথমবার কারোর সঙ্গে দেখা করেন, তখন প্রথম দেখাতেই কারোর সম্বন্ধে ভাল বা মন্দ ধারনা আমরা তৈরি করে নিই। তা কিন্তু অনেকাংশেই তাদের মুখের গঠন দেখে ব্যক্তিত্বের আঁচ করেই। কিন্তু এই পুরো বিষয়টি হয় আমাদের অজান্তেই। তবে আপনি যদি মুখের গঠন পড়তে শেখেন তাহলে দেখবেন সামনের অচেনা মানুষটির ব্যক্তিত্বের অনেক গোপনীয় দিকই আপনি জেনে নিতে পারবেন মুহূর্তের মধ্যেই। তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক কোন ধরণের মুখে লুকিয়ে রয়েছে কী ধরনের ব্যক্তিত্ব:
 
গোল মুখ: গোল মুখ গোল ও ভরাট মুখ যদি হয় তাহলে তাঁরা সংবেদনশীল হন, যত্নবান হন। পাশাপাশি শক্তিশালী যৌন ইচ্ছ ও কল্পনা থাকে তাঁদের। দীর্ঘকালীন সম্পর্কে আপনি যদি যেতে চান তাহলে গোল মুখের ব্যক্তি অবশ্যই ভাল বিকল্প।

ত্রিকোণ মুখ: এরা সাধারণত রোগা হন। এদের বুদ্ধিজীবী চিন্তাভাবনা হয়। এরা সৃজনশীল হলেও বদমেজাজি হন।

চৌকো মুখ: এরা সাধারণত বুদ্ধিমান হন। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেন, এবং কখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিজে বিভ্রান্ত হন না। যদিও এদের মধ্যে প্রভুত্ব ফলানোর একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এবং কিছু কিছু বিষয়ে এঁরা আক্রমণাত্মক হন।

লম্বাটে মুখ: যাঁদের মুখের গড়ন আয়তক্ষেত্রাকার হয়, তাদের মধ্যেও প্রভুত্ব ফলানোর প্রবণতা দেখা যায়, কিন্তু কম পরিমাণের। এঁরা ব্যবসা ও রাজনীতিতে চৌখশ হন। এরা চারদিকে সুন্দর সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলতে পারেন। সহজে মেজাজ হারান না। এরা কখনও উচ্চাকাঙ্খী হন আর কখনও খুবই অলস।

ডিম্বাকৃতি মুখ: এঁরা খুব মিষ্টি, প্রাণবন্ত সমতাপূর্ণ স্বভাবের হন। তবে এরা কিন্তু প্রচন্ড কুটনৈতিক হন। এরা ভয়ঙ্কর হতে পারেন কিন্তু মানসিকভাবে দুর্বল হন। শারীরিক ক্ষমতার দিক থেকেও এরা মূলত দুর্বল হন।










  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

যে ৬ টি যন্ত্রণা পরিবারের ছোটো সন্তানদের পোহাতে হয়



সকলের মতে বাড়ির ছোটো সন্তান হওয়ার মজাই আলাদা। কারণ বাবা-মা বড় ভাই বোনের অনেক বেশি আদর থাকে। এবং প্রত্যেকেই বলেন বাবা মা অনেক বেশি আদরেই ছোটজনকে মাথায় তুলে ফেলেন। কথাটি কিছুটা হলেও সত্য। কিন্তু তারপরও এর আড়ালে ছোটো হওয়ার যন্ত্রণা কিন্তু বেশ ভালো করে সহ্য করতে হয় বাড়ির ছোটো সন্তানকে। অনেকেই ভাবতে পারেন কি এমন যন্ত্রণা? যিনি ঘরের ছোটো তিনি কিন্তু বেশ ভালোই বোঝেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক বাড়ির ছোটজনের যন্ত্রণা পোহানোর কিছু বিষয়।

১) বাড়ির সবাই আপনাকে ছোটো বোলে আদর করবে ঠিকই কিন্তু ছোটো বলে একেবারে ইমিডিয়েট বড় ভাই/বোনের কাছ থেকে অনেক শাসন সহ্য করে নিতে হবে। এবং বয়সে বড় হয়ে গেলেও বাড়ির ছোটো সন্তানটি কিন্তু সকলের কাছে বেশ ছোটই থাকে। কিছু বলার আগেই শুনতে হয়, ‘তুই, ছোটো মানুষ, চুপ থাক’।


যে ৬ টি যন্ত্রণা পরিবারের ছোটো সন্তানদের পোহাতে হয়


২) বড় ভাইবোনেরা সবসময়েই ছোটজনকে খুঁচিয়ে মজা নেন এই বলে যে, ‘তোমাকে তো আমরা অন্য জায়গা থেকে কুড়িয়ে এনেছি’। কথাটি ভাইবোনের খুনসুটি হলেও ছোটজনেরা কিন্তু মনে মনে কষ্টই পেতে থাকেন।

৩) ছোটো সন্তান হওয়ার আরেকটি যন্ত্রণা হলো ছোটবেলার কোনো সিঙ্গেল ছবি খুঁজে পাওয়া যায় না। বেশীরভাগ ছবিতেই বড় ভাইবোনদের দেখা যায়।

৪) বড় ভাইবোনের ছোটো হয়ে যাওয়া জামা কাপড় এবং খেলনা জন্মসুত্রে ছোটজনের কপালেই জোটে। যদিও সব পরিবারের চিত্র একরকম নয় কিন্তু মোটামোটি অনেক পরিবারেই এই চিত্র নজরে পড়ে।

৫) পরিবারের ছোটোজনকে পাড়া প্রতিবেশী মানুষেরা নাম দিয়ে চেনেন না। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই চেনা হয় অমুকের ছোটো ভাই/বোন হিসেবে। অবশ্যই এই বিষয়টি বেশ যন্ত্রণার।

৬) বড় ভাইবোনেরা খুব ভালো হলেও সমস্যা আবার ভালো না হলেও সমস্যা। বড় ভাইবোনেরা ভালো হলে ছোটজনকে আগে থেকেই ভালো হতে হবে, কারণ পরিবারের বড়রা একটি ট্র্যাডিশন গড়ে দিয়েছেন ভালো করার, তখন ছোটজনকে বলা হয়, ‘বড় ভাইবোনদের দেখে শিখ, এবং তাদের মতো ভালো হও’। আর যদি ভালো না হন তাহলে পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করার দায়িত্ব কিন্তু ছোটজনের উপরেই বর্তায়, ‘বড়দের মতো উড়নচণ্ডী হয়ে যেও না, একটু ভালো হও’।









  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

স্মার্ট মানুষ হতে চাইলে বাদ দিন ১১ কথা





স্মার্টনেস মানুষের বেশভূষায় যতখানি প্রকাশিত হয় তার চেয়েও বেশি দেখা যায় আচরণে। আর এ ক্ষেত্রে কথাবার্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এ লেখায় দেওয়া হলো ১১টি কথা, যা সব সময় এড়িয়ে চলতে হবে। স্মার্ট মানুষদের এসব বিষয় নিয়ে কখনো আলোচনা করতে দেখা যায় না। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।

১. এটা উচিত নয়
সবাই জানে যে, জীবনের বহু বিষয় রয়েছে, যা কখনোই উচিত নয়। তাই এ কথা বলার অর্থ আপনি মানসিকভাবে যথাযথভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হননি।

২. এটা সব সময় এভাবেই করা হয়
অতীত থেকে চলে আসা কোনো কাজ যে সব সময় একভাবেই করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তার বদলে নতুন নতুন উপায় কাজে লাগানো ভালো।

৩. কোনো সমস্যা নেই
অনেকেই একটি কাজের জন্য অনুরোধ করলে সম্মতি জানাতে এ ধরনের কথা বলেন। যদিও এ কথাটির অর্থ দাঁড়ায় এতে সমস্যা হওয়ার মতো বিষয় রয়েছে। তাই এমন কথা এড়িয়ে চলাই ভালো।

৪. আমার মনে হয়….. / আমি একটা বোকার মতো প্রশ্ন করতে চাই…
এমন ধরনের কথার মাধ্যমে অনেকেই নিজের গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে ফেলেন। বাস্তবে এমন কথা এড়িয়ে চলাই ভালো।

৫. এটা মাত্র এক মিনিটের কাজ
কোনো একটি কাজে যদি এক মিনিটই লাগে তাহলে ভিন্ন বিষয়। কিন্তু বিষয়টি অনেকের কাছেই বিরক্তিকর হয়ে যায় যদি আপনি এক মিনিটের কথা বলে ১০ মিনিট সময় লাগান। এ ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য দেওয়াই কাম্য।

৬. আমি চেষ্টা করব
অনিশ্চিত একটি কথা এটি। এ কারণে কোনো কাজের ক্ষেত্রে হ্যাঁ বা না বলে দেওয়াই ভালো। চেষ্টা করার বিষয়টি অবশ্যই থাকবে। কিন্তু তা নিয়ে বাড়াবাড়ির কিছু নেই।

৭. সে আলসে/অযোগ্য
কারো সম্পর্কে অনুরূপ মন্তব্য করার আগে নিজের দিকে তাকাতে হবে। অন্যদের বিষয়ে বাজে মন্তব্য করার বদ অভ্যাস অনেকেরই থাকে। তবে এটি মোটেই ভালো ফলাফল আনে না।

৮. এটা আমার কাজ নয়
কর্মক্ষেত্রে অনেকেই কোনো কাজের অনুরোধে অনুরূপ মন্তব্য করে। এতে তারা কাজটি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে। যদিও কোনো কাজের থেকে বেঁচে যাওয়া ভালো কথা নয়। এতে কর্মক্ষেত্রে ক্ষতি ছাড়াও নানাবিধ সমস্যা হতে পারে।

৯. ওটা আমার দোষ নয়
কাজের জন্য দোষ-ত্রুটি হতেই পারে। কাজ থেকে পালানো যেমন ভালো নয় তেমন কাজের দোষ-ত্রুটি স্বীকার না করাও ভালো নয়। এতে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। অন্য কারো ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেওয়ার আগে চিন্তা করে দেখতে হবে, সে দোষটি বাস্তবে কার।

১০. আমি পারব না
সরাসরি নেতিবাচক কথা বলার পর্যায়ে পড়ে এটি। স্মার্ট মানুষরা সর্বদাই এমন কথা এড়িয়ে চলে। কারণ না বলার পেছনে সত্যিকার যদি কোনো কারণ থাকে সে কথাটি ব্যাখ্যা করা খুবই প্রয়োজন।

১১. আমি এ কাজ ঘৃণা করি
কর্মক্ষেত্রে একটি কাজকে ঘৃণা করা এবং সে কাজটিই ক্রমাগত করে যাওয়া একটি উভয় সংকটের মতো। যদি সত্যিই কাজটি ঘৃণা করেন তাহলে তা দ্রুত ত্যাগ করাই শ্রেয়। অন্যথায় এ কথা বলা বন্ধ করতে হবে।















  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

জীবনে সফল ব্যক্তি হতে চাইলে মনে রাখুন এই ৪৭ টিপস



সফলতা কোনো নির্দিষ্ট ছক ধরে আসে না। তবে এক্ষেত্রে কিছু বিষয় মেনে চললে তা সফল জীবনে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। এ বিষয়ে একটি প্রবণ্ধ লিখেছিলেন অ্যাইমি গ্রোথ। পরবর্তীতে তার মূল বিষয়গুলো প্রকাশ করেছে বিজনেস ইনসাইডার। আসুন জেনে নিই জীবনে সফলতা পাবার সেই পরামর্শ গুলো।

১. গুরু সব সময়েই গুরু। গুরুকে কখনোই চাকচিক্যে ছাড়িয়ে যাবেন না। এতে তিনি আপনাকে হুমকি বলে মনে করতে পারেন। এছাড়া এতে নানা বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।

২. বন্ধুদের মাত্রাতিরিক্ত বিশ্বাস করবেন না। বন্ধুরা আপনাকে পথেও বসাতে পারে। অন্যদিকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শত্রুদের ব্যবহার করার ক্ষমতা অর্জন করা। এটাও শিখে নিতে হবে।

৩. নিজের আগ্রহ গোপন করে রাখুন। আপনার কার্যক্রমের পেছনের আগ্রহ যদি সবাই জানতে পারে তাহলে তা ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে।

৪. প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কথা বলবেন না। আপনি কাউকে অভিভূত করার জন্য যদি প্রচুর কথা বলা শুরু করেন তাহলে তা আপনাকে সাধারণ মানুষ হিসেবে প্রকাশ করবে।

৫. সুনামের ওপর গুরুত্ব দিন। এটি আপনার জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই একে সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করতে হবে।

৬. মনোযোগ আকর্ষণে গুরুত্ব দিন। ভিড়ের মাঝেও যেন অন্যরা আপনাকে খুঁজে পায়, সে ব্যবস্থা করুন।

৭. অন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করুন। তবে প্রয়োজনে কাজের সাফল্য নিজের কাঁধে নিতে দেরি করবেন না।

৮. অন্য মানুষকে আপনার কাছে নিয়ে আসুন। প্রয়োজনে টোপ ব্যবহার করুন।

৯. কাজের মাধ্যমে বিজয়ী হন, বিতর্কে নয়। আপনার সত্যিকার কর্মতৎপরতা প্রকাশিত হবে কাজের মাধ্যমে। কথার মাধ্যমে বিজয়ী হওয়া কাজের কোনো কথা নয়। তাই কাজে জোর দিন।

১০. নেতিবাচক মনোভাবসম্পন্ন মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকুন। এরা আপনার মনোভাবকে নেতিবাচক করে তুলবে।

১১. আপনার ওপর মানুষকে নির্ভর করতে দিন। এজন্য প্রয়োজনে নানা পদক্ষেপ নিন যেন অন্যরা আপনাকে নির্ভরযোগ্য হিসেবে ধরে নেয়।

১২. নিজের সততা ও নির্ভরযোগ্যতা বিষয়ে ভাবমূর্তি তৈরি করুন। এটি আপনার ভবিষ্যত জীবনে পাথেয় হবে।

১৩. সাহায্য চাইতে গেলে তাদের লাভের কথা সবার আগে দেখুন। এখানে দয়া-মায়ার অবকাশ রাখবেন না।

১৪. অন্যদের সঙ্গে বন্ধুর মতো হোন। কিন্তু প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে বন্ধুত্বের তুলনায় গোয়েন্দাও হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিন।

১৫. শত্রুকে ধ্বংস করে দিন সম্পূর্ণভাবে। শত্রুর শেষ রাখতে নেই, একথা ভুলে গেলে চলবে না।

১৬. সম্মান ও শ্রদ্ধা অর্জনের জন্য সব সময় উপস্থিতি এড়িয়ে চলুন। কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখলে এগুলো অর্জন করা সহজ হয়।

১৭. অন্যদের সন্দেহের চোখে দেখুন। কাউকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করবেন না।

১৮. নিজের রক্ষার জন্য দুর্গ বানাবেন না। অন্যদের সঙ্গেই থাকতে হবে। অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মানে অনেক বড় ক্ষতি।

১৯. যার সঙ্গে কাজ করছেন তাকে চিনে রাখুন। ভুল মানুষের সঙ্গে কোনো বিষয়ে কথা বলে কোনো লাভ নেই।

২০. কোনো বিষয়ে কাউকে প্রতিশ্রুতি দেবেন না। প্রতিশ্রুতি দেওয়া অনেক বড় বিষয়। এটি বহু ঝামেলা সৃষ্টি করে।

২১. এক শত্রুকে কাবু করতে অন্য শত্রুকে কাজে লাগান। এতে আপনার নিজের ঝামেলা কম হবে।

২২. আপনি যখন দুর্বল তখন আত্মসমর্পণের পদ্ধতি অবলম্বন করুন। সময় নিয়ে দুর্বলতা দূর করেশক্তি অর্জন করুন।

২৩. নিজের সব শক্তিকে একত্রিত করুন। শক্তি ব্যবহার করে কোনো কাজে সফলতা পেতে তা কাজে লাগান।

২৪. উপযুক্ত ভূমিকায় অবতীর্ণ হোন। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন।

২৫. নিজের ভাবমূর্তি নতুনভাবে তৈরি করুন। অন্যরা আপনাকে যেভাবে দেখে তা বাদ দিন।

২৬. নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখুন। অন্য কার্যক্রমের মাধ্যমে যেন আপনার হাতে নোংরা না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।

২৭. কাছাকাছি মানুষদের বিশ্বাস ও প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করুন যেন নিজেদের একটা বন্ধন গড়ে তোলা যায়।

২৮. আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করুন। কোনো কাজ যদি আপনার নখদর্পণে থাকে তাহলে তা নিয়ে কোনো দ্বীধার মানে হয় না।

২৯. কাজ শুধু শুরু করলেই হয় না, শেষ করতে হয়। তাই কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করার জন্য পরিকল্পনা করুন।

৩০. আপনার অর্জনকে স্বাভাবিক করুন। এমনভাবে অনুশীলন করুন যেন অর্জনটি স্বাভাবিক কাজ বলেই মনে করে অন্যরা।

৩১. অন্যদের এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করুন যেন তারা তা বুঝতেও না পারে। এক্ষেত্রে তাদের হাতে ক্ষমতা রয়েছে এমন অনুভূতি তৈরি করতে হবে।

৩২. মানুষের কল্পনাশক্তি বাড়াতে সহায়তা করুন। তাদের এ কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগান।

৩৩. অন্যের দুর্বলতা নির্ণয় করুন। প্রক্যেকের কোনো না কোনো দুর্বলতা থাকে। এটি আপনার কাজে লাগবে।

৩৪. নিজের মতো করে চলতে অবিচল থাকুন। অন্যরা যাই করুক না কেন, তাতে আপনার বিচলিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।

৩৫. সময় মেনে চলুন। তাড়াতাড়ি কোনো কাজ করার প্রয়োজন নেই আবার দেরি করাও যাবে না। সঠিক সময়ে কাজ করতে হবে।

৩৬. নিজের যা নেই তা উপেক্ষা করুন। এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনো প্রয়োজন নেই।

৩৭. নিজের কাজের মাধ্যমে উজ্জ্বল উপস্থিতি তৈরি করুন। নিজের শক্তিমত্তা এমনভাবে প্রদর্শন করুন যেন অন্যরা তা দেখে সম্মান করে।

৩৮. নিজের মতো করে চিন্তা করুন। এক্ষেত্রে অন্যের বিষয়গুলো মাথায় রাখলেও তাদের মতো করে চিন্তা করা যাবে না। কিন্তু আচরণ করুন অন্যদের মতোই।

৩৯. পানি শান্ত করে মাছ ধরুন। শত্রুকে উত্তেজিত করে নয় বরং তাকে ঠাণ্ডা করেই নিজের কাজ সমাধান করুন।

৪০. বিনামূল্যের জিনিস বর্জন করুন। যেসব জিনিস অন্যরা বিনামূল্যে দিতে চায় তার পেছনে নির্দিষ্ট একটি কারণ আছে।

৪১. বড় কোনো মানুষের জুতা পায়ে দিলেই বড় হওয়া যায় না। তাই এজন্য নিজের মাপমতো জুতাই পরতে হবে।

৪১. ভেড়ার পালকে দূর থেকে ভয় দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। এ কাজে দক্ষতা অর্জন করুন।

৪২. অন্যের হৃদয় ও মন সম্পর্কে জানুন। এ বিষয়গুলো নিজের কাজে লাগান।

৪৩. আয়নাতে নিজের অনেক বিষয় পর্যবেক্ষণ করা যায়। আবার নিজের শত্রুর অনেক বিষয়ও আয়নার মতো করে অনুকরণ করতে হয়।

৪৪. পরিবর্তনের পেছনে দৌড়ান। পরিবর্তন সব সময়েই করতে হবে। কিন্তু একবারে বেশি পরিবর্তন নয়, অল্প অল্প করেই এগোতে হবে।

৪৫. পুরোপুরি নিখুঁত কেউই নয়। তাই নিজেকে পুরোপুরি নিখুঁত বলে তুলে ধরার চেষ্টা করা বৃথা। এ কাজ থেকে বিরত থাকাই ভালো।

৪৬. যুদ্ধক্ষেত্রে কখনো কখনো থেমে যেতে হয়। এক্ষেত্রে কখন থামতে হবে তা শিখে নিন।

৪৭. পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত থাকুন। এক্ষেত্রে পরিকল্পনা করে রাখুন আগেভাগেই। সব সময় নতুন বিষয় গ্রহণ করতে প্রস্তুত থাকুন।














  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

বিয়ের পর মেয়েরা মোটা হয়ে যায় কেন ?


স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার উপর বিয়ের ইতিবাচক প্রভাব আছে বলেই মনে করা হয়। তারপরও কেনো বিয়ের পর মুটিয়ে যায় মানুষ ?

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমানের নাম এয়ারফোর্স ওয়ান



82 

মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমানের নাম এয়ারফোর্স ওয়ান। বিশ্বজুড়ে এ বিমান নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক বিমানগুলোর অন্যতম এটি। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর বিশেষভাবে এ বিমানটি তৈরী করেছে, যেখানে সবধরনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে বিমানটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার কারনে এ বিমানটি অনেক পরিচিত। কিন্তু তারপরও বিমানটি সম্পর্কে এখানে যে নয়টি তথ্য দেয়া হলো সেগুলো এখনো অজানাই।

 
 ১.মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমানটি 71 মিটার লম্বা

২.বিমানের ডানাগুলো 60 মিটার প্রশস্ত

৩.বিমানটির কাঠামো এতই শক্ত যে, এটি ভূমি থেকে উৎক্ষেপিত নিউক্লিয়ার বোমাও প্রতিরোধে সক্ষম

৪.প্রতিটি জানালাই বুলেটসহ যেকোন সামরিক হামলা মোকাবিলায় সক্ষম

৫.এয়ারফোর্স ওয়ানের প্রতিঘন্টার উড্ডয়নের খরচ দুই লাখ মার্কিন ডলার

৬.বিমানটিতে মোট ৮৫ টি ফোনলাইন আছে

৭.বিমানটির ভেতরের অংশের মোট আয়তন চার হাজার স্কয়ার ফিট

৮.বিমানটির যাত্রীধারণ ক্ষমতা ৭৬ জন, ক্রু মেম্বার ২৬ জন

৯.প্রেসিডেন্টের ওভাল অফিসের মত পুরো আরেকটি অফিস আছে বিমানটিতে















  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

Fake notes at ATM booths: What to do

 
Fake notes at ATM booths: What to do ??????????


an be consoled that the amount lost is not big.           - Stay informed. It is necessary to learn how to identify fake currency. Bangladesh Bank has an informative video clip on this.

          - After withdrawing money, check the notes to see if any of them are counterfeits. Preserve the transaction slips issued by the ATM for future reference.

          - If you do end up with a counterfeit note, do not leave the ATM premises. Every ATM booth has the phone numbers of the banks. Call them immediately.

          - As a safety precaution, hold up the fake note to the CCTV installed in the booth in a way that the number on the note and your face is visible for future reference.

          - If avoidable, skip ATM booths and pay with card or withdraw money from the banks.

Remember, once you do leave the ATM booth or the bank premises, there is not much the banks can do to help you. “It is imperative that the issue is brought to the attention of bank authorities before leaving the premises. Once you go out, there is not much we can do to help you,” Nazeem A Choudhury, Head of Consumer Banking, Eastern Bank Limited advises.







  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

DHAKA IS THE BEST CITY IN THE WORLD FOR 5 REASONS



DHAKA IS THE BEST CITY IN THE WORLD FOR 5 REASONS







We've all heard about that list in that magazine where Dhaka is the second worst city in the world. Born and raised in this city, I refuse to believe that. I don't know about you but I'm not one to trust a list on a magazine, so here's a list of reasons to call Dhaka the BEST city in the world.







THE TRANSPORTATION SYSTEM
Take a rickshaw ride with the hood down on an open road on a rainy day before you die; if you don't, you will have died without living. There are millions of rickshaws in Dhaka and the art on the back represents how most people in this city live their lives – colourful and cheap. Speaking of cheap, public transportation in Dhaka is the most efficient mode of travel you could think of. The roads are filled with buses and minibuses and these truck-van fusion thingies called tempo. There are mild drawbacks to these vehicles, things like pick-pocketing and getting poisoned and mugged, but at the end of the day they do what they're supposed to, which is get you from one place to another. You can travel from literally anywhere to everywhere in Dhaka on public transport, other than Uttara, because no one's quite certain if that's inside Dhaka. Also, you are forced to remain immobile if a government high-up or a foreign emissary decides to take the roads. It's theirs whenever they want it.

THE STRAY ANIMALS
Only in Dhaka will you see dogs and cats roam the streets like they own it, littering where they want. These animals are stray not because the people are too heartless to take them in, but because animals need to be free and the confines of assured care and food will destroy them, which the people of this city understand. Then there are crows. These little angels clean up our city by devouring the garbage we produce. They aren't particularly successful, but at least they try, unlike the people who are supposed to be in charge of waste management. The crows often decide to sit and relax on our electric wires and electrocute themselves, shutting down the electric supply for a whole block, but we don't mind because we're grateful.

THE TRAFFIC JAM
Haters will say traffic jams are a bad thing because they waste our time, but they're actually not. Traffic jams teach us things like patience and how to plan ahead of time. They also teach us that no matter how far ahead of time we plan, sometimes it just doesn't work. Take a good look around the next time you're stuck in traffic. You'll see people, people who have lives of their own and together, they all put the brakes on because someone somewhere stuck a car into an oncoming lane. In today's fast and unforgiving world, it is a blessing to get the chance to simply stop and do nothing. In cities around the world, such an opportunity is scarce, but you can do it every day in Dhaka.

THE STREET FOOD
Dhaka isn't the street food capital of the world, but it's close, somewhat. You can find food in Dhaka no matter what the state of your purse/wallet is. The mama haleem, the chotpoti fuchka, and the jhalmuri are few of the things that define Dhaka's street food scene (food carts can rot in hell). In old town, there's biryani being sold out of shops that have been there for centuries. Everywhere else, there are poser biryani places wrongfully claiming to be their branches. Every Ramadan, the roads are literally jammed with street food vendors in the hours before iftar. Hygiene is a tiny issue but it can be easily figured out by this formula: “The product of an item's taste and number of trips to the toilet it causes is inversely proportional to how much it costs.” What happens in Ramadan doesn't stay after Eid and what really matters is the taste. So we eat anyway and try not to think about diarrhoea too much.

THE PEOPLE
When this many people manage to survive in such conditions for so long, it makes you wonder if Dhaka is actually a paradise in disguise and we just haven't figured it out yet. Sure there are muggers, robbers, thieves, pickpockets, frauds, drug dealers and organised crime, but there are also people who are naïve enough to be the victims and we can safely say that at least they aren't the bad guys. There are so many people in this city that you'll get lost in a crowd more often than finding yourself lost in a vacant alley. And if you really are lost, you will probably find help. In a way Dhaka is like Hogwarts – help will always be provided in Dhaka to those who are lucky enough to get it. The others get mugged, obviously.
If you ever feel bad about living in Dhaka, take a look at this list. Or you could go drive around Hatirjheel at night, but sadly, it's not exactly safe after dark in the best city in the world.



  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS