Md. Afrooz Zaman Khan

Afrooz
Md. Afrooz Zaman Khan. Powered by Blogger.
RSS

ভুল নিয়ে সামনে এগিয়ে চলি : ড্রিউ ব্যারিমোর




বিখ্যাত মার্কিন অভিনেত্রী ও মডেল ড্রিউ ব্যারিমোর। জন্ম ১৯৭৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে। তাঁর আলোচিত সিনেমার মধ্যে অন্যতম ইটি দ্য এক্সট্রা টেরিস্ট্রেরিয়াল (১৯৮২), চার্লিস অ্যাঞ্জেলস (২০০০), ফিফটি ফার্স্ট ডেটস (২০০৪), দি ওয়েডিং সিঙ্গার (২০০৬) ইত্যাদি। ব্যারিমোর ২০০৭ সাল থেকে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ কের যাচ্ছেন।
ড্রিউ ব্যারিমোর


অভিনয় আমার কাছে অন্য গ্রহের কাজ মনে হয়। ব্যক্তি আমিকে ছাপিয়ে আরেকটি চরিত্রে হারিয়ে যেতে পারাই আসল অভিনেতার কাজ। এটা নিঃসন্দেহে দারুণ অভিজ্ঞতা। নিজের মধ্যে অন্য মানুষের জীবনের ছায়া তৈরি করা কিন্তু ভীষণ কষ্টের, তবে তা ভীষণ আনন্দেরও বটে। সিনেমায় অভিনয়ের জন্য আমাদের হাসতে হয়, চরিত্রের প্রয়োজনে কাঁদতে হয়। কিন্তু সেই মানুষটি তো আমি নই। আমার মধ্যে অন্য মানুষ ভর করে।
অভিনয় করা বই লেখার মতোই কঠিন কাজ। আমি যখন ১৪ বা ১৫ বছরের কিশোরী ছিলাম, তখন অভিনয় ছিল আমার জন্য খুব রোমাঞ্চকর। যেকোনো কাজ শুরুর আগে অনেক ভুলের ঝুঁকি থাকে, কঠিন পরিণতির আশঙ্কা থাকে। কিন্তু আমি আশঙ্কার কথা মাথায় নিয়ে পথে নামিনি। আমি ভুলগুলো নিয়েই সামনে এগিয়ে চলেছি, সামনে এগিয়ে যাব। মানুষের মধ্যে যত ভুল করার আশঙ্কা থাকে, সে তত সামনে এগিয়ে যেতে পারে।
চারপাশের মানুষই ব্যক্তিকে অনুপ্রাণিত করে। আমিও আমার মায়ের কারণে এত হাসিখুশি আর অনুপ্রাণিত। মা অদ্ভুত কিছু দেখলেই উদ্ভট সব মন্তব্য করতেন। সেই গুণটিই আমি পেয়েছি। আমার কাছে জীবন গুরুতর কিছু নয়, আনন্দ করে সবাইকে হাসাতেই আমার আগ্রহ।

আমার বয়স যখন বিশের ঘরে ছিল, তখন রূপকথার মতো জীবন কল্পনা করতাম। কিন্তু ত্রিশের ঘরে এসে আমি বুঝতে পেরেছি রূপকথা বলে কিছু নেই। আমাদের বাঁচতে হয় আজকের জন্য। কিন্তু আমরা এই কথা ভুলে যাই। আজকের কথা মনে রেখে যেকোনো কাজ করলে আমাদের সাফল্য আসতে বাধ্য। এর সঙ্গে মানবিক গুণ হিসেবে সততাকে নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারলেই আমরা আলোকিত হয়ে উঠতে পারব। আমি মানুষকে কখনোই উপদেশ দিই না। উপদেশ কেউ শুনতে চায় না। আমি শুধু আমাকেই উপদেশ দিই। আমার কথা মানুষ শুনতে না চাইলেও, আমাকে দেখে মানুষ হয়তো একসময় শিখবে।

আমার ছোটবেলা রূপকথার মতো ছিল না। মা-বাবার বিচ্ছেদ আর সামাজিক বৈষম্য আমাকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। আমি সেই সময়টাকে ভুলে যেতে চাই। কিন্তু আমি ইচ্ছা করে ছোটবেলার সেই কষ্টের সময়টার কথা ভুলি না। সেই লড়াইয়ের কথা মনে করে আমি সামনে এগিয়ে যাই। পর্দার গ্ল্যামার, আলোকচ্ছটা, তারকাখ্যাতি—সবকিছুর শুরু তো সেই লড়াই থেকেই। আমি আমার কষ্টের গল্প থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পাই। প্রত্যেক মানুষের জীবনেই এমন গল্প থাকে। আমরা সেই গল্প থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি নিই না বলে হারিয়ে যাই। নিজেকে হারিয়ে ফেলতে নেই।

আমি সেই কঠিন সময়ের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখেছি। সামনে যখনই যে সুযোগ পেয়েছি, তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। সব সুযোগ যে সফল হয়েছে, তা সত্য নয়, কিন্তু সামান্য যে কয়েকটা সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছি, তা দিয়েই আজ আমি ড্রিউ ব্যারিমোর।

ছোটবেলা থেকে আমি ইংরেজি ভাষা নিয়ে আগ্রহী ছিলাম। কোনো কারণ ছাড়াই অভিধান পড়ার চেষ্টা করতাম। আমার পুরোনো অভিধান সংগ্রহ করার বাতিক ছিল। আর সেই কারণেই হয়তো আমি যা বলি, তা অনেক কঠিন শব্দ দিয়ে প্রকাশ করতে পারি। আসলে আমাদের কোনো কাজই ফেলনা নয়। না বুঝে অভিধান ঘাঁটাঘাঁটি আমাকে এখন কঠিন কঠিন শব্দ আর সিনেমার সংলাপ মুহূর্তেই বলতে সুযোগ করে দিয়েছে।

আমি যা ভালোবাসি তা-ই করি। আবার উল্টো করে বলি, আমি তা-ই করি যা ভালোবাসি। আসলে আমাদের তা-ই করা উচিত, যাতে আমাদের ভালোবাসা থাকে। যে কাজে ভালোবাসা জন্মে, তা নিজের মধ্য থেকে করার আগ্রহ জন্মে। আমার সিনেমা দেখতে ভালো লাগে। আমার লিখতে ভালো লাগে। আমার সিনেমায় নির্দেশনা দিতে ভালো লাগে। আমার যা ভালো লাগে, আমি তা-ই করি। নিজের ভালো লাগাটাই আসল। অন্যের কথায় হয়তো অনেক ভালো কিছু করা যায়, কিন্তু আমার কাছে আমার আমির গুরুত্বই সব সময় বেশি। আমি অনেক স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন না দেখলে মানুষ বড় হতে পারে না। আবার বড় হয়ে স্বপ্ন দেখা বন্ধ করলে মানুষ সামনে এগিয়ে যেতে পারে না।
আমি সব সময় নিজেকে কাজের মধ্যে দেখার সংকল্প রাখি। যেদিন পৃথিবী থেকে বিদায় নেব, সেদিন সকালেও হয়তো কোনো সিনেমার নির্দেশনার কাজ করতে করতে চলে যাব আমি।

আমাকে মাত্র ছয় বছর বয়সে স্টিভেন স্পিলবার্গ সিনেমার জন্য নির্বাচন করেন। তিনি আমাকে যেভাবে অভিনয় করতে বলতেন, আমি তা-ই করতাম। তাই দেখে তিনি আমাকে ভীষণ পছন্দ করতেন। সিনেমার দুনিয়ায় আনার জন্য তাঁর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখতাম। আমি এখন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারি। আকাশ না ছুঁতে পারলেও বিমানে আকাশে চড়তে পারি এখন। জীবন আসলে সুন্দর একটা যাত্রা। এই যাত্রায় আমি এত মানুষের সঙ্গে মিশেছি, এত বন্ধুর সঙ্গে গল্প করেছি যে স্বর্গে না গেলেও চলবে আমার।
আমার বয়স যখন চার বা পাঁচ, তখন একবার মাকে বলেছিলাম আমি বড় হয়ে অভিনয় করতে চাই। আমি সেই স্বপ্নের পেছনে এখনো ছুটছি। স্বপ্ন অনেকটা চুম্বকের মতো। লোহার চুম্বক আকর্ষণের মতো আমরা সেই স্বপ্নের পেছনে ছুটে যাই।
 
সূত্র: ওয়েবসাইট। ২০১০ সালে রিডার্স ডাইজেস্ট অস্ট্রেলিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকার অবলম্বনে

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

লড়তে হয় বুদ্ধি দিয়ে : কেট উইন্সলেট


     
টাইটানিক চলচ্চিত্রের জন্য বিশ্বব্যাপী আলোচিত ব্রিটিশ অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। জন্ম ইংল্যান্ডে, ১৯৭৫ সালের ৫ অক্টোবর। নান্দনিক অভিনয়ের জন্য একাডেমিক পুরস্কার, এমি পুরস্কার, গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার আর গ্র্যামি পুরস্কার জয় করেছেন তিনি।
কেট উইন্সলেট

আমি কেট উইন্সলেট। বছর ত্রিশেক আগেও আমি কেট উইন্সলেটই ছিলাম, কিন্তু সেই কেট ছিল দুর্বল আর নেতিবাচক মানসিকতার এক কিশোরী। আমার ছোটবেলা ছিল ভীষণ একঘেয়ে। ঘড়ির কাঁটার মধ্যে আটকে থাকত আমার জীবন। আমি নিজের দুনিয়ার বাইরে আসার স্বপ্ন দেখতাম। বয়স যখন ১৭, তখন ঘরের বাইরে আসার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন বুঝি, আমার সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না। আমার বয়স ২১ পেরোনোর আগেই আমি হেভেনলি ক্রিয়েচার্স, সেন্স অ্যান্ড সেন্সিবিলিটি এবং টাইটানিক-এর মতো সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পাই। তখন থেকেই সময়কে উপভোগ করা শিখি। সবকিছু থেকে শেখার চেষ্টা করতাম, সেই চেষ্টা এখনো চালিয়ে যাচ্ছি। নিজের শক্তি বাড়াতে অনেক রাত জেগে বই পড়তাম।

ছোটবেলায় আমাকে স্কুলে সবাই ‘মোটা’ বলে তিরস্কার করত। আমরা মানুষের পরিশ্রমকে মূল্য দিতে পছন্দ করি না। ‘মোটা’ বলে অবজ্ঞা করা কখনোই ঠিক নয়। কিন্তু যারা এসব বলে, তাদের থামানো যায় না। তাই কাজের স্বীকৃতি আদায় করে নিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করাই সবচেয়ে সহজ উপায়। যারা আমাকে কটু কথা শোনাত, তারা আজ কোথায়?
যখন প্রথম সিনেমার দুনিয়ায় আসি, আমাকে অনেকেই নাম বদলাতে বলেছিল। এই নাম দিয়ে কিছু হবে না বলেছিল। আমি নাম বদলাইনি। চেয়েছিলাম কাজ দিয়ে নিজের নাম প্রতিষ্ঠা করতে।

পাঁচ-পাঁচবার একাডেমিক পুরস্কারে নাম মনোনীত হওয়ার পর আমার ঝুলিতে পুরস্কারটি জমা হয়। আমার জন্য এই পুরস্কার ছিল অনেক দিনের প্রতীক্ষার ফল। সমালোচকদের প্রশ্নের জবাব ছিল আমার অস্কার জয়। আমি সমালোচকদের সমালোচনা পড়ি না। নিজের জীবন নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। অন্যরা আমাকে নিয়ে কী ভাবল, তা নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে চাই। সমালোচনা নিজের ওপর নিলে কাজেরই ক্ষতি হয়। আমি এসব সমালোচনা আর কটু কথা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলি। এসব আমার কাছে মূল্যহীন।

আমি আমাকে নিয়ে খুশি। মোটা হই কিংবা দেখতে খারাপ হই, তা কোনো কাজে আসবে না। বুদ্ধি আর ব্যক্তিত্বই আমার শক্তি। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে বুদ্ধি দিয়েই লড়তে হয়। আমার প্রশংসাও আমি সহ্য করতে পারি না। আমাকে সবাই সুন্দর আর রূপসী ভাবে, আমি আসলে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার একজন সাধারণ নারী। খুব নামী এক পরিচালক আমাকে এই সময়কার সবচেয়ে আধুনিক অভিনেত্রী বলে প্রশংসা করেছিলেন। আমি তাঁর কথা মোটেই বিশ্বাস করিনি। যদি বিশ্বাস করতাম, তাহলে সেদিনই কাজ বন্ধ করে দিতাম। নিজের প্রশংসা শোনা সত্যিই বিব্রতকর কাজ। প্রশংসায় গা ভাসালে চলবে না। আমাদের শরীরের সৌন্দর্যের চেয়ে মনের সৌন্দর্যের দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আমি সিনেমায় কখনোই নিজেকে বেশি সুন্দর করে তোলার চেষ্টা করি না। আমি জানি, আমাকে বিশ্বের অনেক কিশোরী অনুকরণ করে। আমি তাদের কথা ভেবে ওজন কমানোর চিন্তা করি না। আমি আমার মতো পর্দার সামনে হাজির হই। আমাকে অনেকে প্রায়ই মোটা, চিকন, বিবাহিত, তালাকপ্রাপ্ত নারীসহ অনেক নামে ডেকেছে। সব মনে রেখেছি, কিন্তু কাউকে কিছু বলিনি। কাজ করে দাঁতভাঙা জবাব দিতে চেয়েছিলাম।

স্বভাবত আমি একজন ইতিবাচক মানুষ। নিজেকে নিয়ে খুশি। আমার জীবন আর কাজ নিয়ে আমি আনন্দিত। আমার কাজ একটাই, মানুষকে স্বপ্ন দেখানো। সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষকে স্বপ্ন দেখানোর চেষ্টা করি। জীবনে হতাশা বলে কিছু নেই। জীবন অনেক রঙিন ভাবলেই দুঃখ আর হতাশা কাটে।

আমরা জীবনের বেশির ভাগ সময় দুঃখ করে পার করে দিই। আমার এই নেই, সেই নেই বলে আক্ষেপের মধ্য দিয়ে দিন কাটানোর চেষ্টা করি। হতাশা মানসিক রোগ। হতাশ না হয়ে কাজ না করলে জীবনকে এগিয়ে নেওয়া যায় না। কাজ ঠিক হচ্ছে না ভুল হচ্ছে, সেটা ভবিষ্যৎ বলে দেবে। কাজ করার অভিজ্ঞতাই আমাদের হাড় শক্ত করে। নিজের স্বপ্নকে যে জয় করতে পারার শক্তি রাখে, ভবিষ্যৎ সময় তাকেই মনে রাখে। আমাদের প্রত্যেকের এই মুহূর্তের কথা ভেবে পা বাড়ানো উচিত। ভবিষ্যৎ বলে কিছু নেই। বর্তমানই বলে দেয় আমরা কোথায় যাব।
আমাদের একটাই জীবন। দুশ্চিন্তা করে জীবন পার করে দেয় বোকারা আর চিন্তা করে সময় উপভোগ করে বুদ্ধিমানেরা। সকালে ঘুম থেকে উঠে হাসিমুখে সূর্যকে হ্যালো বলে দিন শুরু করা উচিত আমাদের। আনন্দ নিয়ে সব কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার উৎসাহ রাখতে হবে নিজের মধ্যে।

আমি অনুকরণ করাকে উৎসাহ দিই না। ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে অনেক ম্যাগাজিন আসত, আমি ম্যাগাজিনের ছবির মতো চুল আর পোশাক পরার স্টাইল অনুকরণ করতাম। অনুকরণ করলে নিজের মধ্যে হতাশা জন্মে। তরুণদের বলি, কাউকে অনুসরণ বা অনুকরণ নয়, নিজের মতো চলো। নিজের মতো চলার মধ্যে যে আনন্দ, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।




সূত্র: ওয়েবসাইট। বিবিসিতে প্রকাশিত সাক্ষাৎকার অবলম্বনে

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

একা কিছু করা যায় না : মার্ক জাকারবার্গ



আলোচিত সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক ডট কমের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। ১৯৮৪ সালের ১৪ মে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ড্রপআউট ২০০৪ সালে তাঁর বন্ধুদের নিয়ে ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর বর্তমান নিট সম্পদের মূল্য ৩৩.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

মার্ক জাকারবার্গ
সবাইকে ধন্যবাদ। আমি প্রায়ই ফেসবুকের উদ্যোগে আয়োজিত বিশেষ প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিই। এ ধরনের আয়োজন আমার প্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বিকাশের জন্য কর্মীদের মতামত সরাসরি জানা যায়। আমি এ ধারণা থেকেই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সঙ্গেও প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন করেছি। এর মধ্য দিয়ে ব্যবহারকারীদের নানা জিজ্ঞাসা আর তাঁদের ধারণা সম্পর্কে আমি সরাসরি জানতে পারি। আমি বিশ্বাস করি—মানুষের সঙ্গে কথা বললে অনেক কিছুই নতুন করে শেখা যায়, জানা যায়। আমি সম্প্রতি কলাম্বিয়ার উন্মুক্ত ইন্টারনেট-সেবা চালুর জন্য ইন্টারনেট ডট অর্গ চালু করেছি। কলম্বিয়ার সরকার আর মুঠোফোন কোম্পানির সহায়তায় আমি বড় এই কাজটি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে চালু করতে পেরেছি। সাধারণ মানুষের জন্য এ এক বিশাল সুযোগ। তথ্যই মুক্তি—এই স্লোগান সামনে রেখে আমাদের উন্মুক্ত ইন্টারনেটের জন্য কাজ শুরু। সাধারণ মানুষ, সরকার আর বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় আমরা এই কাজটি চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের সামনে অনেক বড় বড় বাধা থাকলেও তিনটি বাধার জন্যই আমাদের মাথাব্যথা বেশি। সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমটি পৌঁছে দিতে হয়। এর জন্য আমাদের প্রয়োজন মুঠোফোনের মতো সহজে বহনযোগ্য কোনো মাধ্যম। যে কারণে আমরা মুঠোফোন সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় অনেক দেশে কাজ করছি। আমাদের সামনের দ্বিতীয় বাধা হচ্ছে ইন্টারনেটের মূল্য। কোনো প্রতিষ্ঠানই আপনাকে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট দেবে না। তাদের অর্থ আয় হবে—এমন কাজেই আগ্রহ দেখাবে তারা। আমরা ইন্টারনেট ডট অর্গের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে উন্মুক্ত ইন্টারনেট সেবা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের কাজ মাত্র শুরু হয়েছে।
আমি একা কিংবা ফেসবুক একা পুরো পৃথিবীতে ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিতে পারবে না। আমাদের সবার টুকরো টুকরো কাজই আমাদের উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রত্যেক মানুষেরই দায় আছে পৃথিবীর জন্য কিছু করার। আমরা যার যার জায়গা থেকে সমাজ বদলে দেওয়ার জন্য ছোটখাটো কিছু করলেও তার প্রভাব একসময় অনেক বড় হয়ে দেখাবে।
আমরা পত্রপত্রিকায় দেখি, একজন মানুষ অনেক বড় কোম্পানি গড়ে তুলেছে। ব্যাপারটা আসলে গণমাধ্যম ভিন্নভাবে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরে। যেকোনো মানুষই অসাধারণ উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু একা একা উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা সম্ভব না। ফেসবুক একদিনে গড়ে ওঠেনি কিংবা আমি একা ফেসবুককে দাঁড় করাতে পারিনি। অনেক মানুষের শ্রম মিলেই ফেসবুক। অনেক মানুষের চিন্তার সমন্বয়ে ফেসবুক সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর কোনো কোম্পানিই একা কিংবা একদিনে গড়ে ওঠেনি। অনেক চিন্তা, অনেক মানুষের ধ্যান-ধারণার দীর্ঘদিনের গবেষণার ফল হিসেবেই একেকটি কোম্পানি গড়ে ওঠে। একজন ব্যক্তি একা কিছু করতে পারে না। অনেক মানুষ মিলেই একেকটা বড় কাজ তৈরি হয়।
আপনার অনেক মেধা থাকতে পারে, কিন্তু আপনি একা কিছু করতে পারবেন না। আপনি যতই মেধাবী হোন না কেন অন্য মানুষের সঙ্গে না মিশলে, না কথা বললে আপনার মেধার তীক্ষ্ণতা দেখতে পারবেন না। আপনাকে বড় কোম্পানি প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা জানতে হবে। আর তাতেই আপনি উদ্যোক্তা হতে পারবেন। তবে এটা সত্যি, নিজের কোম্পানি গড়ে তুলতে আমাদের ভীষণ মেধাবী হওয়ার দরকার নেই। আপনার মধ্যে শুধু আগ্রহ আর কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে সামনে চলতে শেখার দৃঢ়তা রাখতে হবে।
সূত্র: ওয়েবসাইট। ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি কলাম্বিয়ার বোগোটায় ‘কিউ অ্যান্ড অ্যা উইথ মার্ক জাকারবার্গ’ নামের প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এই বক্তব্য অনুসারে

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

স্যাট: কী ও কেন




বিদেশে পড়তে যাওয়ার আগে স্যাট পরীক্ষার স্কোর খুবই জরুরি। মডেল: কথা, ছবি: স্বপ্ন নিয়ে
     

স্নাতক পর্যায়ে বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য যাঁদের প্রথম পছন্দ যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডা, স্যাট (SAT) তাঁদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা গ্রহণের জন্য কতখানি তৈরি, এই পরীক্ষার মাধ্যমে তা যাচাই করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের সঙ্গে স্যাট স্কোর জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি বাধ্যতামূলক নয়, সেসব ক্ষেত্রেও শিক্ষাবৃত্তি পাওয়ার জন্য স্যাট পরীক্ষার স্কোর বেশ কাজে দেয়।

 
পরীক্ষাপদ্ধতি
Critical reading, math ও writing এই তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে ৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের স্যাট পরীক্ষাকে। প্রতি অংশে ৮০০ করে মোট ২৪০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। Critical reading-এ মূলত শব্দজ্ঞান, ছোট-বড় বিভিন্ন passage পড়ে অনুধাবন করার ও তার ওপর প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা যাচাই করা হয়। math অংশের প্রশ্নগুলোর মধ্যে রয়েছে পাটিগণিত, বীজগণিত, জ্যামিতি ও ত্রিকোণমিতি-সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানজনিত প্রশ্ন। writing অংশে থাকে বাক্য ও প্যারাগ্রাফ উন্নতিকরণ সম্পর্কিত প্রশ্ন, যেখানে একাধিক সম্ভাব্য উত্তরের মধ্য থেকে সঠিক উত্তরটি খুঁজে বের করতে হয়। এ ছাড়া এ অংশে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর একটি রচনা লিখতে হবে, যার জন্য সময় বরাদ্দ মাত্র ২৫ মিনিট।
স্যাট পরীক্ষায় সর্বনিম্ন স্কোর ৬০০ এবং সর্বোচ্চ স্কোর ২৪০০। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির আবেদনের জন্য কোনো ন্যূনতম স্কোরকে আবশ্যক হিসেবে উল্লেখ করা হয় না, তবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্কোর ২০০০ থেকে ২৪০০-এর মধ্যে হয়ে থাকে।
 
কোথায়, কীভাবে পরীক্ষা
স্যাট পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রথমেই স্যাটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে (www. collegeboard. org) গিয়ে অনলাইনে নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। পরীক্ষা দেওয়ার কমপক্ষে এক মাস আগে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা জরুরি। বাংলাদেশে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য খরচ পড়বে ৯২ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে সাত হাজার টাকা। এ ছাড়া রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজন হবে পাসপোর্ট এবং পিপি ছবির ডিজিটাল কপি। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে পাসপোর্ট ছাড়া অন্য কোরো ধরনের শনাক্তকারী পরিচয়পত্র গ্রহণযোগ্য নয়।
রেজিস্ট্রেশন করার পর ওয়েবসাইট থেকে যে প্রবেশপত্র দেওয়া হবে তাতে পরীক্ষার দিন, সময় ও কেন্দ্র উল্লেখ করা থাকবে। পরীক্ষার দিন পরীক্ষার্থীকে প্রয়োজনীয় আরও কী কী নিয়ে যেতে হবে তাও বলা থাকবে প্রবেশপত্রে।

প্রস্তুতি
যেকোনো পরীক্ষায় ভালো করতে হলে প্রয়োজন পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রস্তুতি। বছরের বিভিন্ন সময়ে স্যাট পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকে, তাই নিজের প্রস্তুতি অনুসারে সময় নির্বাচন করা ভালো। শুরুতেই স্যাট-বিষয়ক বইগুলো থেকে একটি প্র্যাকটিস টেস্ট দিয়ে নেওয়া ভালো। এরপর প্রাথমিক স্কোর বুঝে পরবর্তী প্রস্তুতির পরিকল্পনা নেওয়া দরকার। স্যাটে ভালো স্কোর করার জন্য কোচিংয়ে দৌড়াতেই হবে এমনটি নয়। চাইলে ঘরে বসেও অফিশিয়াল স্যাট স্টাডি গাইড, ব্যারন’স, প্রিন্সটন রিভিউ, কাপলান, গ্রুবার’স, ম্যাকগ্র-হিল ইত্যাদি বইয়ের সাহায্য নিয়ে স্যাট পরীক্ষার জন্য নিজেকে তৈরি করা যায়। এসব বইয়ের সবই ঢাকার নীলক্ষেতে পাওয়া যায়। তা ছাড়া বারিধারায় অবস্থিত আমেরিকান সেন্টারের লাইব্রেরিতেও রয়েছে স্যাটের প্রস্তুতিমূলক বইয়ের চমৎকার সংগ্রহ, যা লাইব্রেরিতে বসে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।


তবে সহায়ক বইয়ের পাশাপাশি দরকার হবে নিয়মিত অনুশীলন ও অধ্যবসায়। যেহেতু পরীক্ষাটির সব প্রশ্নই ইংরেজিতে করা হয়ে থাকে, তাই স্যাটে ভালো স্কোর করতে হলে ইংরেজিতে দক্ষতা বৃদ্ধি অত্যন্ত প্রয়োজন। এ জন্য সহায়ক বইগুলোর ইংরেজি অংশ অনুশীলন ছাড়াও নিয়মিত ইংরেজি বই ও ইংরেজি খবরের কাগজ পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
তথ্যসূত্র: স্যাটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (www.collegeboard.org)

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

স্কুল পালিয়ে হলিউডে + কলেজ ছেড়ে বিশ্বসুন্দরী



KSRM

সফল ড্রপআউট

আপডেট: | প্রিন্ট সংস্করণ
নিকোলাস কেজ,প্রিয়াঙ্কা চোপড়া 

স্কুল পালিয়ে হলিউডে
কন এয়ার, দ্য রক, গোস্ট রাইডার সিনেমার জন্য আলোচিত অভিনেতা নিকোলাস কেজ। নিকোলাস বেভারলি হিল হাইস্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন। এই স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী হলিউডের আলোচিত অভিনয়শিল্পী ছিলেন। স্কুলে পড়ার চেয়ে নাটকেই বেশি সময় দিতেন নিকোলাস। এ সময়ই নিকোলাস ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার স্কুলেও ভর্তি হন। স্কুল থেকে গোল্ডেনবয় নামের এক নাটকে অভিনয় করে আলোচিত হন। অভিনয়ের জন্য ১৬ বছর বয়সে স্কুলকে বিদায় জানান তিনি। ১৯৮২ সালে হলিউডের এক সিনেমায় ছোট এক চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে হলিউড অভিষেক হয় তাঁর। সূত্র: রোলিং স্টোন


কলেজ ছেড়ে বিশ্বসুন্দরীবলিউডপাড়ার আলোচিত মুখ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর মা-বাবা দুজনেই ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিকিৎসক। মা-বাবার চাকরিসূত্রে আধডজন স্কুলে পড়ার সুযোগ হয় প্রিয়াঙ্কার। ১৩ বছর বয়সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার জন্য পাড়ি জমান। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসসের এক স্কুলে ভর্তি হন তিনি। ক্লাসিক্যাল মিউজিক আর কত্থক নাচ নিয়ে পড়াশোনা করেন। তিন বছর পরে ভারতে ফিরে ব্যারিলির আর্মি পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন প্রিয়াঙ্কা। উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনা শেষে কলেজেও ভর্তি হন। কিন্তু তত দিনে মিস ওয়ার্ল্ড সুন্দরী প্রতিযোগিতা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় কলেজকে বিদায় জানান তিনি। সূত্র: দ্য হিন্দু




  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

বেবিসিটার থেকে মিলিয়নিয়ার


  
মার্থা স্টুয়ার্ট

মাত্র ১০ বছর বয়সেই ‘বেবিসিটার’ হিসেবে মার্থা স্টুয়ার্টকে কর্মজীবন শুরু করতে হয়। মার্থা জীবনে কত ধরনের কাজ যে করেছেন, তা হিসাব করাও কঠিন। মঞ্চ নাটকের অভিনেত্রী, খুদে সাংবাদিক, মডেলিং, ক্যাটারিং ব্যবসা—আরও কত কী! এখন অবশ্য তাঁকে বিশ্ব চেনে ব্যবসায়ী, লেখক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব হিসেবে। মার্থা মানেই যেন বিখ্যাত বেস্ট সেলার বই, মার্থা মানেই যেন আলোচিত কোনো টেলিভিশন শো। বর্তমানে ৬৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পদের মালিক মার্থা স্টুয়ার্ট।

মার্থা-ঝলকের সূচনা হয় শৈশব থেকেই। স্কুলের সবচেয়ে বেশি গ্রেড পাওয়া শিক্ষার্থী ছিলেন সব সময়। স্কুলের বাইরে নাচের ক্লাসেও ছিল মনোযোগ। এ সময় মায়ের কাছ থেকে রান্না আর সেলাই শেখার শলা-কলা আয়ত্ত করেন মার্থা। স্কুলের সংবাদপত্রেও নিয়মিত লেখা শুরু করেন খুদে সাংবাদিক মার্থা। আর আর্ট ক্লাবের নিয়মিত সদস্য হিসেবে মঞ্চনাটকেও আলোকিত মুখ ছিলেন মার্থা। ‘ডানপিটে নায়িকা’ নামেই সবাই ডাকত তাঁকে।

স্কুলের বাস্কেটবল টিমেও নিয়মিত দেখা যেত মার্থাকে। পড়াশোনা, খেলাধুলাকে সঙ্গে নিয়েই পার্টটাইম চাকরি শুরু করেন মার্থা। ১০ বছর বয়সেই কর্মজীবন শুরু হয় তাঁর। তবে যেনতেন চাকরি নয়, মার্থার প্রথম চাকরিই ছিল বেবি সিটিংয়ের কাজ। আমেরিকান ফুটবলের তিন আলোচিত ফুটবলার মিকি ম্যান্টেল, ইগি বেররা, গিল ম্যাকডোগাল্ডের সন্তানদের বেবিসিটার হিসেবে কাজ শুরু করেন মার্থা। দিনে পড়াশোনা আর বিকেলে চাকরি নিয়েই অনেক দিন ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তবে ১২ পেরোতেই মডেলিং দুনিয়ায় নাম লেখান মার্থা। টুকটাক মডেলিং, পত্রিকা-ম্যাগাজিনে শিশু মডেল হিসেবেই দেখা যেত মার্থাকে। তবে ১৫ বছর বয়সে মার্থা আলোচিত হন। এ সময় প্রথমবারের মতো ইউনিলিভারের পণ্যের মডেল হিসেবে টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায় মার্থাকে। এর পরে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ২১ বছর পর্যন্ত নিয়মিত মডেলিং আর বিজ্ঞাপন দুনিয়া কাঁপিয়ে গেছেন মার্থা। হলিউডেও বেশ কয়েকবার ডাক পান মার্থা। তবে রুপালি পর্দার হাতছানিকে একরকম উপেক্ষা করে কলেজে পড়াশোনার জন্য ভর্তি হন সবে ১৯-এ পা রাখা মার্থা। আর কলেজে কেনই বা ভর্তি হবেন না তিনি। একদিকে ভালো গ্রেড আর সম্মানজনক বৃত্তির সুযোগ কি সহজে না করা যায়!
মার্থার জন্ম ১৯৪১ সালের ৩ আগস্ট। নাটলি হাইস্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে বার্নার্ড কলেজে ভর্তি হন মার্থা। রসায়ন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। কঠিন বিষয় নিয়ে পড়াশোনার ভিড়ে হারিয়ে যাননি মার্থা, মডেলিং-পড়াশোনা দুটোই চালিয়েছেন সমানে সমান। ১৯৬১ সালে গ্ল্যামার ম্যাগাজিন তাঁকে বর্ষসেরা পরিচ্ছন্ন কলেজ গার্ল খেতাব দেয়। এ সময় মডেলিংয়ের জন্য কলেজ থেকে নাম কাটিয়ে কয়েক বছরের জন্য ড্রপআউটের তালিকায় নাম লেখান মার্থা। পত্রিকা-ম্যাগাজিন আর টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন মানেই ছিল মার্থার তারকা-ঝলক। নামীদামি পণ্যের মডেল হিসেবে পর্দা কাঁপানো শুরু করেন মার্থা। চলচ্চিত্র জগতেও ডাক আসে তাঁর। কিন্তু মডেলিংকে হঠাৎই ‘না’ বলে আবারও পড়াশোনা করার সিদ্ধান্ত নেন মার্থা। মার্থা তাঁর প্রথম বই এন্টারটেইনিংয়ে লেখেন, ‘আমি একেবারে তরুণ বয়সে মডেলিং দুনিয়ায় আসি। সবাইকে অবাক করে দিয়ে আমি নিজে থেকেই সরে যাই এই দুনিয়া থেকে। আমি আসলে বিজ্ঞাপন, ফটোশুট—এসবে আগ্রহ পাচ্ছিলাম না। আমি চেয়েছিলাম আমার পড়াশোনা দিয়ে কিছু করতে। যার জন্যই আমি রুপালি পর্দাকে না বলে আবারও কলেজে যাওয়া শুরু করি। আমি হলিউড তারকা না হয়ে ওয়াল স্ট্রিটের তারকা হতে চেয়েছিলাম।’
ওয়াল স্ট্রিট জয় করার জন্য এবার তিনি কলেজে ইউরোপের ইতিহাস নিয়ে পড়া শুরু করেন। তবে শেষ পর্যন্ত স্থাপত্যের ইতিহাস নিয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাভ করেন মার্থা। এর পরে ওয়াল স্ট্রিটে স্টক ব্রোকার হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান ‘মোনেস, উইলিয়াম অ্যান্ড মোনেস’কে গড়ে তোলেন ওয়াল স্ট্রিটের সবচেয়ে বড় ফার্মগুলোর একটি হিসেবে। পাঁচ বছরের বেশি সময় বাণিজ্যের দুনিয়ায় ঝলক দেখান তিনি। ওয়াল স্ট্রিটে প্রথম যে কজন নারী কাজ করেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম মার্থা। মার্থার ভাষায়, ‘আমি যখন ক্যারিয়ার শুরু করি, তখন ওয়াল স্ট্রিটে হাতে গোনা কয়েকজন নারীকে দেখা যেত। নারীরা যে ব্যবসার দুনিয়াতে কাজ করতে পারে, তখনই প্রথম টের পায় সারা বিশ্ব।’

বেশ কয়েক বছর ওয়াল স্ট্রিটের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ভিন্ন কিছু করার উদ্যোগ নেন মার্থা। অনেক দিন ভেবেচিন্তে অবশেষে ১৯৭৬ সালে নিজ বাড়ির বেজমেন্টে এক বন্ধুকে নিয়ে ক্যাটারিং ব্যবসা শুরু করেন মার্থা। ক্যাটারিং ব্যবসাকে অল্প দিনেই বড় করে ফেলেন মার্থা। সুপারশপ চালু করেন তিনি। আশির দশকে মার্থা দুনিয়া কাঁপানো অনেক রান্নাবিষয়ক বই লেখেন। আর এই সময় টেলিভিশনে উপস্থাপক হিসেবেও আলোচিত হওয়া শুরু করেন একসময়কার ‘ডানপিটে নায়িকা’খ্যাত মার্থা। প্রতিকূলের যাত্রী মার্থা স্টুয়ার্ট এখন একজন সফল ব্যবসায়ী, লেখক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব।

তথ্যসূত্র: সিএনএন। ওয়েবসাইট অবলম্বনে



  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

Biman Museum


Bangladesh Air Force Plane/Biman Museum 

Visiting time of Bangladesh Air force Museum

Monday to Thursday:- 2PM to 8PM

Friday to Saturday:- 10AM to 8PM

Sunday is off-day

It is a new visiting spot in Dhaka. It has been inaugurated on 28th September, 2014 and opened for public on 29th September, 2014. Different types of aircrafts and equipments have been kept to exhibit here.

Bangladesh Air Force Plane/Biman Museum
 
Bangladesh Air Force Museum started its journey on 17th June, 1987. Since then, it has been enriching. Finally, it has become well-decorated in 2014. Now, it is one of the best aviation museums in this world. 

Biman Museum Ticket Price 
Entry fee: BDT 20 
"Balaka" plane ticket price: BDT 30


Bangladesh airforce plane museum
 
Biman or planes of Bangladesh Air force Museum

Mig-21
PT-6
Balaka
GNAT aircraft
F-6
Hunter India
FT-5
F-86
T-37
Air Tourer Jet
AN-24 etc. 

At present 19 air-planes, 2 helicopters and 3 radars are kept to exhibit at this biman museum. 
 
Bangladesh airforce plane museum
There are some exclusive aircrafts in Bangladesh Air Force Museum. These aircrafts were used in our Liberation War-1971. The visitors should see these historical planes. 

Bangladesh airforce plane museum
 
Address of Bangladesh Air force Museum
Bangladesh Air Force Base Bashar
Tejgaon, Dhaka
The visitors can come here using Taltola Gate of Agargaon adjacent to Begum Rokeya Sarony.
Welcome to Bangladesh Air Force Plane/Biman Museum
 
Bangladesh Air Force Museum is located at fantastic place of Dhaka. Mirpur Rokeya Sarony Road and IDB Computer City Bhaban are at the west of this museum. Tejgaon Old Airport Runway and Bashar Air Force Base are at the east side. A beautiful lake is at the north and a small forest of trees is at the south of Bangladesh Air Force Museum.
 
 
 
Bangladesh airforce plane museum
 
 
Visiting time of Bangladesh Air force Museum
Monday to Thursday:- 2PM to 8PM
Friday to Saturday:- 10AM to 8PM
Sunday is offday
 
 
Bangladesh airforce plane museum
 
Contact information of Bangladesh Air force Museum
Telephone: +88 02 8753420
Fax: +88 02 8751931
Email: info@bafmuseum.mil.bd
 
Bangladesh Air Force Plane/Biman Museum
 
Food Court, Children’s Park, Digital Map, Souvenir Shop etc. are available in Bangladesh Air force Museum. So, there are some more attractive things to enjoy at this museum. 


Bangladesh Air Force Plane/Biman Museum
 
Instructions to follow for visiting Bangladesh Air Force Museum
Do not smoke 
Don't touch or hold anything 
Buy tickets to enter 
Avoid entering or waiting side of museum before or after visiting time.


Bangladesh Air Force Plane/Biman Museum
 
The museum authority has some future plans. After the implementation of these plans, the museum will be a great source of leisure tour and learning knowledge. You will be able to feel the glory of Bangladesh Air Force better than the present days.  


Bangladesh airforce plane museum
 
Visit the first air-planes museum of Bangladesh. Come here and see the journey of Bangladesh Air Force. This is a new addition of tourist attraction in Dhaka.



 

  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

Dhaka Zoo




Visiting hours for Dhaka Zoo

Check out the visiting hours of Dhaka Zoo located at Mirpur, before you go there.
Dhaka Zoo is the most favorite place to the kids. This is the largest zoo in Bangladesh. Many species of animals are available here: Monkeys, Snakes, Ziraf, Tiger, Lion, Birds, and mamy many other. Ticket price is 10 tk. and children over 2 years of age require tickets to enter.

Zoo Museum:

There is a museum inside the zoo, to visit which requires a separate ticket of 2 tk, which could be found at the museum gate.

Animal riding:

There is arrangement to ride in Elephant and Horse inside the zoo for children. Ticket for elephant riding is 5 tk. and horse riding 3 tk.

Fishing:

Adults can catch fish on the zoo lake by hook for 1,000 tk. You have to bring your own hook.


Visiting hours

Summer Season (1 April – 30 September): 9 AM – 6 PM
Winter Season (1 October – 31 March): 8 AM – 5 PM
Every Sunday closed for visitors
Open in every government holiday.



  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS

জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে করণীয়



প্রশ্নঃ ID Card হারিয়ে গিয়েছে কিভাবে নতুন কার্ড পেতে পারি?
উত্তরঃ নিকটতম থানায় জিডি করে জিডির মূল কপিসহ সংশ্লিষ্ট উপজেল/থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে অথবা ঢাকায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।

২। প্রশ্নঃ হারানো আইডি কার্ড পেতে বা তথ্য সংশোধনের জন্য কি কোন ফি দিতে হয়?
উত্তরঃ এখনো হারানো কার্ড পেতে কোন প্রকার ফি দিতে হয় না। তবে ভবিষ্যতে হারানো আইডি কার্ড পেতে/সংশোধন করতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি ধার্য করা হবে।

৩। প্রশ্নঃ হারানো সংশোধন একই সাথে করা যায় কি?
উত্তরঃ হারানো সংশোধন একই সাথে সম্ভব নয়। আগে হারানো কার্ড তুলতে হবে, পরবর্তীতে সংশোধনের জন্য আবেদন করা যাবে।

৪। প্রশ্নঃ হারিয়ে যাওয়া আইডি কার্ড কিভাবে সংশোধন করব?
উত্তরঃ প্রথমে হারানো আইডি কার্ড উত্তোলন করে তারপর সংশোধনের আবেদন করতে হবে।

৫। প্রশ্নঃ প্রাপ্তি স্বীকারপত্র / স্লিপ হারালে করণীয় কি?
উত্তরঃ স্লিপ হারালেও থানায় জিডি করে সঠিক ভোটার আইডি নাম্বার দিয়ে হারানো কার্ডের জন্য আবেদন পত্র জমা দিতে হবে।

৬। প্রশ্নঃ প্রাপ্তি স্বীকারপত্র / ID Card হারিয়ে গেছে কিন্তু কোন Document নেই বা NID নম্বর/ ভোটার নম্বর/ স্লিপের নম্বর নেই, সে ক্ষেত্রে কি করণীয়?
উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিস থেকে Voter Number সংগ্রহ করে NID Registration Wing/ উপজেলা/ থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে আবেদন করতে হবে।

৭। প্রশ্নঃ জাতীয় পরিচয়পত্রে নেই কিন্তু তথ্য পরিবর্তিত হয়েছে এমন তথ্যাদি পরিবর্তন কিভাবে সম্ভব?
উত্তরঃ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে সংক্রান্ত কাগজপত্রাদি সহ আবেদন করলে যাচাই-বাছাই করে বিবেচনা করা হবে।

৮। প্রশ্নঃ জাতীয় পরিচয় পত্রের মান বর্তমানে তেমন ভালো না এটা কি ভবিষ্যতে উন্নত করার সম্ভাবনা আছে?
 
উত্তরঃ হ্যাঁ। আগামীতে স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদানের জন্য কাযর্ক্রম চলমান আছে যাতে অনেক উন্নত আধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ থাকবে এবং মান অনেক উন্নত হবে


  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • RSS